ভোটার আইডি বলতে সাধারণত আমরা যে বিষয়টি বুঝছি তা হল ভোটার তালিকা নাম তোলা। আমাদের বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যদি 18 বছর পূর্ণ হয় তবে সে অবশ্যই ভোট দিতে পারে। তবে ১৮ বছর পূর্ণ হলেই যে ভোট দিতে পারবে এমন নয়। কারণ হলো ১৮ বছর পূর্ণ করতে হলে বা পূর্ণ হলে অবশ্যই তাকে আবার ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। ভোটার তালিকা যদি নাম না থাকে তাহলে তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না যতই আঠারো বছর পূর্ণ হোক না কেন।
পূর্বে একটা নিয়ম ছিল যে প্রতি পাঁচ বছর পর পর অর্থাৎ যে কোন জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হতো। তখন নির্বাচন কমিশনের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল মানুষের নাম পুনর তালিকা তুলতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে পূর্বে থাকা ভোটার লিস্টের নাম গুলো সব থাকবে শুধুমাত্র প্রতিনিয়ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের নাম কর্তন করতে হবে এবং যারা নতুন ভাবে 18 বছর পূর্ণ হয়েছে তাদেরকে ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে হবে। এভাবে এখনকার সময় প্রতিনিয়ত ভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে।
নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম
নতুন ভোটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের অফিস অর্থাৎ প্রতি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর যেহেতু নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগ াদ করণ করে থাকেন। আর সেই সময়টিতে যদি আপনারা ভো টার তালিকা হালনাগাদে অংশগ্রহণ করতে না পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে। তবে নতুনভাবে নাম যুক্ত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি দরখাস্ত লিখতে হবে
নির্বাচন কমিশন বরাব। নির্বাচন কমিশন অফিসার অবশ্যই আপনার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলি দেখে আপনাকে নতুন ভাবে ভোটার হালনাগাদ কে যুক্ত করে নেবে। এভাবে কেন একটি পদ্ধতি। এছাড়া আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে যে পদ্ধতিতে আপনি ঘরে বসেই ভোটার তালিকায় আপনার নাম যুক্ত করতে পারবেন। আর ঘরে বসে যদি ভোটার তালিকা নাম যুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে এ বিষয়টি করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার নিয়মে আপনাকে নতুনভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে হবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪
২০২৪ সালে এসে আপনি কিভাবে ভোটার তালিকায় বা জাতীয় পরিচয় পত্র পাবেন বা যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আপনারা জানতে এসেছেন। কারণ আপনারা জানেন প্রতিনিয়ত মানুষের বা আমাদের দেশের নিয়ম কানুন বদলায়। অর্থাৎ পরীক্ষামূলকভাবে সবসময় চেষ্টা করে থাকে যে কোন কাজ সহজ পদ্ধতিতে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কিভাবে করা যায়। আর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে আজকে জেনে নিতে হবে বা জানাতে হবে। আপনারা আমাদের এখান থেকে অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন যে কিভাবে নতুন ভাবে ভোটার তালিকার হাল নাগাদ প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার নাম যুক্ত করতে পারবেন।
অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি আপনার নাম জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন বা ভোটার তালিকায় আবেদন করতে পারেন। এই ভোটার তালিকা আমরা বাঁচাতে পরিচয় পত্র তার জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন এর যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে ব্রাউজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন অপশনের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই ভোটার তালিকা হালনাগাদ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবং সেখানে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার যাবতীয় তথ্য ওখানে সংযুক্ত করতে হবে ছবিসহ।
তারপরে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সেন্ড বাটনে সেন্ড করে দিলে নির্বাচন কমিশন আপনার ভোটার তালিকায় নাম উঠানোর কাজ করবে। এভাবে আপনি ভোটার তালিকা নতুন ভাবে নিজের নাম সংযুক্ত করতে পারবেন। এ ধরনের তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পাশে থাকবেন বলে আশা করি।