আপনারা যারা পাসপোর্ট বানাবেন বলে ভাবছেন তাদের উদ্দেশ্যে এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। অর্থাৎ এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য কোন ব্যাংক নির্ধারণ করবেন তা জেনে নিন। অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে যে পাসপোর্ট এর আবেদন করছেন সেই আবেদনের ভিত্তিতে আবেদনের যে খরচ এবং যে সরকারি ফি রয়েছে এটা আসলে কোন কোন ব্যাংক গ্রহণ করে থাকে সে প্রসঙ্গে জানতে এই তথ্যগুলো পড়ে দেখুন। টাকা প্রদান করার জন্য আপনারা যারা ব্যাংকের নাম খুঁজে পেতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যেই আমরা এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম।
আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে আপনারা যখন দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করবেন তখন অবশ্যই প্রথমত পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। কিন্তু পাসপোর্ট তৈরি করার ব্যাপারে আপনারা যারা কোন তথ্য একেবারেই জানেন না তাদের জন্য বলব যে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সহকারে পাসপোর্টের আঞ্চলিক যে অফিসগুলো রয়েছে তার আশেপাশের অনলাইন সার্ভিসের দোকানে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তি যদি আপনাদের এলাকায় এ ধরনের কাজগুলো করে থাকে তা দেখা হলে তাদের থেকেও করে নিয়ে আপনারা সরাসরি আঞ্চলিক অফিসের কাছে চলে যাবেন।
এক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য যেমন ধরনের আবেদন করেছেন ঠিক তত টাকাই পেমেন্ট করতে হবে। বিশেষ করে পাসপোর্ট এর আবেদন করার সময় আপনাদের জন্য তিন ধরনের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আর এগুলো হলো সাধারণ আবেদন জরুরি আবেদন এবং এক্সপ্রেস আবেদন। তাই আপনি কোন ধরনের আবেদন করছেন এবং এটা পাঁচ বছর মেয়াদী নাকি দশ বছর মেয়াদে আবেদন সেটা উল্লেখ করলেই কিন্তু খরচ কত টাকা আসতে পারে সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে আপনি ৪৮ পাতার পাসপোর্ট তৈরি করবেন নাকি ৬৪ পাতার পাসপোর্ট তৈরি করবেন।
অর্থাৎ এই ধরনের বিষয়গুলো যখন আপনি উল্লেখ করবেন তখন আপনার পাসপোর্ট এর জন্য যত টাকা সরকারি খরচ হবে সেটা ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ হয়ে চলে আসবে। আর আপনারা যখন এই পেমেন্ট করবেন তখন কোন ব্যাংকের পেমেন্ট নিলে তা গ্রহণ করবে তা অনেকেই জানতে চেয়ে এখানে ভিজিট করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বলবো যে পাসপোর্ট প্রদান করার জন্য অথবা পাসপোর্ট এর আঞ্চলিক অফিসের সকল ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য যে খরচ আপনারা জমা দিচ্ছেন সেটা যে কোন ব্যাংক গ্রহণ করবেন।
কোন ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেওয়া হয়
এক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর যে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে তার আশেপাশে যে সকল ব্যাংক রয়েছে সেগুলোতেই কিন্তু এই টাকা গ্রহণ করা হয়। তবে এটা ঠিক যে আপনি যদি সেই সকল ব্যাংকে টাকা জমা দিতে চান তাহলে অধিকাংশ ব্যক্তি সেই সকল ব্যাংক টার্গেট করে টাকা প্রদান করতে চাই বলে সেখানে অনেক ভিড় হয়। এই ক্ষেত্রে আপনারা সেই সকল ব্যাংকগুলো স্কিপ করে আশেপাশের অন্যান্য ব্যাংক অথবা আপনাদের স্থানীয় যে সকল ব্যাংক রয়েছে সেগুলোতে আপনারা চালান এর মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারেন।
পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেয় কোন কোন ব্যাংক
পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেই এমন ব্যাংকের নাম যদি জানতে চান তাহলে প্রত্যেকটা ব্যাংকের নাম আলাদা হবে উল্লেখ করে কোন ফায়দা পাওয়া যাবে না। তাই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার বিষয়ে আপনারা যে কোন ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেন এবং যদি ব্যাংকে না যেতে চান তাহলে এটা অনলাইনের মাধ্যমেও করা যাবে। অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে ই চালান নামক যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনারা পাসপোর্ট এর টাকা প্রদান করছেন বলে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে এই টাকা দিয়ে দিতে পারবেন।
ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
ব্যাংকে যদি পাসপোর্ট এর টাকা প্রদান করতে চান তাহলে আবেদনের সেই ডকুমেন্ট সহকারে যে চালান রয়েছে সেই চালানোর প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিবেন। ব্যাংকে যেখানে টাকা জমা নেওয়া হয় সেই স্থানে লাইনে দাঁড়িয়ে আপনারা টাকা প্রদান করলে আশা করি তারা সুন্দরভাবে আপনাদের কাগজপত্র দেখা সাপেক্ষে টাকা নিয়ে নিবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম এবং কোন কোন ব্যাংকে টাকা জমা নেয় তা বুঝতে পেরেছেন।