ঢাকা থেকে বরিশাল এই রুটে চলাচল করে এমভি মানামি নামক অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি বিলাসবহুল লঞ্চ। যারা লঞ্চে যাতায়াত উপভোগ করতে চায় এবং এই ক্ষেত্রে খরচ করতে চায় তাদের জন্যই মূলত এই ধরনের লঞ্চ তৈরি করা হয়ে থাকে। এমভি মানামি লঞ্চের কেবিন ভাড়া সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে কিন্তু এর সঙ্গে থাকবে কিছু বোনাস তথ্য।
বোনাস তথ্য বলতে আমরা এখানে বিভিন্ন রুট সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেবো এবং সময়সূচি গুলো আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। এছাড়া আপনারা যদি এমবি মানামি লঞ্চ এর টিকিট বুকিং করতে চান সেই ক্ষেত্রে কিভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন সে সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের এখানে তথ্য থাকবে। এমভি মানামি লঞ্চের যাবতীয় তথ্য জানতে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
ঢাকা টু কুয়াকাটা লঞ্চ লঞ্চ টিকিট বুকিং
এমভি মানামি লঞ্চে যারা টিকিট বুকিং করতে চান অথবা কেবিন বুকিং করতে চান তাদের জন্য অবশ্যই পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। কিভাবে টিকিট বুকিং করতে হয় এবং কোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে হয় সেগুলো না জানা থাকলে শুধু কষ্ট করাই হবে। আপনাদের এই কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা কিছু প্রচেষ্টা চালিয়েছি। সেই প্রচেষ্টার ফলে আমরা জানতে পেরেছি আপনারা অনলাইন অথবা অফলাইন এই দুইটি পদ্ধতির যেকোনো একটি ব্যবহার করে অনায়াসে এদের টিকিট বুকিং করতে পারবেন।
অনলাইনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি লঞ্চের টিকিট বুকিং এর প্রক্রিয়া যেটা ছিল ঠিক একই প্রক্রিয়া মেনে আপনাকে টিকিট বুকিং করতে হবে। আপনারা সরাসরি আমাদের লিংক ব্যবহার করেও সেখান থেকে টিকিট বুকিং করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনারা যারা অফলাইনের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করতে চাচ্ছেন তারা সরাসরি এমভি লঞ্চের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন অথবা তাদের অফিস ভিজিট করতে পারবেন। আপনারা ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তাদের অফিস পেয়ে যাবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ফোন নাম্বার নিয়ে এসেছি যে ফোন নাম্বারের মাধ্যমে আপনারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ঢাকা টু কুয়াকাটা লঞ্চ লঞ্চের সময়সূচি
এই বিলাসবহুল লঞ্চে যাতায়াত করতে চাইলে আপনি ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল অথবা বরিশাল থেকে যাত্রা করতে পারবেন। ঢাকা থেকে বরিশাল এবং বরিশাল থেকে ঢাকা এই রুটে চলাচল করছে এই লঞ্চ নিয়মিতভাবে। আমরা পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখেছি যে এই রুটে চলাচলকারী লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা সব থেকে বেশি তাই আমরা শুধুমাত্র এই লঞ্চ এর সময়সূচি নিয়ে আজকে কথা বলব।
ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে দিনের শুরুতে সকাল ৭ঃ৫৫ মিনিটে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমভি মানামি কোম্পানির একটি লঞ্চ।
পুনরায় যখন এমবি মানামি কোম্পানির লঞ্চ বরিশাল থেকে ছেড়ে আসে তখন সেই লঞ্চটি বরিশাল থেকে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে রাত ৭ঃ৫৫ মিনিটে।
ঢাকা টু কুয়াকাটা লঞ্চ এর ভাড়া
আপনারা যারা এমবি মানামি লঞ্চে যাতা করতে যাচ্ছেন ঢাকা থেকে বরিশাল এবং বরিশাল থেকে ঢাকাতে তারা কি এই লঞ্চের ভাড়া সম্পর্কে ধারণা রেখেছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা একটি তালিকা দিচ্ছি সেই তালিকার দিকে একবার চোখ বুলালে সকল ভাড়া সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়ে যাবে।
আগে বলে রাখি এই লঞ্চে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা এবং বিলাসবহুল ভাবে যাওয়ার ব্যবস্থা। আপনার সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই লঞ্চে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইভ গার্ডের ব্যবস্থা এবং আপনারা চাইলে এখানে রেস্টুরেন্ট ব্যবহার করতে পারবেন এবং নামাজের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা রয়েছে।
ভিআইপি কেবিন অর্থাৎ সাকুরা এর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০০ টাকা। এর পাশাপাশি vip কেবিন ফুজি এর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০০ টাকা। যারা ভিআইপি কেবিন কি ওটাতে যাতায়াত করতে চাইছেন তাদের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০০ টাকা।
এর পাশাপাশি ফ্যামিলি ভিআইপি কেবিন ৪০০০ টাকা এবং ডিলাক্স কেবিনের ভাড়া ৩৫০০ টাকা এবং সেমি ডিলাক্স কেবিনের ভাড়া ২৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফ্যামিলি এসি কেবিন ৩০০০ টাকা এবং ফ্যামিলি নন এসি কেবিন ২৬০০ টাকা।