বাংলাদেশের দিন প্রবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক যুবক বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশে প্রবাস জীবন যাপনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা ছিল বেকারত্ব। বেকার যুবকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন বাংলাদেশে সরকারি পদ্ধতিতে বৈধভাবে প্রবাসে যাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও প্রবাস করলেন ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক যুবক বিদেশে নিজের কর্মসংস্থান গড়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি নিজের পরিবার সচ্ছলতা বজায় রাখছেন।
তাই বলা যায় যে বর্তমানে প্রবাসী অর্থাৎ বিদেশে কর্মসংস্থান গড়ে তোলার সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। গ্রাম অঞ্চলের অনেক দরিদ্র পরিবার থেকে যারা বিদেশে চাকরি করছে তাদের এখন পারিবারিক অনেক সচ্ছলতা এসেছে। বাংলাদেশের দরিদ্রের সংখ্যা কমে গেছে অনেক এই প্রবাসে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে বেশি লোকবল পাঠানো হয় সেসব দেশের মধ্যে দুবাই অন্যতম।
দুবাই আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশের মধ্যে একটি প্রদেশ। এটি পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ তীরে আরব উপদ্বীপে অবস্হিত। ১৮৩৩ সাল থেকে দুবাই শাসন করে আসছে আল মাকতুম পারিবার। দুবাইয়ের বর্তমান শাসকের নাম মুহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম, পাশাপাশি তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করছেন।
বাংলাদেশের নাগরিকগঞ্জে সব দেশে বেশি কর্মরত রয়েছে সেই সব দেশগুলো হলো , সৌদি আরব, কুয়েত, মালোশিয়া, সিঙ্গাপুর ,আমেরিকা, দুবাই, ইতালি ইত্যাদি। তবে দুবাই বাংলাদেশী নাগরিকদের সংখ্যা অনেক। দুবাই একটি অন্যতম দেশ যে দেশে প্রতি বছর বাংলাদেশী নাগরিক লোকবল হিসেবে যায়। দুবাইয়ের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা? এরকম প্রশ্ন সবাই জানতে চায়। টাকা অর্থাৎ কোন দেশের কারেন্সি এর পরিমাণ এবং মান কখনোই এক থাকে না। কারেন্সি এর মান কখনো বেড়ে যেতে পারে অথবা কমে যেতে পারে। যেকোনো দেশের কারেন্সি এর রেট কখন বেশি বা কম হবে সেটা কারো জানার কথা নয়। তবে কোন দেশের অর্থনৈতিক এবং কোন দেশের আয় ও ব্যয়ের ওপর এটি নির্ভর করে থাকে।
বর্তমানে অর্থাৎ ২০২৪ সালের কারেন্সির রেট অনুযায়ী ডলারের পরিমাণ অর্থাৎ ডলারের রেট দিন দিন বেড়ে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশের প্রাপ্ত রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক প্রভাব বিস্তার করছে। বর্তমানে দুবাই দেশ এর কারেন্ট কি ২০২৪ সালে বাংলাদেশী টাকার ২৯ টাকা সমপরিমাণ এক টাকা।অর্থাৎ দুবাইয়ের এক টাকা অর্থাৎ বাংলাদেশি আনুমানিক ২৯ টাকা এর মত। তবে এর থেকে কম বা বেশিও হতে পারে। ২৯. ৫০ এর অন্তর্ভুক্ত। তাহলে আমাদের কোন পরিজন যদি দুবাই কর্মরত হয় তাহলে তার আর্থিক ইনকাম সম্পর্কে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ধারণা হয়ে যাবে। যদি কোন বাংলাদেশী নাগরিক দুবাইয়ের কোন চাকরিতে ১০০ টাকা বেতনভুক্ত হয় তাহলে বাংলাদেশের টাকায় রূপান্তরিত করলে সেটা কত হবে তার আনুমানিক ধারণা আমরা করে ফেলতে পারি।যেমন একশকে ২৯ দিয়ে গুন করলে গুনফল দিয়ে আমরা সেটা ধারণা করে ফেলতে পারি।
বিভিন্ন দেশের কারেন্সি বিভিন্ন রকম। উন্নত দেশের কারেন্সি এর রেট বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সবচাইতে কুয়েতি দিনারের রেট বেশি। তাই যারা কুয়েতে কর্মরত রয়েছে তারা অনেক ভালো অংকের স্যালারি ইনকাম করতে পারে। শুধু কুয়েত নয় উন্নত দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিক অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নতি করছে। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে আমাদের আশেপাশে যারা বিদেশে রয়েছে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
এভাবে বাংলাদেশ প্রবাসী নাগরিকদের মাধ্যমে প্রতিবছর একটা ভালো এমাউন্টের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের প্রবাসী নাগরিকদের ওপর গুরুত্ব পড়া উচিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল করার পেছনে বাংলাদেশের প্রবাসী নাগরিকদের অবদান রয়েছে। তাই তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং বিভিন্ন ভাতা প্রদান করার ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক করা প্রয়োজন। এরকম যেকোনো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ফলো করে পাশে থাকবেন।