সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আপনার অনেকেই একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে অনুচ্ছেদ চেয়েছেন। আপনারা যারা আমাদেরকে এসএমএস করেছেন এবং কমেন্ট করেছেন তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আজকে আমরা আপনাদের এসএমএস এবং কমেন্টেভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আপনারা মনোযোগ সহকারে এই অনুচ্ছেদটি পড়বেন। কেননা আমরা প্রতিনিয়তই অনেক গুরুত্ব সহকারে এবং তথ্যবহুল অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।
আর আজকেও সেরকম ভাবেই একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আমরা যে সকল মানুষের গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করে থাকি সেসব অনুষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এজন্য আমরাও আশা করব যে আপনারা গুরুত্ব সহকারে সকল মানুষের গুলো পড়বেন এবং আপনারা চাইলে এই সকল মেসেজ গুলো আমাদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারেন।আপনারা এই সকল অনুচ্ছেদ গুলো যদি সরাসরি সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
আপনারা আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন যাতে আমরা আপনাদেরকে সরাসরি সাহায্য সহযোগিতা করতে পারি। এছাড়াও আরো যে কোন কিছু যদি আমাদের কাছ থেকে জানতে চান তাহলে আমরা চেষ্টা করবো সে সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার। আমরা প্রতিনিয়তই আপনাদের প্রয়োজনীয় চিন্তা করে আমাদের সকল কার্যক্রমগুলো এগিয়ে যাচ্ছি। আর আপনারও আমাদের সহযোগিতা করবেন যাতে আমরা আপনাদেরকে সকল কিছু জানিয়ে দিতে এগিয়ে আসতে পারি
:- একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দেশে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলা চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থী মিছিল বের করে। আর সেই মিছিলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পুলিশ বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। আর সেই হামলায় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত সহ অনেকেই প্রাণ হারায়। তখন থেকে এই দিনটিকে আমরা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে যাচ্ছি। তবে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
যখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস দিবস হিসেবে এই দিনটিকে ঘোষণা করা হয় তখন থেকে আমাদের দেশে অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের সকল দেশেই এটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি দেশে এটি অনেক বিনম্রতার সাহায্যে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে। এছাড়া ২০০৮ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতিতে এই দিনটি বহির্বিশ্বের নিকট নতুন পরিচয় পেয়েছে। আমরা একটা সময় এই দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন করতাম। কিন্তু বর্তমানে এই দিনটি আর জাতীয় পর্যায়ে নেই। এই দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালন করা হচ্ছে।
কেননা এই দিনটি কেবল আমাদের মাতৃভাষার নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বরং আমাদের মুক্তিযুদ্ধসহ জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য দারুন ভাবে প্রভাবিত করেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম আমাদের জাতীয় জীবনে দারুনভাবে প্রভাব ফেলেছে। আমাদের মাতৃভাষা আমাদের অমূল্য সম্পদ এই সম্পর্কে কোনোভাবেই ক্ষুন্ন হতে দেওয়া যায় না। আর তাই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীগণ আন্দোলনের ডাক দেন। আর তাদের আন্দোলনের স্বার্থে আমরা এই দিনটিকে পেয়েছি আমরা আমাদের ভাষাকে পেয়েছি। আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে পেয়েছি আমরা কোনভাবেই এই দিনটিকে হারিয়ে যেতে দিব না। আমরা প্রতি বছরই এই দিনটিকে উদযাপন করব আর সকল শহীদদেরকে স্মরণ করব।
একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ
আপনার উপরে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ দেখছেন এই অনুচ্ছেদটি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একসাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। আপনারা মনোযোগ সহকারে এই অনুচ্ছেটি পড়বেন। এছাড়াও আরও অনেক অনুচ্ছেদ রয়েছে সে সকল অনুচ্ছেদ নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। আপনারা যদি আরো অন্য কোন অনুচ্ছেদ আমাদের কাছ থেকে পেতে চান তাহলে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব সেই সকল অংশগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার প্রত্যেকটি প্রবন্ধের নিচের অংশে কমেন্ট বক্স রয়েছে সেখানে আপনারা আপনাদের মন্তব্য আমাদেরকে জানাবেন।