ছারপোকা এক ধরনের ছোট ছোট আকারের পোকা। যা এই পোকা গুলো পরবর্তী যা মানুষের শরীর থেকে রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। ছোট ছোট আকারের পোকা তাই সহজে এদের দেখা যায় না। এখন বর্তমানে ছারপোকা অনেক অংশে কমে গেছে কিন্তু আগে সবাই ছারপোকার সাথে খুবই বেশি পরিচিত ছিল। বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এদের বসবাস বেশি।
ছারপোকা বিছানার মধ্যে বেশি থাকে আর এই পোকাগুলো মানুষের শরীরে বসে রক্ত শোষণ করে। ছারপোকা কামড় দিলে শরীরে ছোট ছোট লাল লাল দাগ হয়ে যায় এবং এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি খুবই অসুস্থ কর পরিবেশ এবং যাদের বাড়িতে ছারপোকা রয়েছে তাদের দ্রুত ছারপোকা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আপনার বাড়িতে যদি ছার পোকা থাকে তাহলে আপনি দ্রুত সেই খোকা কে দমন করার চেষ্টা করুন। ছারপোকা যদি অনেকদিন আপনার বিছানায় থাকে তাহলে আপনার অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে।সাধারণত রাতে এই পোকার আক্রমণ বেশি হয়। এই পোকার কামড়ের ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, মানসিক প্রভাব, এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ছারপোকার কামড়ে ত্বকের ছোট অংশে ফুসকুড়ি হওয়া থেকে শুরু করে বড় ধরনের ফোস্কা পড়ার মতো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যেতে পারে।
আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো যে কিভাবে ছাড়বো তাছাড়া এবং কিভাবে ছারপোকা বংশবিস্তার করে। এবং আরো জানবো যে কিভাবে এই ছারপোকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন ছারপোকা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই আপনাকে সাহায্য করবে।
বিভিন্ন ধরনের এন্টি সেপটিক অর্থাৎ জীবাণুন আসুক অ্যালকোহল যদি স্প্রে করে দেয়া হয় তাহলেও ছার পোকা মরে যায়। জীবাণুন আসুক অ্যান্টিসেপটিক বিছানায় চিঠিয়ে দিতে পারেন এতেও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
যে সকল স্থানে ছারপোকার বাস সেখানে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত ৫থেকে ৭ দিন স্প্রে করলে ছারপোকা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ২। বিছানা, বালিশ, মশারি, সোফা, আলমারি, চেয়ার টেবিল ভালো করে ১১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তাহলে ছারপোকা অনেকটাই কমে যাবে।
ছার পোকা হওয়ার মূল কারণ হলো স্যাঁতস্বেতে এবং অপরিষ্কার ঘরবাড়ি। আপনি যেখানে থাকেন সেই ঘর যদি আলো বাতাস সম্পূর্ণ না হয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয় তাহলে সেখানে ছারপোকা জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকের ঘরে বৃষ্টির জলে বিছানা বালিশ এবং মশারী যদি ভিজে যায় তাহলে সেটা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা সাথে সাথে বিছানায় যদি আপনি শুয়ে থাকেন এবং সেই বিছানা যদি বেশিদিন থাকে তাহলে ওই ভেজা বিছানাতে অবশ্যই ছারপোকা জন্ম নেবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে ছারপোকা কখনোই বাসা বাঁধতে পারবে না।
নিয়মিত বিছানা বালিশ এবং আপনার বাইস্ক্রিত ঘর পরিষ্কার করতে হবে। অন্ধকার রাখা যাবেনা পর্যাপ্ত আলো বাতাস সম্পূর্ণ ঘরে বসবাস করতে হবে। সূর্যের আলোতে এগুলোও বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ধ্বংস হয়ে যায় এজন্য নিয়মিত বালিশ এবং বিছানার গতি রোধে দিতে হবে। ডিটারজেন্ট অথবা জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার ধুয়ে দিতে হবে। আপনার ঘরে যদি ধুলাবাড়ি থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত ঝাড়ু দিতে হবে তাহলে এই ধরনের পোকা আপনার ঘরে বাসা বাঁধতে পারবেনা।
লক্ষ্য করে দেখা যায় যে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রী বাস গুলোতে ছারপোকা খুব বেশি দেখা যায় কারণ এগুলো ছোট ছোট ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাত্রছাত্রীরা বসবাস করে। এবং বিছানা এবং বালিশ নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না এজন্য এগুলো ঘরে ছারপোকা জন্ম নেয়। গ্রামাঞ্চলের অনেক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আবার বস্তিগুলোতেও ছারপোকা লক্ষ্য করা যায়। তাহলে এটা প্রমাণিত যে নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এইসব ছারপোকা জন্ম দিতে দায়ী।
ছারপোকা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু নাশক ব্যবহার করা প্রয়োজন যেগুলো বাজারে সচরাচর বিক্রি হয়। কিন্তু ছাড়পোকা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল পরিস্কার এবং পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পরে এরকম ঘরে বসবাস করতে হবে।