নজরুলের উক্তি

নজরুল হলেন আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় কবি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাংলা সাহিত্যের কোন শাখায় পদচারণা হয়নি এমন কোন শাখা এখন পর্যন্ত নেই। তাই বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি এই আমাদের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমাদের জাতীয় কোভিদ জন্ম হয় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের 29 আগস্ট এবং বাংলা ১১৭৬ সনের ১১ই জ্যৈষ্ঠ তারিখে।

তিনি ছিলেন অর্থাৎ নজরুল ইসলাম ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি এবং সংগীতকার। কাজী নজরুল ইসলামের ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি যা বাংলা সাহিত্য কে দিয়ে গেছেন তা এক কথায় বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করছে এখন পর্যন্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম কে বাদ দিলে বাংলার সাহিত্যের তেমন কোন সমৃদ্ধ আমাদের চোখে পড়বে না। তাই এই দুইটি সাহিত্যিক বা কবি যদি বাংলার বুকে জন্মগ্রহণ না করতো তাহলে হয়তো বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে এইরকম ভাবে মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়াতো কিনা সন্দেহ ছিল।

নজরুলের বেড়ে ওঠা

আপনারা জানেন বা ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে নজরুলের জন্ম হয় 1899 খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। এবং এই চুরুলিয়া গ্রামটি আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকে অবস্থিত। কাজী নজরুল ইসলামের পিতামহের নাম ছিল কাজী আমিনউল্লাহ তার পুত্র কাজী ফকির উদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার বাবা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। কাজী নজরুল ইসলামের ছোটবেলার ডাকনাম ছিল দুখুমিয়া। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ছোটবেলায় স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।

তিনি ছোটবেলা থেকেই মক্তবে কোরআন ইসলাম ধর্ম দর্শন এবং ইসলাম ধর্মতত্ত্ব অধ্যায়ন শুরু করেন বা শুরু করেছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়সেই তাকে জীবিকা অর্জনের তাগিদে স্থানীয় এক আসানসোল মহাকুমা শহরে রুটির দোকানে কাজ নিয়েছিলেন। পরবর্তী জীবনে তিনি যাত্রা দলের সাথে যুক্ত হন এবং যাত্রা দলের জন্য গান লিখতে শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তেও যোগ দিয়েছিলেন। এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি অকুন্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। তিনি যখন গ্রেফতার হন জেলে ছিলেন তখনই তার বিখ্যাত রচনা বিদ্রোহী কবিতা। জেলে বসে তিনি এই বিখ্যাত কবিতাটি রচনা করেছিলেন। ইংরেজ সরকারকে ভীত করে ফেলেছিলেন এই কবিতা রচনা করে। এখন দেখব নজরুল ইসলামের উক্তি গুলো কি কি ছিল।

নজরুলের উক্তি

আমাদের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা গান ে ছোট গল্প উপন্যাস সকল জায়গাতেই বিভিন্ন ধরনের উক্তির মাধ্যমে তিনি আমাদের এই সমাজকে বদলানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি ছিলেন এক অসাম্প্রদায়িক কোভিদ তাই তার লেখায় বা লেখার পড়তে পড়তে বিভিন্ন ধরনের উক্তি আমরা দেখতে পাই। এই উক্তিগুলি এখন আমরা আপনাদের জন্য দেখাবো সেই উক্তিগুলো বা সারা জীবন ধরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের জন্য কি করে গেছেন এবং বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার উক্তিগুলো কেমন ছিল। তার উক্তি দ্বারা প্রতিটি মানুষ যারা তাকে ভালোবাসে যাকে যারা তাকে জানার চেষ্টা করে সেসব উক্তিগুলো নিয়ে তারা অবশ্যই কাজ করে থাকে। তাহলে চলুন উক্তিগুলো দেখি।

“ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই।“
তিনি যেমন ছিলেন প্রেমের কবি তিনি ছিলেন তেমনি বিদ্রোহী কবি তিনি তার কবিতায় বারবার এই ধরনের মন্তব্য করে গেছেন যে, মামা এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রনতুর্য। তাহলে আমরা দেখতে পাই তিনি তার কবিতাগুলোর মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন।
.”প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।”
প্রেমকে এই বীরের কবি বিদ্রোহী কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। তাই তিনি তার গল্প নাটক কবিতায় সব সময় দেখা গেছে যে প্রেমকে নিয়ে সত্যের বাণী দিয়েছেন। তাই তার প্রতিটি লেখার মধ্যে এই বিষয়গুলি ফুটে উঠেছে। ফুটে উঠেছে বিদ্রোহিতা।
”তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন।”
এ ধরনের আরও উক্তি গুলো দেখার জন্য আপনারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে মনে করি। কারণ আমরা বিদ্রোহী কোভিদ আরো অনেক ধরনের উক্তি এখানে তুলে ধরেছি।

Leave a Comment