পদ্মা সেতু সম্পর্কে বাংলা রচনা এখন অনেক পরীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে। অনেক পরীক্ষার প্রশ্ন এই পদ্মা সেতু সম্পর্কে বাংলা রচনা বা বাংলা অনুচ্ছেদ আসছে। তখন শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো প্রশ্নের উত্তরটি প্রদান করতে পারছে না। কেননা শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিক তথ্যগুলো নেই যে তথ্যগুলো সংযুক্ত করে পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ রচনা করতে হবে। আর তাই সকলের জন্য আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ সাজাচ্ছি যেখানে পদ্মা সেতুর সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করা হচ্ছে।
এই অনুচ্ছেটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে মনোযোগ সহকারে এই প্রবন্ধটি পড়তে পারে এবং এই প্রবন্ধ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সকল তথ্যগুলো উপলব্ধি করতে পারে সেই দিকটা বিবেচনা করে আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ সাজাচ্ছি যেখানে পদ্মা সেতু সম্পর্কে অনুচ্ছেদ রচনা উল্লেখ করা হবে।
আপনারা যদি এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং এখানে যে অনুচ্ছেদটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হুবহু মুখস্ত করে নেন তাহলে পদ্মা সেতু সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো আপনারা পেয়ে যাবেন। আর তাই আপনাদেরকে বলছি যে নিজের অংশে যে অংশটি আপনারা পাচ্ছেন এই অনুচ্ছেদটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। আপনারা অবশ্যই কোন অংশ বাদ রাখবেন না। এমনটা হতে পারে যে আপনি একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ মুখস্ত করলেন কিন্তু আপনি অনুচ্ছেদের কিছু কিছু অংশ বাদ রেখে দিলেন এটা কোনভাবেই করা উচিত হবে না। এটা করলে আপনি সম্পূর্ণ ভুল পথে এগোচ্ছেন।
পদ্মা সেতু
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু। কোনরুপ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্পটি সম্পূর্নরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রধান কৃত অর্থে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটা দেশের বৃহত্তম প্রকল্প এবং দেশের বর্তমান সর্ববৃহৎ সেতু। পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২ টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্প্যানের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ প্রায় ১৮.১০ মিটার।
মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া থেকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পর্যন্ত সংযুক্ত সে দুটি স্তর বিশিষ্ট আর তাই এটাকে বহুমুখী সেতু বলা হয়। এর উপরে রয়েছে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিকট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এবং তার আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ নামক একটি কোম্পানি। এই সেতুটির কাজ শুরু করা হয় ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর এবং এটি সম্পূর্ণ করা হয় ২০২২ সালের ২৩ জুন তারিখে।
সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় এই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ট্রোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহন করেন এবং এর মাধ্যমে সে দুটি উন্মুক্ত করা হয়। মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন সংযোগ, সড়ক ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ। এমনকি এই অর্থের মধ্যে বেদনা ভাতা সকল কিছু প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮০০৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। সরকার ১ শতাংশ সুধারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
অনুচ্ছেদ পদ্মা সেতু
সম্মানিত পাঠক মন্ডলী, পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদটি আপনার উপরে দেখতে পাচ্ছেন এই অনুচ্ছেদটি যদি আপনারা পড়েন এবং এই অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে আপনারা অনুধাবন করতে পারেন তাহলে এই অনুচ্ছেদটি পরামাত্র আপনারা যে কোন সময় যে কোনো জায়গায় পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদটি উল্লেখ করতে পারবেন। পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ রচনা করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই অনেকগুলো তথ্য জানতে হবে। সকল তথ্যগুলো আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। আপনার মনোযোগ সহকারে প্রবন্ধটি পড়বেন এবং এই প্রবন্ধটি আপনি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন। অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিলে তারাও এই প্রবন্ধটি পড়বে এবং তারাও আপনার মত সহযোগিতা পাবে।