জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে যদি অনুচ্ছেদ লিখতে বলা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এটার ছবি দেখে থাকলেও বিস্তারিত বর্ণনা জানেনা বলে লিখতে পারবে না। তাছাড়া জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে যদি আপনাদের আসলেই অনুচ্ছেদ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে এই অনুচ্ছেদ সহজ ভাষায় দিয়ে দেওয়া হলো। এখান থেকে আপনারা জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুচ্ছেদ পড়বেন আর সহজ ভাবে মুখস্ত করে নিয়ে পরীক্ষার খাতায় খুব সুন্দর ভাবে লিখবেন। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা যে সহজ ভাবে এখানে প্রত্যেকটা বিষয় দিয়ে দিয়েছি সেটা কিন্তু অনেকের জন্যই কাজে আসবে।
শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবই সম্পর্কে কোন ধারণা অর্জন করতে চাইলে অথবা কোন বিষয় পাঠ্য বই থেকে খুঁজে না পেয়ে থাকলে আমরা সবসময় তাদেরকে তার প্রদান করি। আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা সহজভাবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য উপস্থাপন করলাম। জাতীয় স্মৃতিসৌধ হলো বাংলাদেশের সাভারে অবস্থিত। এটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এটার একটা তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় রয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ 1978 সালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে থাকলেও ১৯৮২ সালে তা সম্পন্ন হয়ে থাকে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা হল ১৫০ ফুট এবং। অনেক সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতির নাম জানতে চাওয়া হয় এবং আপনারা যদি এটা জানতে চান তাহলে বলব যে সৈয়দ মাইনুল হোসেন এটার স্থপতি ছিলেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধতে ৭ জোড়া দেওয়াল দেওয়া আছে এবং এই ৬০ জোড়া দেওয়াল সাতটি ঘটনাকে নির্দেশ করে থাকে। সেগুলো যদি জানতে চান তাহলে বলব যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে নির্দেশ করে থাকে। ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন এখানে নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই সাথে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এর বিষয় উল্লেখ করার পাশাপাশি ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন এবং 66 সালের 6 দফা আন্দোলন উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধা মিলিয়ে সর্বমোট সাতটি ঘটনা কে নির্দেশ প্রদান করা হয়ে থাকে এবং আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে বিশেষ বিশেষ জিনিস গড়ে তোলা হয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে উন্মুক্ত মঞ্চ ও প্রার্থনা কক্ষ মসজিদ ইত্যাদি। এছাড়াও আপনারা সেখানে হেলিপ্যাড ও ক্যাফেটেরিয়া পেয়ে যাবেন। এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে যদি কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে আমরা আপনাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে দেবো।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে অনুচ্ছেদ রচনা
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি আমরা দেখে থাকলেও অনেক সময় রচনা কিন্তু এভাবে পড়া হয়ে থাকে না বলে লিখতে পারি না। তাই জাতীয় স্মৃতিসৌধের রচনা পড়ার জন্য আপনারা যারা এখানে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এটা স্ক্রিনশট দিয়ে নিয়ে অথবা কপি করে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এমন একটা শ্রদ্ধার স্থান যেখানে বিদেশী রাষ্ট্রনায়ক গুণ আমাদের দেশে সরকারিভাবে ভ্রমণ করতে আসলে স্মৃতিসৌধে ভিজিট করে থাকেন। তাছাড়া এটা একটা রাষ্ট্র আচরণের অন্তর্ভুক্ত বিষয় হিসেবে আমরা জানি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুচ্ছেদ for class 7
আপনি যদি সপ্তম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং বাংলাদেশের স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলব যে এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য যে সকল ব্যক্তিবর্গ ছিল তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। তাই এখানে আপনাদেরকে যেভাবে অনুচ্ছেদ অথবা রচনা প্রদান করছে ঠিক সেভাবেই আপনারা যদি পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে ভালো নাম্বার অর্জন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আমরা যে বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত প্রদান করে থাকি সেগুলো যদি শিক্ষার্থীরা ভালো মতো রপ্ত করতে পারে তাহলে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে পারবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুচ্ছেদ সপ্তম শ্রেণী
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয় এবং তাদের সিলেবাসে এই বিষয়টা রয়েছে। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে আসলেই জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা অনুচ্ছেদ অথবা রচনার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে জেনে নিয়ে আপনারা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা শ্রেণিকক্ষের পরীক্ষা হয়ে থাকলে ভালো নাম্বার পাবেন বলে আশা করছি। ধন্যবাদ।