প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের নাম হলো মা। পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি যিনি নিঃস্বার্থভাবে যে কোন কাজ করতে পারেন এবং নিঃস্বার্থভাবে সন্তানের প্রয়োজনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে দ্বিধা বোধ করেন না। তাছাড়া সন্তানের থেকে মায়ের প্রতি ভালোবাসা এক অন্য ধরনের বিষয় এবং মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা ও আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে জানিও মানি। তাই আমাদের জীবনে মায়ের অবদান এতটাই বেশি যে আমাদেরকে যদি মা অনুচ্ছেদ অথবা রচনা লিখতে বলা হয় তাহলে সেটা লিখে শেষ করা যাবে না। তাই আমার মা প্রসঙ্গে যদি রচনা অথবা অনুচ্ছেদ পরীক্ষা লিখতে বলা হয় তাহলে এখান থেকে আপনারা দেখে নিয়ে নিজেদের মতো করে নিজের মা সম্পর্কে লিখতে পারেন।
এই পৃথিবীতে আসার পেছনে যে ব্যক্তির সবচেয়ে অবদান বেশি তিনি হচ্ছেন আমাদের মা। তিনি দশ মাস দশ দিন তাদের গর্ভে আমাদেরকে ধারণ করেছেন এবং অসহ্য ব্যথা ও কষ্ট সহ্য করেছেন। দুনিয়ার জীবনে আমাদেরকে লালন পালন করার পেছনে তার যে অবদান কতটা বেশি তা আমরা কখনোই শোধ করতে পারব না। তাই গানে বলা হয়ে থাকে যে নিজেদের গায়ের চামড়া দিয়ে যদি মায়ের পায়ের জুতা বানিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মায়ের ঋণ শোধ হবে না।
তাই একজন সন্তান হিসেবে আমরা যখন মায়ের সেবা করবো তখন অবশ্যই সেটা নিঃস্বার্থভাবে সেবা করবো এবং পরিবারে যদি আরও সদস্য থাকে তাহলে কারো মুখাপেক্ষি না হয়ে নিজ দায়িত্বে নিজেদের মায়ের যত্ন করব। অনেক যৌথ পরিবারে এক ভাই আরেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে যে তাদের মায়ের দায়িত্ব কোন এক ভাই গ্রহণ করলে অন্য ভাই বলে বেঁচে যাবেন। কিন্তু মা হল জান্নাত অথবা স্বর্গ এবং আপনারা যদি এই বিষয়টা মানতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে মা কার কাছে থাকবে এ বিষয় নিয়েই কম্পিটিশন বেড়ে যাবে।
কিন্তু আমরা এতটাই অবুঝ এবং স্বার্থপর যে বৃদ্ধ হয়ে গেলে মায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চায় না অথবা ঠিকমতো তাদেরকে খেতে দেই না। খুব স্বাভাবিকভাবে ও ঠান্ডা মাথায় একটা বিষয় ভাবুন যে আপনি যখন ছোট ছিলেন তখন আপনার নাওয়া খাওয়ার ব্যাপারে মায়েরা এতটাই সচেতন ছিল যে কোন কিছুতে তারা কমতি রাখেনি। কিন্তু আমরা বড় হয়ে বিয়ে শাদী করার পর অথবা বিয়ে করার আগেই নিজেদের পরিবর্তন করে ফেলছি এবং মায়েদের অনেকেই হয়তো সহ্য করতে পারছি না।
কিন্তু যে মুখ দিয়ে কষ্ট দিচ্ছেন অথবা যে ভাষা প্রয়োগ করার মাধ্যমে আমরা মায়েদের কষ্ট দিচ্ছি সেই ভাষাও কিন্তু আমাদের মায়েদের কাছে থেকে শিক্ষা পাওয়া হয়েছে। তাই বস্তুবাদের এই দুনিয়ায় আমরা যদি একটু সচেতন হয় এবং নিজেদের জান্নাতকে ধরে রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই মায়ের প্রতি সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
কারণ আপনার মায়ের দীর্ঘশ্বাস অথবা কষ্টের বিষয়গুলো কখনই মহান সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করবেন না। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এবং সকল দিক থেকে যদি নিজেদের মঙ্গল চান তাহলে অবশ্যই মায়ের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার পাশাপাশি তারা বাস্তবিক জীবনে কি খেতে পছন্দ করছে অথবা তাদের চাওয়া পাওয়া গুলো কি রয়েছে সেগুলো পূরণ করবেন।
মা হলে এমন একটা চরিত্র যেটা রচনা অথবা অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বিস্তারিত প্রকাশ করা যাবে না। আপনার জীবনে আপনার মায়ের অবদান কি তা যদি শুধু এলোমেলোভাবে লিখে রাখেন তাহলে ভালো নাম্বার অর্জন করা যাবে। তাছাড়া ভালো নম্বর অর্জন করার উদ্দেশ্য নয় বরং কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে আপনি যদি মা সম্পর্কে প্রশংসামূলক বাক্য লেখেন
অথবা আপনার জীবনে তার গুরুত্ব যে কতটা বেশি তা যদি উল্লেখ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে। তাই এখান থেকে আপনারা আপনাদের সুবিধামতো আমার মা টপিকে রচনা অথবা অনুচ্ছেদ দেখে নিতে পারেন অথবা নিজেদের মতো করে লিখতে পারেন। তাই আমরা সবাই নিজেদের মাকে ভালোবাসবো এবং তারা যে বিষয়গুলো পছন্দ করে সেগুলো প্রদান করার মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবো।