আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ড হল বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র যদি না থাকে বা না থাকতো তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতো। বর্তমান সময়ে কোন ব্যক্তির যদি আইডি কার্ড না থাকে অর্থাৎ তার যদি আঠারো বছর পূর্ণ হয়ে যায় এবং তার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে সে বাংলাদেশের নাগরিক বলে গণ্য হবে না। বাংলাদেশ সরকার এখন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করার জন্য একটি নীতিমালা ঘোষণা করেছেন। সেই নীতিমালা অনুযায়ী শিশুর জন্মের পর প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদ
পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনের আন্ডারে প্রত্যেকটা শিশুর জন্মের পরবর্তী সময় তাদের নিবন্ধন করাতে হবে। এবং জন্ম নিবন্ধন হয়ে গেলে যখন 18 বছর বয়স হয়ে যাবে তখন আপনা আপনি ভাবেই তারা সেখান থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এন আই ডি কার্ড। তাই এনআইডি কার্ড বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুর জন্মের পর এ কারণেই জন্ম নিবন্ধন করা উচিত এবং সেখান থেকেই যেহেতু তার জাতীয় পরিচয় পত্র হয়ে যাবে তাই কোন কমেন্ট শিশুর জন্ম নিবন্ধন করাতে অবহেলা করা যেন না হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র কিভাবে হয়
জাতীয় পরিচয় পত্র যখন প্রথম বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছিল তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নতুন ভাবে ভোটার লিস্ট করা হয়েছিল। ভোটার লিস্ট করা হলে তারা একটি নির্দিষ্ট ভোটার কেন্দ্রে নির্দিষ্ট দিনে ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটারদেরকে ডাকে এবং সেখানে তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড তৈরি করে। এভাবে প্রথমবার করার পর পরে আরো দুই একবার তারা তবে তখন আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী না আমাদের নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী কর্মকর্তা বৃন্দের দাঁড়ায় ছবি তুলে ভোটার লিস্ট করে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেই পদ্ধতি বদলে সরকার আলাদাভাবে নিয়ম-নীতি তৈরি করেছেন।
এই নিয়ম নীতি অনুযায়ী প্রতিবছর কিছু সংখ্যক নাগরিক জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়ে থাকেন। আর যদি কোন ভাবে কেউ এই আওতায় না পড়ে বা না এসে থাকে তাহলে তাকে আলাদাভাবে নির্বাচন কমিশনে নির্বাচন কমিশন অফিসার বরাবর দরখাস্ত লিখে অনুমতি নেওয়া যায়। আর এখন আজকে আমরা দেখব যে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে হলে আমাদের কি কি কাজগুলো করতে হবে। নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে হলে আমরা কোন কোন কাজগুলো করব সেই বিষয় নিয়েই এখন আপনাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরব।
নতুন আইডি কার্ড করার নিয়ম
আপনি যদি সরাসরি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে তালিকা তুলতে না পারেন তাহলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আপনি নতুন ভোটার বা নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া আবেদন করতে পারবেন। তবে নতুন ভোটার বা জাতীয় পরিচয় পত্র একই সূত্রে গাথা। সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে গেলে আপনাকে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে। ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনি ওয়েবসাইট লাগান করবেন। বিভিন্ন অপশন এর মধ্যে আপনি যে অপশন ক্লিক করবেন তা হল নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ এখানে গিয়ে যে বিষয়গুলি আপনার কাছ থেকে
চাইবে আপনি সব তথ্য গুলি সঠিকভাবে প্রদান করে অনলাইন সিস্টেমে আপনি ঘরে বসে থেকে এই সরাসরি অনলাইনে আবেদন করে জাতীয় পরিচয় পত্রের পেয়ে যেতে পারবেন। তবে এখানে আপনাকে ছবি যুক্ত করতে হবে। তবে আরেকটি কথা থাকে যে আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করে হঠাৎ লিস্টে নাম তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বয়স ১৬ বছরের বেশি হতে হবে অর্থাৎ কমপক্ষে ১৬ বছর হতে হবে। ১৬ বছর বয়সে ভোটার লিস্টে নাম তুলতে পারবে কিন্তু তারা ভোট দিতে পারবে না। এ ধরনের যেকোনো তথ্য জানার জন্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন। তাহলে দেখবেন আপনার যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন সব ধরনের তথ্য আমাদের এখান থেকেই আপনারা পেয়ে যাবেন আশা করি।