শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম

শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনাকে মানতে হবে এবং আপনি যদি এই নিয়মগুলো না মানেন তাহলে অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। হলুদ এক ধরনের এমন একটি উপাদান যেটা প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায় এবং এই প্রকৃতি থেকে পা উপাদানটা এতটাই উপকারী যে এর উপকার বলে শেষ করা যাবে না। আমরা অনেকেই মনে করি হলুদ মানে শুধুমাত্র সেটা তরকারিতে ব্যবহার করার জন্য এক ধরনের রং কিন্তু এটা একেবারেই ভুল কথা। এটা প্রকৃতি থেকে পাওয়া মানুষের জন্য এক ধরনের ঔষধ যেটা আমরা তরকারির সঙ্গে রান্না করে খায় বা সরাসরি আমাদের ত্বকের উপর মাখি যাই করি না কেন তার উপকার অবশ্যই আমরা পাব।

কাঁচা হলুদের প্রচুর পরিমাণে জীবাণু নাশক ক্ষমতা আছে এবং এটা প্রকৃতি থেকে পাওয়া অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। তাই সঠিক নিয়মে আমরা যদি কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের উপর ব্যবহার করতে পারি তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। তবে কাঁচা হলুদের সঙ্গে অবশ্যই এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো মিস করলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায় এক্ষেত্রে কোন কোন উপাদান কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করব আমাদের এই ছোট্ট প্রতিবেদন থেকে তাই আমাদের সঙ্গে থাকুন।

কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়

কাঁচা হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু নিয়ম আছে যেমন কাঁচা হলুদ বেটে সরাসরি মুখের উপর এপ্লাই না করে তার সঙ্গে এমন কিছু উপাদান মিশ্রণ করতে পারেন যেখান থেকে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য কাঁচা হলুদ বেটে তার সঙ্গে দুধ এবং আরো অন্যান্য উপাদান যেমন বেসন অথবা মধু এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে লেবুর রস মিশিয়ে অনেকে ব্যবহার করেন। অনেকে আছেন যারা টক দই ব্যবহার করেন এটা অনেক উপকারী জিনিস তবে অবশ্যই সর্বোচ্চ 5 থেকে 10 মিনিট মুখের উপর এটা এপ্লাই করা যাবে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

হলুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত সেটা হচ্ছে আপনি যে কাজের জন্য হলুদ ব্যবহার করছেন সেখানে হলুদ ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা পরিষ্কার ভাবে আগে জেনে নিন। যে উপাদানের সঙ্গে আপনি হলুদ ব্যবহার করছেন সেই উপাদানের সঙ্গে হলুদ ব্যবহার করে যাবে কিনা সেটাও আপনাকে জানতে হবে। এরপরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হলুদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিদিন যারা হলুদ ব্যবহার করে তাদের এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এবং সর্বোচ্চ দুই বার হলুদ মিশ্রিত যে কোন উপাদান আপনি আপনার চেহারার উপর লাগাতে পারেন এর থেকে বেশি নয়।

হলুদের যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সতর্ক থাকুন। অনেকে আছেন যাদের হলুদ থেকে এলার্জি আছে সেটা জানেন না সে ক্ষেত্রে যারা হলুদ থেকে এলার্জি আছে বিষয়টি বুঝতে পারবেন তখন থেকে হলুদ ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন এবং একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে সাধারণত মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং মুখের উপর থাকা বিভিন্ন ধরনের ময়লা দূর হয়। ত্বকের নিচে থাকা বিভিন্ন ধরনের জীবাণু পরিষ্কার হয়। তবে এই পরিমাণটা সঠিক পরিমাণে হতে হবে অর্থাৎ মুখের উপর নিমপাতা এবং হলুদের যে মিশ্রণ আপনি ব্যবহার করছেন সেখানে হলুদের গোড়ার অংশ থাকতে হবে বেশি এবং নিম পাতার অংশ থাকতে হবে পরিমাণ মতো কম। তারপরে এই মিশ্রন পেস্ট আপনার চেহারার উপর পাচ মিনিট apply করতে হবে এবং আরো পাঁচ মিনিট রেখে সেটা ধুয়ে ফেলতে হবে এর বেশি সময় রাখা যাবে না।

সপ্তাহে একদিন আপনি এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন যেটা আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে এবং চেহারা থেকে ব্রণের দাগ দূর করতে বা ব্রণ বের হওয়া দূর করতে অনেক বেশি কাজে আসবে।

Leave a Comment