জাতীয় চার নেতার বিষয়গুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গাতে উঠে আসলেও তাদের নাম আমরা জানি আবার অনেকে আছে যারা জানিনা। ছবি সহকারে জাতীয় চার নেতার নাম এবং কি কারণে জাতীয় চার নেতা আমরা বলে থাকি সে বিষয়ে যদি আপনাদের ধারণা প্রদান করে থাকি তাহলে সকল ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই জাতীয় চার নেতার নাম ও ছবি সহকারে বিস্তারিত তথ্য জানতে আপনারা যারা এখানে এসেছেন তাদেরকে আমরা সেই বিষয়গুলো জানিয়ে দিচ্ছি বলে অবশ্যই পুরোপুরিভাবে পুরো পোস্ট মন দিয়ে দিয়ে পড়বেন।
আমরা জানি যে এদেশ স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট তার নিজ বাসভূমিতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। আর সেই সময় তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ নিজেকে বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে হঠাৎ করে রাষ্ট্রপতির পদে নিয়ে চলে যান। তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে যাওয়ার পর সামরিক শাসন জারি করেন এবং এই সামরিক শাসনের ফলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী চারজন নেতাকে বাইশে আগস্ট গ্রেফতার করা হয়।
আর গ্রেফতারকৃত চার নেতা সেখানে ছিলেন এবং তাদেরকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে তারা সেই জেলখানায় দুই মাস ২৩ দিন কাটাতে থাকেন। এভাবে তিন নভেম্বর একদিন অবৈধভাবে যে সকল খুনিচক্র শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করেছিলেন তারাই জেলখানায় প্রবেশ করে চালনে তাকে হত্যা করেন। এ কারণে আমাদের দেশের প্রত্যেক বছর তিন নভেম্বর জাতীয় জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে এবং এই চার নেতার হত্যাকাণ্ডের উপর নির্ভর করেই এই দিবস পালিত হয়ে থাকেন।
জাতীয় চার নেতার নাম ও পদবী
তাই উপরের উল্লেখিত ঘটনার ভিত্তিতে আপনারা অনেকটাই বুঝতে পেরেছেন বলে এখন জাতীয় চার নেতার নাম ও পদবী সম্পর্কে আপনাদের ধারণা প্রদান করা হবে। এই জাতীয় চার নেতার ভেতরে ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এই জাতীয় চার নেতার ভেতরে তাজউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ গঠনের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব চলে যান। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাকশালের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
তাছাড়া আবুল হাসনাত মোঃ কামরুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তারপরে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও ১৯৭৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এম মনসুর আলী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন তিনি সেখানকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নিচের দিকে আপনাদের জন্য জাতীয় চার নেতার সমাধি কোথায় হয়েছে তা তুলে ধরলাম এবং এ প্রসঙ্গে আপনাদের যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে প্রশ্ন করলে অবশ্যই সেটা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
জাতীয় চার নেতার সমাধি কোথায়
জাতীয় চার নেতার সমাধি কোথায় হয়েছিল তা যদি জানতে চান তাহলে এখানে আপনাদের সামনে তা তুলে ধরা হবে। তবে আবুল হাসান মোঃ কামরুজ্জামান কে রাজশাহীতে সমাধি করা হয় এবং বাকি তিনজন নেতাকে ঢাকার বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তাই জাতীয় চার নেতার এই তথ্যগুলো আপনাদের জেনে নিতে পেরে খুবই ভালো হলো এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে তারা দেশ গঠনের জন্য যে সকল দায়িত্ব পালন করেছিল তাতে করে আসলে আমরা একটা সুন্দর দেশ উপহার পেতাম। কিন্তু কিছু কুচক্রীদের কারণে সকল কিছু ভেস্তে যায় এবং আমাদের দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে অনেকটাই বাধা পাই।
একটা দেশের উন্নতির জন্য বিশেষ নেতাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে এবং তারা তাদের বুদ্ধির মাধ্যমে একটা দেশের উন্নতির চেষ্টা করে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে সকল বুদ্ধিজীবীরা এদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে অথবা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের মেরে ফেলা হয়েছে তাতে করে আমাদের দেশ অন্যান্য সকল দিক থেকে পঙ্গু অবস্থায় পড়ে যায়। কিন্তু এ সকল নেতা যদি মুক্তিযুদ্ধের সময় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করতেন তাহলে আজকের হয়তো স্বাধীন দেশ আমাদের জন্য পাওয়া হত না। নেতাদের পাশাপাশি অনেক আপামর জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য অপূরনীয় অবদান রেখেছেন।