ভিটামিন এ ক্যাপসুল সাধারণত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। যেকোনো বয়সেই এই ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে তাই যদি কখনো দেখা যায় যে রোগের স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ তার শরীরে প্রবেশ করছে না তখন একজন রেজিস্টার চিকিৎসক চাইলেই তাকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। ভিটামিন এ আছে এমন ঔষধ গুলো কি বাজারে পাওয়া যায় কিনা বা এ ধরনের নানান প্রশ্নের সমাধান বা উত্তর আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। অনেকেরই ধারণা আছে ছোটবেলায় যে ভিটামিন এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হ যেতো সেই ভিটামিন এ ক্যাপসুল আর কখনোই খাওয়ানো হবে না বড় হওয়ার পর থেকে আর এটা কখনোই পাওয়া যাবে না।
অনেকেই মনে করেন ছোটবেলায় যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় শিশুদের সেটাই শিশুদের শেষ ডোজ তারপরে যদি এই ভিটামিন যদি শরীর থেকে কমে যায় সেখানে করার কিছুই থাকে না। সাধারণত এই সকল ধারনা ভুল বলে প্রমাণিত কারণ হচ্ছে ভিটামিন এ যুক্ত খাবার গুলো। আজকে আমরা আপনাদের সেই চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন করানোর চেষ্টা করব এবং আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ভিটামিন এ যুক্ত খাবারের পাশাপাশি আপনারা কোন ঔষধ খেতে পারেন এবং সেই ওষুধের নাম কি। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এ ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল পাওয়া যাবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি কোন কোম্পানির ওষুধ খাবেন তবে আমরা আপনাদের সেই তালিকা দিয়ে সাহায্য করতে পারি।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর অন্যান্য নাম
আজকে যে তালিকা আমরা সংগ্রহ করেছি সে তালিকাতে প্রায় পাঁচটির ওপরে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর তালিকা আমরা দেবো যেখানে আপনি এই ক্যাপসুলগুলো খেয়ে ৫০ হাজার আয়ু ভিটামিন এ থেকে শুরু করে দুই লক্ষ আয়ু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারেন। আমরা বারবার একটা বিষয় আপনাদের সতর্ক করি সেটা হচ্ছে কোনক্রমেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তার কারণ হচ্ছে এখানে যে পরিমাণ ভিটামিন এ ক্যাপসুলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই পরিমাণ ভিটামিন এই ক্যাপসুল আপনার প্রয়োজন আছে কিনা এবং সেটা খেলে আপনার শরীরে কোন ধরনের ক্ষতি হবে কিনা এই বিষয়ে অবশ্যই নিশ্চিত হওয়ার পরে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এই ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে।
A-Forte
Lifil-A
Ovit-A
Rational Forte
Vis-A
উপরে উল্লেখ করা ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো বাজারে ভালো ভালো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির পণ্য তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এখান থেকে যে কোন একটি ক্যাপসুল আপনি খেতে পারবেন তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনাকে খেতে হবে। সাধারণত একজন চিকিৎসক কখনো একজন রোগীর খারাপ চাইবে না তাই অবশ্যই একজন রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এই বিষয়ে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার মাত্রা
পূর্ণবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবার যে মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখান থেকে আমরা বলতে পারি প্রতিদিন পঞ্চাশ হাজার আয়ু থেকে ১ লক্ষ আইয়ু প্রয়োজনে ২ লক্ষ আয়ু দেওয়া যেতে পারে একজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে। তবে এটা কতদিন চলবে সেটা রেজিস্টার চিকিৎসক আপনাকে বলতে পারবে। এবার শিশুদের সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে শিশুদের জন্য সাধারণত সরকারিভাবেই এই ক্যাপসুল দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে তবে আলাদাভাবে বড় ধরনের কোন সমস্যা হলে সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডোজ এ দেওয়া হতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আর প্রত্যেকটি ওষুধে রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং এখানে আপনি অন্যান্য ওষুধের নেয় এই ওষুধের ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখতে পারেন তবে সেটা যদি গুরুতর হয় তাহলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিন এবং একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।