কুঁড়ে ঘরের ছবি ডাউনলোড

এখনকার ছেলেমেয়েরা কিন্তু চেনে না কুঁড়েঘর কি। হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্য। হারিয়ে যাওয়া সেই দৃশ্য। গ্রামীণ কুঁড়ে
ঘর। ঘরের পিছনে ঘরের বেড়া। বাড়ির পাশে নদী। বাড়ির পেছনে তালগাছ। পড়ন্ত বিকেলে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা। বিকেলবেলায় সেই কুড়ে ঘরের পিছন দিয়ে হাওয়া বয়ে যায়। কি সুন্দর ছবির মত দৃশ্য ছিল। কিন্তু সেই কুঁড়েঘর এর দৃশ্য গুলো আজ আর দেখতে পাওয়া যায় না। কুঁড়েঘর শুধু এখন ছবিতেই রয়ে গেছে। গ্রামের দৃশ্যগুলো যখন আঁকা হয় তখন কিন্তু সেই কুড়ে ঘরের ছবি আঁকতে হয়।

আগের গ্রাম বাংলার মানুষের খরের বেড়ার তৈরি কুঁড়েঘর। একটা ঘর, একটা বারান্দা, একটা উঠোন নিয়েই কিন্তু বসবাস করতো এক একটি পরিবার। সেই মাটির বারান্দা, মাটির উঠুন সেখানে ছিল না বিদ্যুতের আলো। ছিলনা কোন ইন্টারনেট, ছিল না কোন টেলিভিশন। কিন্তু তখন মানুষের মনে যে আনন্দ ছিল, মানুষের মানুষের যে ভালোবাসা ছিল সেটা কিন্তু এখনকার দিনে হারিয়ে গেছে। এখন পাকা বাড়ি বিল্ডিং অট্টালিকা থেকেও মানুষের মনে সেই শান্তিটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আগেকার দিনের সেই দৃশ্যগুলো সত্যিই খুব স্পর্শকাত।

গ্রাম বাংলার চিরচেনা রূপ বোঝাতে এখনও পাঠ্যবই কিংবা নাটক-সিনেমায় দেখানো হয় কুঁড়েঘর বা ছনের তৈরি ঘর। ঐতিহ্যবাহী এসব ঘর দেখতেও যেমন নান্দনিক; তেমনি প্রচণ্ড শীত কিংবা গ্রীষ্মের দাবদাহে বেশ আরামদায়কও। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনমানে আসছে পরিবর্তন। আর এর প্রভাবে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে নানান গ্রামীণ ঐতিহ্য; ট্নি আর পাকা ঘরের স্থায়িত্বের কাছে টিকতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে এই কুঁড়েঘরও।

এখনকার নিউ জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের মাঝে কিন্তু আমাদের সেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। কুঁড়েঘর এর ছবিগুলো আপনাদের শিশু সন্তানদের দেখাবেন। তাদের গল্প শোনাবেন যে কিভাবে আগেকার মানুষ বসবাস করত। দুই তিন জেনারেশন আগেকার মানুষরা এই কুঁড়ে ঘরে বসবাস করেছে। এখনকার অধিকাংশ মানুষ কিন্তু কুঁড়েঘর সম্পর্কে জানে না। জানে না গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন কথা। জন্য আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা গ্রামীণ দৃশ্য গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। শেয়ার করব গ্রামের মানুষের কুড়ে ঘরের এক একটি গল্প। ঘরের ছবিগুলো আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

কুঁড়েঘর কি সেটার প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে যে,ঘর বাঁধা কিংবা কুটীর নির্মাণে কুঁড়েঘরে ধানের খড় কিংবা পাটকাঠির ছাউনি দেওয়ার প্রচলন ছিল তিন/চার দশক পূর্বে। বর্তমানে এগুলোর পাশাপাশি ইট, বালু, সিমেন্ট, লোহার প্রচলন বেশ বেড়ে গেছে। ঘরের প্রকারভেদ হিসেবে – কুঁড়েঘর, টিনের ঘর, দালান, মাটির ঘর, আধা-পাকা ঘর ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়।

কুরেঘরের সেই সুন্দর ছবিগুলো দেখলেই যেন মনে শান্তি আসে। গ্রামের দৃশ্য দেখলেই যেন অদ্ভুত এক শান্তি অনুভব হয়। নিস্তব্ধ সেই প্রকৃতি। নেই কোন ঝঞ্ঝাট। আগেকার দিনের সেই কুঁড়েঘর, এই স্নিগ্ধ বাতাস সব যেন হারিয়ে গেছে এখনকার বড় বড় বিল্ডিং এর চাপায়। আগেকার পরিবেশের বাতাস যেন মুগ্ধ করত সকলকে। গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা দৃশ্যে মুগ্ধ হয়ে অনেক কবি বিভিন্ন ধরনের কবিতা রচনা করে গেছেন।। কুঁড়েঘরে বসবাস কৃত অপরূপ দৃশ্য কবিকে মুগ্ধ। একটি কুঁড়েঘরে একটি পরিবারের সকল সদস্য এক সঙ্গে বসবাস করেছে আনন্দে। সেই দৃশ্য গুলোই এখন ছবির মত রয়ে গেছে।

এখন যেহেতু ইন্টারনেটের যুগ তাই আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোন কিছু শেয়ার করতে পারি এবং যেকোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে পারি। আমরা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে মুছে যেতে দেব না। আমরা সব সময় আমাদের আগেকার গ্রামের দৃশ্য মনে রাখব। আজ থেকে আরও ২০ বছর পরেও ছেলেমেয়েরা ভুলে যাবে না যে আগেকার গ্রামের দৃশ্য কেমন ছিল।

এর জন্য এইসব ঐতিহ্যবাহী ছবিগুলো আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত শেয়ার করব। আমাদের যারা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছে যারা এই গ্রামবাংলায় বসবাস করেছেন তারা কুরেঘরের ছবির সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা কিন্তু শেয়ার করতে পারবে সোশ্যাল মিডিয়াতে।তাদের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা যদি তারা ফ্যাশন মিডিয়াতে শেয়ার করে তাহলে নতুন জেনারেশনের ছেলে মেয়েরা কিন্তু অতীত সম্পর্কে জানতে পারবে।

Leave a Comment