নিসাব পরিমাণ সম্পদ কত টাকা

নিসাব আরবি শব্দ। ইসলামিক শরীয়তের পরিভাষায় যাকাতের হিসাব বলতে, যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নির্ধারিত যে সম্পদ রয়েছে তাকে নিসাব বলা হয়। যে পরিমাণ সম্পদ হলে যাকাত ফরজ হবে তাকে নিসাব পরিমাণ সম্পদ বলে। অর্থাৎ একজন মানুষের যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাকে আবশ্যিকভাবে যাকাত প্রদান করতে হবে তাকে নিসাব বলা হয়। আমাদের আজকে প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা নিসাব পরিমাণ সম্পদ বলতে মূলত কত টাকা বোঝায়? নিসাব পরিমাণ সম্পদ বলতে কি বুঝায়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। নিসাব পরিমান সরল পথ বলতে স্বর্ণের ক্ষেত্রে কতটুকু বা অন্যান্য কিছুতে কতটুকু হিসাব করা হয় তার বিস্তারিত তথ্যগুলো আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নিসাব বলতে কী বোঝায় এবং নিসাব শব্দের সঠিক অর্থটি কি? সেটি আপনারা জানতে পারবেন। সেজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকতে হবে। যারা আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বে শুধুমাত্র তারাই এই সম্পূর্ণ বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারবে। যারা আমাদের প্রবন্ধগুলো নিয়মিত পড়ে না তারা কখনোই আমাদের প্রবন্ধ উপলব্ধি করতে পারবেনা। সেজন্য প্রত্যেকের কাছে একটি অনুরোধ থাকবে আপনারা যখন আমাদের প্রবন্ধ পড়বেন তখন অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্যগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনারা সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

নিসাব সম্পদের পরিমাণ

প্রত্যেকটি সম্পদের ক্ষেত্রে নিসাব পরিমাণ বের করতে হয় এবং সেটা বের করে যাকাত প্রদান করতে হয়। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমাদের প্রত্যেকটি সম্পদের ভেতর থেকে নিসাব পরিমান সম্পদ বের করে সেটার প্রতি যাকাত প্রদান করতে হয়। আজকে আমরা আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখাবো কোন কোন সম্পদের কতটুকু জায়গা প্রদান করতে হবে। সোনা, রুপা সকল ক্ষেত্রেই নিসাব পরিমাণ সম্পদের যাকাত প্রদান করতে হবে। সেজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই এ প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

১. স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হলো বিশ মিসকল আধুনিক হিসাব অনুযায়ী সাড়ে সাত ভরি।

২. রুপার ক্ষেত্রে নিসাব বলতে দুইশত দেড় হাম বুঝায় আধুনিক হিসাব অনুযায়ী সাড়ে ৫২ তোলা এ পরিমাণ শোনা বা রুপা থাকলে যাকাত প্রদান করতে হবে।

৩. প্রয়োজনের উদ্ভিদের টাকা পয়সা বা বাণিজ্য দ্রব্যের মূল্য যদি সাড়ে ৫২ তোলার রুপার পরিমাণ হয় তাহলে সেই ব্যক্তিকে নেশা পূর্ণ হয়েছে বলে ধারণা করা হবে এবং তাকে যাকাত প্রদান করতে হবে।

৪. যদি সোনা রুপা টাকা পয়সা কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য এগুলোর পৃথকভাবে নেশা পরিমাণ না থাকে তাহলে এ সকল কিছু একত্রিত করে যদি ধারণা করা হয় যে সেটা নিসাব পরিমান সম্পদ হয়েছে তাহলে সেটাকে নিসাব পরিমাণ সম্পদ বের করে নিয়ে যাকাত প্রদান করতে হবে।

৫. বছরের শুরু ও শেষে নিসাব থাকলে যাকাত আদায় করতে হবে মাঝে যদি কম হয়ে যায় আবার বছরের শেষে যদি আবারো পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে বছরের শেষে তাকে যাকাত আদায় করতে হবে।

উপরে যে সকল নিয়ম কানুন গুলো উল্লেখ করা হয়েছে এই নিয়ম কানুন অনুযায়ী প্রত্যেককে যাকাত আদায় করতে হবে। যারা যাকাত আদায় করবে না তারা ইসলামের একটি পন্থা থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে ফেলবে। সেই জন্য বলছি যে আপনারা অবশ্যই যাকাত আদায় করবেন। যাকাত আদায় করা ফরজ। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত আদায় করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাকে অবশ্যই যাকাত আদায় করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করা প্রয়োজন। আপনারা এ সকল বিষয় সম্পর্কে যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। আপনারা আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করলে আমরা আরো নতুন নতুন বিষয় গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে চেষ্টা করব।

Leave a Comment