কোন কোন ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়া হয়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ। আজকে আমরা পাসপোর্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আপনাদের জানাবো। আপনারা যারা পাসপোর্ট তৈরি করতে চান অথবা আপনারা যারা বিদেশ যেতে চান তাদের কিন্তু এই তথ্যগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। পাসপোর্ট তৈরির জন্য কিছু নিয়ম কারণ এবং কিছু পদক্ষেপ রয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। এবং পাসপোর্ট তৈরি করতে নির্ধারিত ফ্রি এর টাকা জমা দিতে হয়।

এখন পাসপোর্ট তৈরির জন্য নির্ধারিত ফি আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে পারব। কিন্তু আগে এই নিয়মের প্রচলন ছিল না। এর জন্য পাসপোর্ট তৈরীর টাকা জমা দিতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছে। কিন্তু এখন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়া যায়। এটি একটি খুবই নিরাপদ একটি পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পাসপোর্ট খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারবো।

পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন মানুষের থাকে। যেমন,,,
পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
পাসপোর্ট তৈরি করতে কি করতে হয়?
পাসপোর্ট বানাতে কিভাবে আবেদন করতে হয়?
পাসপোর্ট বানাতে কত টাকা লাগে?
পাসপোর্ট এর জন্য নির্ধারিত ফ্রি কিভাবে পে করতে হয়?
কোন প্রতিষ্ঠান এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি হয়?
রকম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানাবো।
কিভাবে পাসপোর্ট তৈরি করা হয় এবং কিভাবে নিরাপদে পাসপোর্ট এর ফি জমা দেওয়া যায় এগুলোই আপনারা জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।
তাই আমরা সংক্ষিপ্ত এবং সহজ ভাষায় আপনাদের কাছে সমস্ত তথ্য সরবরাহ চেষ্টা করব।

পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার জন্য কোন কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করতে কিছু কাগজপত্র চেয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মূল জাতীয় পরিচয় পত্র, ই পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি, নাগরিক সনদ। নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় আশাকরি তা আপনার কাছে রয়েছে।

সোনালী ব্যাংক ছাড়াও আরো পাঁচটি ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেওয়া হবে। নিশ্চিন্তে নিরাপদে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এই ব্যাংকগুলোর যেকোন শাখায় পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।
এ পাঁচটি ব্যাংক হলো ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। এসব ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অর্থ জমা দেওয়া যাবে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইলের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি এসব ব্যাংকে পরিশোধ করা যাবে।

আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সকল ব্যাংকেই এই ধরনের সেবা চালু হবে বলে আশা করা যায়। পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে আপনার কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবেন। তবে এই সমস্ত ব্যাংক ছাড়াও আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করার মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে, বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিতে পারেন।

এবার আমরা জানবো কিভাবে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে কি কি প্রসেস সম্পন্ন হওয়ার পর একটি পাসপোর্ট আমরা হাতে পেতে পারি।অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ নেবেন। তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট

অফিসে যাবেন। সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন। এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

প্রিয় বন্ধুগণ আশা করি আমরা আপনাদের কাছে আপনাদের প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করতে পেরেছি। এই তথ্যগুলো তারা যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার আশেপাশের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন এবং তাদের কেউ তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।

Leave a Comment