যদি জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা সেটার জন্য সঠিক ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে সুস্থতা অবলম্বন করতে পারেন। তবে এই ধরনের ঘা এর ক্ষেত্রে কি ওষুধ ব্যবহার করলে সবচাইতে ভালো উপকার পাওয়া যায় তা আপনাদের উদ্দেশ্য আমরা এখানে আলোচনা করব। কারণ এই রোগ যদি হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে অথবা পানি পান করতে গেলেও জিহ্বার মধ্যে ব্যথা অনুভব হয়। তাই আপনারা যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা তথ্যগুলো সঠিকভাবে পড়বেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।
সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের জিহবাতে ব্যথা অনুভব হচ্ছে অথবা এখান থেকে প্রদানের সৃষ্টি হচ্ছে। কোন কিছু খেতে গেলে অতিরিক্ত পরিমাণ ঝাল লাগছে বলে আমরা খেতে পারি না এবং সেটা থেকে আমাদের শরীরের দুর্বলতার দিকে চলে আসে। আর এই কারণে আপনি ক্লান্ত অনুভব করতে পারেন এবং মুখমন্ডলের ক্ষতগুলির লালচে ভাব যখন দেখা দিবে তখন বুঝতে হবে যে এখানে ঘা হয়েছে।
তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে এড়িয়ে চলার জন্য আমাদের সর্বপ্রথমে যে বিষয়টা দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে হবে সেটা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আমরা খুব ভালো করেই জানি যে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং যেকোন ছোটখাট রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। সাধারণত একটা মানুষের শরীরের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তাকে যে কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত করে তা থেকে নিস্তার দিবে না। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে আপনি ছোটখাটো রোগেও এত পরিমাণে অসুস্থ হয়ে পড়বেন যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জিহ্বায় ঘা এর হোমিও ঔষধের নাম
তাই বর্তমান সময়ে এলোপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি আপনারা যদি জিহ্বায় ঘায়ের ক্ষেত্রে হোমিও ওষুধের চিকিৎসা নিতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন। তবে ডাক্তারের দোকানে গেলেই তারা সরাসরি ঔষধ প্রদান করে এবং ওষুধের নাম সাধারণত তারা জানিয়ে দেয় না বলে আমরা সেগুলো জানতে পারি না। তবে হোমিওপ্যাথিতে যদি আপনাদের ধারণা থাকে অথবা এ বিষয়ে যদি আপনারা ইন্টারেস্ট হয়ে থাকেন তাহলে অনেক সময় বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে অথবা ডাক্তারের সংস্পর্শে থেকে অনেক ওষুধের নাম জেনে নেওয়া যায়।
জিহ্বায় ঘা হোমিও চিকিৎসা
চিকিৎসার জন্য আপনারা যারা হোমিও চিকিৎসা পেতে চান তারা ডাক্তারদের থেকে সরাসরি ওষুধ গ্রহণ করবেন এবং সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাদেরকে কিন্তু ওষুধের নাম প্রদান করবে না। হোমিওপ্যাথি ওষুধ শরীরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন রোগ নিরাময় করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া এই অসুখ থেকে নিরাময় প্রদান করতে পারে।
জিহ্বায় ঘা এর মলম
সাধারণত যারা এই ঘা এর জন্য মলম পেতে চাইছেন তাদেরকে বলব যে এই ঘায়ের ক্ষেত্রে মলম ব্যবহার করা খুব কম হয়। তাই মলম বাজারে রয়েছে কিনা অথবা মলম পাওয়া গেল কোন মলম ব্যবহার করলে সবচাইতে ভালো হবে সেটা জেনে নেয়ার চাইতে কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার নিয়ম জেনে নিতে পারেন। তাছাড়া বাজারে ভিটামিন বি টুয়েলভ নামক যে হলুদ রঙের বড়ি রয়েছে সেটা যদি আপনারা কম দামে কিনে খেলতে পারেন তাহলেও কিন্তু আপনার এই ঘা দূর হয়ে চলে যাবে।
জিহ্বায় ঘা এর কারণ
তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথমে মসলাযুক্ত অথবা ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ফলমূল খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং খাবারের সময় যদি কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন তাহলে এটা খুবই কাজে আসে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি সংক্রান্ত খাবার গ্রহণ করার বিষয়ে আপনারা যদি আগ্রহ দেখান তাহলে যিহোবার ঘা থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক অসুখে আপনি নিরাময়ী অনুভব করতে পারবেন। দৈনন্দিন জীবনের সুস্থ থাকার জন্য দুই থেকে তিনবার জিহ্বা পরিষ্কার করবেন যে। তাহলে আমরা মনে করি যে সুস্থতার সঙ্গে এ ধরনের রোগ থেকে নিরাময় পেয়ে যাবেন।