এক রিয়াল সমান বাংলাদেশের কত টাকা

বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাবার কথা ভাবছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক বেশি কার্যকরী হবে কেননা এখানে আমরা সৌদি আরবের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ভালো দিক ও খারাপ দিক সম্বন্ধে আলোচনা করব এর সাথে সৌদি আরবের মুদ্রা নিয়ে কথা বলব। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যায় কিন্তু বাংলাদেশে বসে কেউ কল্পনা করতে পারবে না সেখানে কাজে গেলে আসলেও কতটা কষ্ট হতে পারে।

যাদের পরিশ্রম করার অভ্যাস রয়েছে তারা সৌদি আরবে গেলে খুব ভালো কিছু করতে পারবেন। পরিশ্রম করার অভ্যাস না থাকলে এমন কাজের উপর যেতে হবে যেন আপনার উপর খুব বেশি চাপ না পরে। এক্ষেত্রে খামারের কাজ অথবা দোকান কিংবা শোরুমের কাজ নিতে পারেন। সৌদি আরব যাওয়ার আগে অবশ্যই ভিসা এজেন্টের সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করে নিবেন যেন আপনাকে ঠিক ওই কাজটি দেওয়া হয় যেটি আপনি করতে পারবেন।

সৌদি রিয়াল সম্বন্ধে আমাদের মনে অনেক কৌতুহল থাকে কিন্তু সৌদি রিয়ালের সাথে বাংলাদেশি টাকার সম্পর্ক কেমন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। যারা সৌদি আরবে কাজ করে তারাও ঠিক কত টাকা বেতন পায় সে বিষয়ে কারো সাথে কথা বলতে চায় না অনেকে আবার সত্যিটা বলার আগ্রহ প্রকাশ করে না। ইন্টারনেটের এই যুগে এসে কোন তথ্যই আমাদের কাছে গোপন থাকে না তাই সৌদি রিয়াল বাংলাদেশি কত টাকা সমান হয় এটি এখন মুহূর্তের মধ্যেই আমরা জেনে ফেলতে পারি। এক সৌদি রিয়াল বাংলাদেশি প্রায় ৩০ টাকা সমান। এখান থেকে আপনার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কেউ যদি ১০০০ রিয়াল আয় করে তাহলে সে বাংলাদেশী 30 হাজার টাকার সমান আয় করতে পারবে। ঠিক এ কারণেই বিভিন্ন কাজের সৌদি আরব যাওয়ার এত বেশি আগ্রহ থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সৌদি আরব যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সেখানে অনেক বেশি কাজ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের কাজ করে যে টাকা আপনি কখনো আয় করতে পারবেন না সৌদি আরবে এক মাসে ঠিক তত টাকা আয় করা সম্ভব। সৌদি আরবে এক মাসে ত্রিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় কয়েক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব কাজের উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন কাজের জন্য সৌদি আরবে যাওয়া যায়, গৃহ পরিচারিকা থেকে শুরু করে সুপারভাইজার পর্যন্ত হতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি কত টাকা দিয়ে যেতে পারছেন সে বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন কাজের ভিসার জন্য বিভিন্ন অংকের টাকা প্রদান করতে হয়। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ভালো পরিশ্রম করতে পারে এবং অনেক ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারে তাই সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার কথা ভাবে। আগামী দিনেও সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রজেক্ট এর জন্য বাংলাদেশে অনেক শ্রমিক প্রয়োজন হবে।

সৌদি আরবে কাজ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গরম। যেহেতু সৌদি আরব একটি মরুভূমির দেশ তাই এখানে কাজ করতে গেলে প্রচন্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হবে। খুব বেশি গরমের মধ্যে থাকার অভ্যাস না থাকলে এখানে কাজ করা আপনার জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠবে। যেহেতু সৌদি আরবে আরো অনেক বাংলাদেশী রয়েছে তাই সেখানে তাদের সাথে মিলেমিশে থাকলে মন খারাপ হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ধৈর্য ধরে বেশ কিছুদিন কাজ করতে পারলে পরবর্তীতে আরো

ভালো কাজের ভিসায় যাওয়া সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলাম এবং আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম এখানে গেলে আপনার জন্য ভালো কি কি হতে পারে এবং খারাপ কি হতে পারে। সৌদি রিয়াল ও বাংলাদেশি টাকার মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়টিও আমরা তুলে ধরেছি। আশা করি এ বিষয়ে আপনি নিজে আরো অনেক চিন্তা ভাবনা করতে পারবেন এবং আপনার কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

Leave a Comment