নাশপাতি ফল ছবি

আজকে যে প্রবন্ধটি আপনারা দেখতে যাচ্ছেন এই প্রবন্ধটি একটু ভিন্ন ধরনের প্রবন্ধ হতে যাচ্ছে। কেননা এই প্রবন্ধটি পড়লে আপনারা নাশপাতি ফল সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পারবেন। আপনি কি নাশপাতি ফল চেনেন? নাশপাতি ফল খেতে কেমন সেটা কি আপনি জানেন বা নাশপাতি ফল আপনি কখনো দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন বা নাশপাতি ফল সম্পর্কে যদি কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে বলছি আপনি আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ুন। তাহলে আমাদের এই প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নাশপাতি ফল দেখতে পাবেন।

কেননা এখানে অনেকগুলো নাশপাতি ফলের ছবি উল্লেখ করা হয়েছে এই ছবিগুলো আপনারা দেখতে পারবেন। সেই সাথে নাশপাতি ফল সম্পর্কে অনেক কিছুই আপনি জানতে পারবেন। এই ফল কখন সংগ্রহ করা হয়, কখন এই ফলটি বেশি ফলে বা কোন দেশে এই ফলের উৎপাদন সব থেকে বেশি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।

আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নাশপাতি ফল সম্পর্কে যে সকল তথ্যগুলো আপনাদের জানার প্রয়োজন। সকল তথ্যগুলোই আপনারা বিস্তারিতভাবে আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমেই জেনে নিতে পারবেন।

নাশপাতি ফলের বিবরণ

নাশপাতির ইংরেজি প্রতিশব্দ পিয়ার। ধারণা করা হয় যে পাশ্চাত্য জার্মান শব্দ পেরু থেকে এটির উদ্ভব। প্রাচীন গ্রিসে নাশপাতি বমন বা বমি দূরীভূত জনিত চিকিৎসা কর্মে এই ফল ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর থেকে এটি নাশপাতি ফল নামে সকলের কাছে সুপরিচিতি লাভ করেছে। প্রাচীন বিশ্বের উৎপন্ন উদ্ভিদ হিসেবে এটি ইউরোপের পশ্চিমাংশ এবং উত্তর আফ্রিকার পূর্বাংশ থেকে শুরু করে এশিয়া মহাদেশের উপকূল অঞ্চল ও নমনীয় তাপমাত্রার এলাকা সমূহে বেশি লক্ষ্য করা যায়।

মাঝারি আকৃতির গাছ রূপে এটি ১০ থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা সম্পন্ন হতে পারে। এগুলো লম্বা ও সরু আকৃতির গাছ হয়ে থাকে। তবে কিছু প্রজাতি গুল্মগুচ্ছের মত হয়ে থাকে। পাতাগুলো সুবিন্যাস্ত সরল ও সাধারণ মানের যা দুই থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বাটে হয় ও সবুজ রং ধারণ করে। প্রজাতি ভেদে পাতার আকার ডিম্বাকৃতি থেকে শুরু করে শুরু ও তীক্ষ্ণ আকৃতির হয়ে থাকে।

আপনারা যারা নাশপাতি ফল দেখেছেন তারা হয়তো আমাদের আঞ্চলিক ফলগুলো দেখেছেন। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে যে সকল ফলগুলো উৎপাদিত হয় সেই সকল ফলগুলো খুব কম দেখা যায়। আমাদের অঞ্চলেও বৈশ্বিক ফল গুলো খুব একটা দেখা যায় না। তাই আমরা যে সকল ফলগুলো দেখি সে সকল ফলগুলো শুধুমাত্র আমাদের অঞ্চলের যে সকল ফলগুলো ফলে সেগুলোই দেখা যায়।

নাশপাতি ফলের সুন্দর ছবি

নাশপাতি ফল মূলত গ্রীষ্মকাল ও শরৎকালে বেশি জন্মে। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে পাকার পূর্বেই সবুজ অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ফ্রান্সে দীর্ঘস্থায়ী সুগন্ধযুক্ত নাশপাতি সংগ্রহের জন্য তিনটি পৃথক সময়কে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফল পাকার ১৫ দিন বা তার পূর্বে প্রথমবার। এরপর এক সপ্তাহ কিংবা দশ দিন পর দ্বিতীয়বার এবং সেই সাথে পূর্ণাঙ্গভাবে পাকার সময়ই শেষবার সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। প্রথমবার সংগ্রহের ফলে সর্বশেষ খাবার উপযোগী করে রাখা হয়। নাশপাতি গাছের উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তবে অনেকেই নাশপাতি ফল গাছে না পেকে গাছ থেকে সংগ্রহ করে। তারপরে বাসায় নিয়ে বেশি পাকিয়ে তারপরে সে সকল ফলগুলো খাওয়ার উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করেন। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে দশটি দেশে এটি বেশি উৎপাদিত হয়। যেমন: চীন দেশে প্রায় ১৫ কোটি ২৩ লক্ষ ১৮ টন ফল প্রতি বছরে উৎপাদিত হয়। তবে এই সমীক্ষাটি ২০১০ সালে করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ৭৩ লক্ষ ৮ হাজার ৮৫ টন ফল উৎপাদন সম্ভব হয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি যেখানে ৭৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৬ টন ফল প্রতিবছরে উৎপাদিত হচ্ছে।

Leave a Comment