দেবী দুর্গার বর্ণনা এবং দেবী দুর্গা সম্পর্কে না জানা অনেক তথ্য জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়তে হবে। এবং যারা নতুন নতুন মা দুর্গার ডিজাইন পিকচার দেখতে চাই তাদের জন্য এখানে অ্যালবাম আকারে অনেক সুন্দর সুন্দর পিকচার আপলোড করা হয়েছে। আশা করছি আপনাদের আমাদের এই উপস্থাপনাটি ভালো লাগবে। জয় মা দেবী দুর্গা। দুর্গা মাইকি জয়,,,!মা দুর্গা কে স্মরণ করে মা দুর্গা সম্পর্কিত কিছু মধুর বাণী আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। তাই মা দুর্গার ভক্তরা এড়িয়ে যাবেন না একটু সময় নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেন।
দেবী দুর্গার সুন্দর ছবি এবং আধুনিক মডেলের পিকচারগুলো যেন দেখতে চান তাদের জন্যই মূলত আজকে আমাদের এই আর্টিকেল। এখন সারা বিশ্বে যতটা জাঁকজমক করে দুর্গাপূজা করা হচ্ছে , এজন্য হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের প্রধান উৎসব হলো দুর্গাপূজা। বাঙ্গালীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজাতে যেন মেতে উঠে সারা বিশ্ব। বিশেষ করে ভারতবর্ষে অনেক বড় আয়োজনের দূর্গা পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার থিম এবং নকশা যেন একে অন্যকে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এখন পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় অনেক বড় করে দুর্গাপূজা করা হচ্ছে। ভারত এবং বাংলাদেশ এই দুর্গাপূজার জনপ্রিয়তা এতটাই যে দিন দিন মানুষের আনন্দের অনুষ্ঠানের তালিকায় দুর্গাপূজা অন্যতম হয়ে উঠেছে।
দেবী দুর্গার বর্ণনা
তিনি আদ্যা শক্তি মহামায়া, তিনি নারী শক্তির উদাহরণ। এজন্যই তাকে বলা হয় শক্তির দেবী। তিনি প্রমাণ করেছেন যে নারীরা চাইলে তাদের সম্মান রক্ষার জন্য যেকোনো রূপ ধারণ করতে পারে। মা দুর্গা তিনি একেক সময় একেক রূপে আমাদের কাছে আবির্ভূত হন। শক্তিরূপী তিনি মা দূর্গা, এবং তার ভয়ঙ্করই রূপ মা কালী, মা বাসন্তী, করুণাময়ী মা পার্বতী। বিভিন্ন রূপে তিনি তার শক্তি বিরাজ করেন। বিভিন্ন রুপে তিনি আবির্ভূত হন। দেবী দুর্গার আদ্যা শক্তি মহামায়া শক্তিরূপী ,দশভূজা, ত্রিনয়নী। তিনি দেবী দুর্গা রূপে আমাদের কাছে শক্তির দেবীর পরিচয় দিয়েছেন।মা দেবী দুর্গা হলেন হিন্দু দেবী পার্বতীর এক উগ্র রূপ। হিন্দু সংস্কৃতিতে তিনি জনপ্রিয় এক দেবী। তাঁকে আদ্যাশক্তির রণরঙ্গিনী এক মহাদেবীর রূপ বলে মান্য করেন। তিনি আদ্যা শক্তি মহামায়া।
দেবী দুর্গা এক বছর পর পর কৈলাস থেকে মর্তে আসেন নিজের বাপের বাড়িতে। মূলত সেই সময় দুর্গাপূজা উদযাপন হয়। পঞ্চমীতে তার আবির্ভাব, ষষ্ঠীতে তার স্থাপনা। সপ্তমীতে তার বরণ উদযাপন। অষ্টমীতে তার কিশোরী রূপের পূজা। নবমীতে তার মহাউৎসব। আর দশমীতে বিসর্জন। দশমীর বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে মা সকল দুঃখ কষ্ট মুছে দিয়ে আমাদের থেকে বিদায় নেয় । প্রতিবছর দশমীর মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে।
তিনি আসেন তার চার সন্তান কে নিয়ে। দশ হাতে ধনসম্পদ এবং সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে তিনি পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। তার চার সন্তান দুই পুত্র এবং দুই কন্যা। লক্ষ্মী, সরস্বতী ,কার্তিক, গণেশ। তার সন্তানকে নিয়ে তিনি পৃথিবীতে আসেন আমাদের আনন্দ দিতে।দেবী দুর্গা নির্গুণ অবস্থায় এই জগৎসংসারে বিরাজ করেন। তার জন্ম হয়না, আবির্ভাব ঘটে। দুর্গা সপ্তশতী তে বর্ণিত আছে, যে মহাশক্তি ব্রহ্মার ব্রহ্মত্ব, শিবের শিবত্ব, বিষ্ণুর বিষ্ণুত্ব প্রদান করেছেন, সেই দেবী দেবতাদের সমষ্টিভূত তেজপুঞ্জ থেকে স্বরূপ ধারণ করেন। দুর্গার বিশেষ আলোচনা ও পূজাবিধি তন্ত্র ও পুরাণেই প্রচলিত।
সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী, দুর্গাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় “দেবীপক্ষ”। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন সনাতনীরা তর্পণ করে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তিনি দশ হাতে দশ অস্ত্র নিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন।এজন্য তিনি দশভূজা, ত্রিনয়নী। দশ হাতে দশ অস্ত্র এবং ত্রিশূল দিয়ে তিনি মহিষাসুরকে বধ করেন। এভাবে তিনি নারী শক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জয় মা দেবী দুর্গার জয়।