এক ডলার সমান বাংলাদেশের কত টাকা এ নিয়ে অনেক বাংলাদেশী খোঁজখবর রাখেন এবং বারবার জানার চেষ্টা করেন। যেহেতু ডলারের মান প্রতিনিয়ত ওঠানামা করতে থাকে তাই অনেক মানুষ কিছুক্ষণ পরপরই দেখতে থাকে এখন ডলারের দাম কত যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ডলারের মাধ্যমে পেমেন্ট পেয়ে থাকে। ঠিক এ কারণেই ডলারের দাম কেমন যাচ্ছে এ বিষয়ে অনেক মানুষের আগ্রহ। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিবছর আমেরিকায় বিভিন্ন কাজে যাচ্ছে। কেউ হয়তো পড়াশোনা আবার কেউ হয়তো চাকরির কাজে আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছে।
আমেরিকায় যাবার সময় বাংলাদেশি টাকা ও আমেরিকান ডলারের মধ্যে কতটুকু পার্থক্য রয়েছে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন সকলেই। এ কারণেই আমেরিকান ডলার সম্বন্ধে এত মানুষের আগ্রহ দেখা যায়। তবে ভারতীয় রূপির সাথে আমেরিকার ডলারের কেমন পার্থক্য সে বিষয়ে কেন বাঙ্গালীদের আগ্রহ এতটা বেশি? আপনারা হয়তো বলতে পারেন ভারতীয় অনেক বাঙালি রয়েছে যারা এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করে, তবে অনেক বাংলাদেশেও রয়েছেন যারা শুধুমাত্র কৌতূহলের বশে জানার চেষ্টা করেন ভারতীয় রুপি সাথে আমেরিকান ডলারের পার্থক্যটা কেমন। এর আগে তারা বাংলাদেশী টাকার সাথে আমেরিকান ডলারের পার্থক্যটা দেখে নেন এবং এরপর ভারতীয় রুপি সাথে বাংলাদেশী টাকার পার্থক্য করতে শুরু করেন।
কৌতূহলের বশে হোক অথবা প্রয়োজনের তাগিদে হোক যে কারণেই হোক না কেন আপনি যদি ভারতীয় টাকার সাথে আমেরিকান ডলারের পার্থক্য খুঁজে বের করতে চান তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি। আমরা একটি বিষয় অনুধাবন করার চেষ্টা করি যে একটি মানুষ তখনই একটি তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যখন এটি তার প্রয়োজন হয়। আমাদের বিশ্বাস আমেরিকান ডলার সম্বন্ধে যেকোনো তথ্য আপনাদের কাজে আসবে। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই
কোনো না কোনোভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সাথে পরিচিত এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের সাথেও অনেক টা জড়িয়ে আছে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর শুধুমাত্র চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ ভারতে যায়, ভারতে যাওয়ার পর নিশ্চয়ই সেখানে ভারতীয় রূপির মাধ্যমেই তাদের লেনদেন করতে হয়।। ঠিক এই কারণেই বাংলাদেশি টাকার সাথে ভারতীয় রূপের কতটা পার্থক্য তৈরি হচ্ছে সে বিষয়ে অনেক বাংলাদেশী খোঁজখবর রাখেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশিরা-ই নয়, ভারতীয় বাঙালিরা ও এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কমেন্ট করেন।
যারা ভারতীয় মুদ্রা সম্বন্ধে খোঁজখবর রাখেন তারা খুব ভালোভাবে জানেন যে বাংলাদেশী টাকার চেয়ে ভারতীয় রূপের দাম কিছুটা বেশি। ঠিক এ কারণেই আমেরিকান ডলারের সাথে বাংলাদেশি টাকার যতটা পার্থক্য রয়েছে তার চেয়ে কম পার্থক্য রয়েছে আমেরিকান ডলার ও ভারতীয় রূপির মধ্যে। সাধারণত একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝার জন্য আমরা সেই দেশের মুদ্রার সাথে আমেরিকান ডলারের পার্থক্য দেখলেই অনুমান করে ফেলতে পারি। এছাড়াও একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সামনে ভালো হবে নাকি আরো খারাপের দিকে যাবে সেটার উপর ভিত্তি করেই অনেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ইনভেস্ট করে থাকে। ব্যবসায় ইনভেস্ট করার আগেও জলারের দাম সম্বন্ধে যাচাই-বাছাই করা লাগে।
এই আর্টিকেলটি আমরা যখন লিখছি তখন এক ইউ এস ডলার সমান 82.55 ইন্ডিয়ান রুপি। এই মানটি সামনে আরো কম বেশি হতে পারে। আমরা হয়তো নিয়মিত এ বিষয়ে আপডেট দিতে থাকব যা জানার জন্য সব সময় আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। ইউ এস ডলার ছাড়াও ভারতীয় রুপি সম্বন্ধে যদি আপনার জানার খুব আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের জানাতে
পারেন, আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় রুপি সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার সামনে নিয়ে আসতে। আমেরিকান ডলারের সাথে ভারতীয় রুপির পার্থক্য সামনে ঠিক কতটা হচ্ছে তার ওপর চোখ রাখুন। হয়তো এখান থেকেই ধারণা করতে পারবেন দেশের অর্থনীতি কোন পথে এগোচ্ছে। আপনি হয়তো নিজেকে নতুন কোন গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এগোবেন দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পেরে।