বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম

আমরা বিভিন্ন চিকিৎসক বা বিভিন্ন চিকিৎসা বই থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করি আপনারা যদি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খাওয়াবেন। আমাশয় হলো এক ধরনের ডায়রিয়া যা অনতে সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আমাশয় বাচ্চাদের সব সময় ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে আমাশয় গুরুতর হতে পারে বিশেষ করে অল্প বয়সে শিশুদের ক্ষেত্রে তাই সবসময় আপনার সন্তানদের এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চাদের আমাশয় এর জন্য যে ওষুধটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করবে আমাশয়ের কারণ এবং তাদের বয়সের উপর নির্ভর করে। আপনার শিশুদের ডাক্তারের নির্দেশনা বলেই অবলম্বন করে ওষুধ দিতে হবে। আপনি জানো তানো ওষুধ ফার্মেসির দোকান থেকে কিনে এনে খাওয়াবেন না অবশ্যই একটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ওষুধ খাওয়াবেন।

শিশুদের আমাশয়ের লক্ষণ

আমরা এখন আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব আপনারা কিভাবে বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চার আমাশয় লক্ষণ দেখা দিয়েছে। আমাশয় একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত অসুখ বাচ্চাদের মধ্যে আমাশার লক্ষণ গুলো কি কি সমস্যা হতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. পেটে ব্যথা হবে শিশুদের
  2. আমাশয় হলে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে।
  3. বমি বমি ভাব হবে এবং বমিও হবে
  4. বাচ্চা বেশি খেতে চাইবে
  5. বাচ্চার খুব জ্বর হবে
  6. ওজন কমে যাবে।

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ওষুধের নাম

এই মুহূর্তে আমরা আপনাদের আমাশয় রোগের কিছু ওষুধের নাম জানাতে চলেছি যে ওষুধগুলো বাচ্চাদের আমাশয় হলে আমাদের দেশের সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

1.Amodis Syrup
2.Ciprocin 250 Syrup
3.Zox Syrup
4.Filmet 60 ml Syrup

শিশুদের আমাশয় হলে করণীয়

যদি আপনার শিশুদের আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

  1. বাচ্চাকে অনেক বেশি পরিমাণে পানি শূন্যতা কমানোর জন্য তরল পানিও পান করাতে হবে।
  2. কলা ভাত আপেল সহজ এবং টোস্ট এর মত মিশ্রণ খাবার খুব সহজে হওয়া হয় এসব খাবার গুলো খুব ঘনঘন আপনার সন্তানকে আপনি খাওয়াতে পারেন।
  3.  ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে আপনার শিশুকে আপনি ডায়রিয়া ভালো হয় এ ধরনের ওষুধ গুলো খাওয়াতে পারেন।
     বাচ্চাকে অবশ্যই আমাশয় হলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে হবে বাচ্চা ঘুম অবস্থায় অনেক ভালো মননিবেশ করতে পারবে এবং আমাশয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে সে সুস্থ হয়ে যেতে পারবে।
  4.  আমাশয় বা ডায়রিয়া হলে অবশ্যই তার মাকে এবং আশেপাশের সবাইকে সবসময়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে যে কোন খাবার খাওয়ানোর সময় হাতমুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপরে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে।

ঘরোয়া চিকিৎসা মাধ্যমে আমাশয় থেকে মুক্তি

আপনার বাচ্চার যদি আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে সব সময় তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে। যেমন রস জাতীয় খাবার পরিষ্কার ঝোল বা অন্যান্য পানীয় জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে দিতে হবে।আপনার সন্তানের অসুস্থ থাকাকালীন যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেয়া উচিত এটি তাদেরকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।বাচ্চা ডায়রিয়া হওয়া অবস্থায় বাচ্চাকে সব সময় মিশ্রণ খাবার দিতে হবে। মিশ্রন খাবার সব সময় বাচ্চার পেট ও স্বাস্থ্য শান্ত রাখবে।

Leave a Comment