দুধ পুষ্টি সমৃদ্ধ তরল একটি খাবার সূর্যাস্তের জন্য উপকারী আমাদের সকলের খাওয়া উচিত। দুধে কি তরল খাদ্য হওয়া সত্ত্বেও রাসূলে সাল্লাম এটিকে খাদ্য এবং পানীয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যে দুধ আর জন্য খুবই যথেষ্ট । দুধ অন্য সব খাবারের চাইতে পুষ্টি সময় তো খাবার এই খাবারের সাথে কোন খাবারের তুলনায় হয় না। দুধ খাওয়ানোর সময় বেশ কিছু দোয়া আমাদের ইসলামিক বিভিন্ন হাদিস শরীফে চলে আসছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাম তাদের যুগে কখনোই দুধের হাতিয়া পেতেন না হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় এসেছে ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন। তোমাদের বাড়িতে কেউ যদি কোন হাদিয়া নিয়ে আসে বা কোন জিনিস নিয়ে আসে তোমাদের দিতে তাহলে সেই তিনটি জিনিস কখনোই ফিরিয়ে দেয়া যাবে না সেই তিনটি জিনিস হলো বালিশ সুগন্ধি তেল এবং দুধ। এই তিনটে জিনিস কখনোই ফিরিয়ে দেয়া যাবে না বিভিন্ন হাদিস শরীফে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
নবীজি মহানবী সাঃ দুধ পান করার পর একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যখন তোমাদের কেউ দুধ পান করে, এই দোয়া পাঠ করবে। তাহলো-
اَللَّهُمَّ بَاركْ لنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু।’
অর্থ: হে আল্লাহ! এই খাবারে আমাদের বরকত দিন এবং তা বাড়িয়ে দিন।
সব সময় আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে তিনি যেন আমাদের সুস্থ থাকে ভালো রাখে। আমাদের সন্তানদের ভালো রাখে শুধু দুধ না যে কোন খাবার খাওয়ার আগে বিসমিল্লা বলে খাবার খাওয়া শুরু করা উচিত।
একটি শিশুর জন্য তার মায়ের বুকের দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মায়ের বুকের দুধ থেকে একটি শিশু অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রোটিন পেয়ে থাকে। মায়ের বুকের দুধ একটি ছোট শিশু খুব সহজে হজম করে ফেলতে পারে এটি সৃষ্টিকর্তা সেভাবেই তৈরি করেছেন। মায়ের বুকের দুধ একটি শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী খাবার।
একটি হাদিস এসেছে হযরত মুসা আলাই সাল্লাম জন্মের পর তার মাকে নির্দেশ দিয়েছিল আমি মুসার মায়ের অন্তরে ইঙ্গিতে নির্দেশ দিলাম তাকে দুধ পান করাও এই আয়াতে এসেছে জন্মের পর শিশুর জন্য সর্বোত্তম খাবার হল মায়ের বুকের দুধ। আল্লাহ তায়ালা তাই প্রত্যেক নবজাতক শিশুর জন্য মায়ের দুধ সৃষ্টি করেছেন যেই দুধ হালকা মিষ্টি যা নবজাতক শিশুর নাজুক অবস্থার জন্য বিশেষ উপযোগী। মহানবী সাঃ মায়ের বুকের দুধ পান করার প্রতি গর্ভবতী মহিলা থেকে রমজানের রোজা রাখার বাধ্যকতা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। মানে একটি মা যদি বাচ্চা হবার পর তার মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাটিকে খাওয়ায় তাহলে সে রোজা না রাখলেও তার খুব বেশি পাপ হবে না এটা ইসলামের বিভিন্ন হাদিসে এসেছে।
বর্তমানে চিকিৎসকরা শিশুকে মাতৃদুগ্ধ ধানের ব্যাপারে যেসব তথ্য তুলে ধরেন। আজ থেকে হাজার বছর আগে সেসব তথ্য ইসলামকুরানেই তুলে ধরেছিলেন। কুরআন হাদিসে মায়ের বুকের দুধ বার করানোর ব্যাপারে একদম সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।আল্লাহ তাআলা সুরা লোকমানের ১৪নং আয়াতে বলেন, ‘আমি তো মানুষকে তার পিতামাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্ট স্বীকার করে গর্ভে ধারণ করে। অতঃপর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে।’অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে।
অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞান নবজাতক শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয়েছে।সর্বোপরি শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করালে শিশু ও মায়ের মধ্যে এমন একটি মানসিক বন্ধন তৈরি হয়, যা চিরস্থায়ী।মুসলিম উম্মাহর সব শিশুর মায়ের উচিত কুরআনের হুকুম অনুযায়ী তাঁর সন্তানকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করানো। পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করানোর পর প্রয়োজনে অতিরিক্ত আরো ছয় মাস শিশুকে দুধ পান করানো যেতে পারে।