যত দিন যাচ্ছে মেয়েদের সাজগোজ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগেকার দিনে মেয়েরা শুধু গয়না পরে সাজগোজ সম্পন্ন করে নিত। কিন্তু এখনকার মেয়েদের সাজগোজ করতে যত কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করতে হয় সেগুলোর নাম বলে শেষ করা যাবে না। মেয়ে মানুষ মানেই সাজগোজ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর এখনকার মেয়েদের বিশেষ করে সব মেয়েদের দুর্বলতা হলো কানের দুল। মেয়েরা কানের দুল এতটাই পছন্দ করে যে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং বিভিন্ন ড্রেসের সঙ্গে এক এক টাকানের দূর করতে পছন্দ করে। আর এখন বাজারে হাজার ডিজাইনের কানের দুল পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ডিজাইন, বিভিন্ন কালার এবং বিভিন্ন সাইজের কানের দুল। তারপরেও মেয়েরা সবসময় আধুনিক ডিজাইন এর দিকে বেশি আকর্ষিত। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মেয়েদের আধুনিক এবং নতুন নতুন ডিজাইনের কানের দুলের ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।মাসিমা ,কাকিমা, দিদি ,বোন, আপু সকলের পছন্দের কানের দুলের ডিজাইন এর সমাহার রয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। এখানে আমরা আধুনিক ডিজাইনের বিভিন্ন ক্যাটাগরির কানের দুলের পিকচার কলেকশন আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। তাহলে চলুন প্রথমেই আমরা অনেক রকমের কানের দুলের ডিজাইন পিকচার গুলো দেখে নেব।
মেয়েদের কানের দুলের ডিজাইন পিকচার
এখানে হাজার হাজার ডিজাইনের কানের দুলের পিকচার রয়েছে। এখান থেকে আপনারা আপনাদের পছন্দের কানের দুল ডিজাইন টি পছন্দ করে নিতে পারেন। মেয়েদের সবচাইতে পছন্দের কানের দূর হলো ঝুমকা। এখনকার মেয়েদের মধ্যে সবচাইতে ট্রেনিং যে ঝুমকা গুলো সেগুলো হলো সিলভার কালারের ঝুমকা। এখন মানুষ গয়না হিসেবে কানের দুল কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।মেয়েদের সাজগোছ বিষয়টি আগেকার সময়ে থেকে চলে আসছে। মেয়েরা সাজগোছ করতে ভালবাসে। সাজগোজের মাধ্যমে মেয়েদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে।কানের দুল মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি প্রতীক।তবে ব্যবহারিক হিসেবে কানের দুল গুলো মেয়েরা রিং দুল হিসেবে ব্যবহার করে। আর যেকোন অনুষ্ঠানে গেলে সোনার ঝুমকা পড়ে যায়।
গয়না হচ্ছে নারীদের দুর্বলতা। মেয়ে মানুষ আর অলংকার পছন্দ করবে না তা তো কোনভাবেই সম্ভব না। প্রাচীনকাল থেকেই নারীদের আবদার ছিলো গহনা। আগে সোনার গয়নার অনেক প্রচলন ছিল। সোনার দাম কম থাকায় আগেকার মেয়েরা সোনার গয়না ছাড়া অন্য কোন গয়না পড়তো না। কিন্তু এখনকার মেয়েরা সোনার গয়না বেশি পছন্দ করে না। তারা সিটি গোল্ড, সিলভার বিভিন্ন ধরনের ওয়ান টাইম গয়না গুলো বেশি পছন্দ করে। যেগুলো বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকের দোকানে খুব সহজে পাওয়া যায়।
এখন সোনার দাম দিন দিন আকাশ ছোঁয়া। আর সোনার গয়না পড়া এখনকার মেয়েরা নিরাপত্তা মনে করে না। কারণ এখনকার যুগ যামানা ভালো না। তাই সোনার গয়না পরে রাস্তাঘাটে বেড়ানোটা মোটেও নিরাপদ না। এজন্য এখনকার মেয়েদের অধিকাংশ মেয়েরাই সোনার গয়না পছন্দ করে না। সোনার গয়না অবশ্যই সবাই পছন্দ করে। কিন্তু সব সময় নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য এমনি যে মূল্যহীন ধাতু দিয়ে কানের দুল গুলো তৈরি করা হয় সেগুলো মেয়েরা বেশি পছন্দ করে থাকে।
সোনার পরিবর্তে সিটি গোল্ড,রুপার দুল ইত্যাদি। কানের দুল হলো মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির আরেকটি মাধ্যম।সাধারণত এধরণের দোকানগুলো দেখা যায় মেলা,ইসলামি জলসা,হিন্দু পুজো উৎসবে থাকা দোকান গুলোতে কানের দুলের সমাহার।নানা রং ও আকৃতির দুলগুলো অনায়াসেই দেখা যায় টিভির পর্দার অনেক তারকা কানে।
মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দের কানের দুল হল ঝুমকা।ঝুমকা যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠানে সহজেই মানিয়ে যায়।আমারও এই ধরনের দুল ভাল লাগে। ঝুমকা দুলে সাধারনত দুলের উপরিভাগে যেকোনো ফুল বা নকশা দেওয়া থাকে। এর নিচে একটি ঝুমকা লাগানো থাকে।কোনো কোনো দুলে দুটি বা তিনটিও ঝুমকা ঝুলানো থাকে। তবে বেশি ঝুমকা লাগালে দলগুলো অনেক ভারী হয়ে যায়। বর্তমান বাজারে স্টোন বসানো ঝুমকা বেশি পাওয়া যায়। এখন মানুষ গলায় ভারী গহনা করতে পছন্দ করে না তারা সুন্দর দু জোরা কানের দুল পড়ে সুন্দর ভাবে সাজগোজ করে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে। সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে মেয়েদের সাজগোজের ধারণা।