ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম

সাধারণত ফল আমাদের কাছে পছন্দের একটি খাবার এবং বাংলাদেশ এবং মৌসুমী যে ফলগুলো রয়েছে সেগুলো ছাড়াও বিদেশ থেকে বহু পুষ্টিকুণসমৃদ্ধ ফল আসে। বরাবরই সাধ্যের মধ্যে থাকলে বাঙালিরা ফল খেতে ভালোবাসেন এবং ফল আমাদের কাছে সত্যিই অনেক পছন্দের একটি খাবার। সাধারণ মানুষেরা পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করে না তারা শুধু চিন্তা করে সাধের ব্যাপারটা যে জিনিসটা খেতে বেশি স্বাদ লাগে তারা সেটাই খেয়ে থাকে। তাই আমরা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে দেখব যে বিভিন্ন ধরনের ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় চলুন তাহলে জানার চেষ্টা করি।

সাধারণত আমাদের আশেপাশে যে ফলগুলো রয়েছে এবং যেই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে সেই ফলে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি খুব সামান্য পরিমাণে লাগে তাই আমরা এই দিকটা খুব বেশি নজর দেই না কিন্তু আমাদের হাতের কাছে থাকা কমলা বা লেবু এই ধরনের ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভাই আপনারা যদি ফলে ভিটামিন ডি খোঁজেন তাহলে এই ধরনের ফল আপনারা খুঁজতে পারেন এবং ভিটামিন ডি আর অন্যান্য বহু ধরনের খাবার থেকে পাওয়া যেতে পারে। চলুন ভিটামিন ডি সম্পর্কে আরও কিছু জানার চেষ্টা করি।

ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে যেসব খাবার

খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি আছে এবং আমাদের শরীরে ঘাটতি পড়ে থাকা ভিটামিন ডি এই খাবারের মাধ্যমে আমরা পূরণ করতে পারি। আমাদের শরীরে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রবেশ করে আমরা যদি এই খাবারকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং সেটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারি তাহলে এই খাবারের মধ্যে থেকেই আমরা ভিটামিন ডি সংগ্রহ করতে পারব। কোন কোন খাবার খেলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে সে বিষয়ে এখন আমরা জানবো।

সাধারণত আমাদের খাবারের তালিকার পছন্দে রয়েছে ভিটামিন যুক্ত খাবার গুলো তাই কেউ অপছন্দ না করতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি থেকে শুরু করে দুধ এবং দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। গরুর দূর থেকে শুরু করে গরুর দুধ দিয়ে তৈরি করা টক দই বা অন্যান্য জিনিস প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ জিনিস তাই আপনারা চাইলেই এই জিনিসগুলো নিয়মিত খেতে পারেন।

সামুদ্রিক মাছ অনেক সুস্বাদু মাছ এবং সেই সামুদ্রিক মাছের মধ্যে তেল যুক্ত যে মাছগুলো রয়েছে বিশেষ করে টোনা মাছ বা শ্যামল ফিস এই ধরনের মাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। আপনার শরীরের প্রতিদিনের ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে এই খাদ্য উপাদান গুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত অল্প অল্প করে এই উপাদান গুলোর মধ্যে যত বেশি সম্ভব তত বেশি উপাদান আপনার খাবার তালিকায় রাখতে।

আমাদের পছন্দের তালিকায় থাকার ডিম বা ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে তাই আপনি চাইলে এই ডিম বা ডিমের কুসুম নিয়মিত খেতে পারেন এবং এখান থেকে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। সবজির মধ্যে ব্রকলি বা পাতাকপি এই ধরনের শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন দিয়ে থাকে তাই আপনারা চাইলেই এখান থেকেও প্রচুর ভিটামিন ডি সংগ্রহ করতে পারেন। সবুজ শাকসবজি বা পালং শাক এই ধরনের উপাদান থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করা যায়।

এছাড়াও আপনারা চাইলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন। আগে বাংলাদেশের শুধুমাত্র বাংলাদেশের উৎপাদিত চীনা বাদাম থাকলেও এখন অনেক ধরনের বাদাম এভেলেবল হয়েছে এবং প্রত্যেক বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন ডি রয়েছে তাই আপনারা চাইলে এগুলো নিয়মিত খেতে পারেন। আশা করছি এই খাবারগুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

 

 

Leave a Comment