আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমরা জানি প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তায়ালার ইবাদত গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ইবাদত হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে, তাহলে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হয় এবং সেই বান্দার উপর রহমত বর্ষণ করে।
আল্লাহ তায়ালা যে বান্দার উপর রহমত বর্ষণ করে সে বান্দা দুনিয়ার জীবনের সফলতা লাভ করবে। দুনিয়ার জীবনে সকলের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এবং পরকালীন জীবনেও সে সফলতা লাভ করবে, তেমনি পরকালীন জীবনেও সে চির শান্তির স্থান জান্নাত লাভ করতে পারবে। তাই দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালীন জীবনে শান্তি লাভ করার জন্য, সফল হওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা।
আর আমাদের আজকের নামাজের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। নামাজ শেষে বিভিন্ন রকমের দোয়া করতে হয়। আল্লাহ তায়ালার কাছে কোনো বান্দা যদি অন্তরে থেকে দোয়া করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার মনের ইচ্ছা পূরণ করে। তাই প্রত্যেকটা বান্দার উচিত যেকোনো বিপদে পরলে বা যে কোনো জিনিস চাইতে হলে আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া হয়, তাহলে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হয়। আর আল্লাহর কাছে যে জিনিসটা চাওয়া হয় সেই জিনিস যদি ওই বান্দার জন্য মঙ্গলজনক হয়, তাহলে অবশ্যয় বান্দাকে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি করার জন্য সেই জিনিসটি দিবেন। তাই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করার জন্য হলেও আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
মানব জাতিকে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে বহু নবী রাসুল কে পাঠিয়েছেন। সেই সকল নবী রাসূলগণ ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করেছেন এবং মানবজাতিকে ইসলামের পথে দাওয়াত দিয়েছেন। তাদের জীবনদশায় বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়েছে, বিভিন্নভাবে কষ্টের মধ্যে জর্জরিত হয়েছেন। তারপরও তারা ইসলামের আদর্শ থেকে নিজেকে বিচ্যুত করেনি ,ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেনি। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত নবী রাসুলের দেখানো পথ অনুসারে ইসলাম পালন করা এবং তাদের মতো
ঈমানদার হওয়ার চেষ্টা করা। তারা আল্লাহ তায়ালার প্রতি তাকওয়া অর্জন করেছিল, ঈমান এনেছিল বলেই তারা এই ধরনের ইসলামিক জীবন দর্শন অনুসরণ করে চলতে পারতো।
দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া চাই এবং যেকোনো জিনিস প্রার্থনা করে আল্লাহ তার উপর অনেক বেশি খুশি হয় এবং তার দোয়া কবুল করে। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত কোনো জিনিস চাইলে বা কোনো কিছু চাইলে আল্লাহর কাছে চায়, তাহলে আল্লাহ ঐ বান্দার মনের ইচ্ছা পূরণ করার ব্যবস্থা করে দেন। তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে এবং চাইতে হবে। তবে কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি নামাজ শেষে বা নামাজের মধ্যে আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাই এবং দোয়া করে তাহলে সেই দোয়া অনেক বেশি কবুল হয়। তাই নামাজের শেষে দোয়া করা উচিত। নামাজের শেষে নিজের জন্য, নিজের আত্মীয়র জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে এবং নিজের ব্যর্থতা গুলোর জন্য, সফল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, তাহলে বান্দার মনের আশা পূরণ করবেন।
অনেকে দেখা যায় যে নামাজ শেষে কি মোনাজাত করতে হবে বা মোনাজাতে কি ধরনের দোয়া করতে হবে। অনেকেই সেই বিষয়গুলো জানে না। আমাদের নামাজ পড়তে হলে এবং নামাজ শেষে মোনাজাত করতে হলে অবশ্যই শুদ্ধভাবে সেই দোয়াগুলো জেনে নেওয়া উচিত। যদি কোনো ব্যক্তি ভুলভাবে সেই মোনাজাত করে তাহলে তার নামাজ কবুল হবে না। তাই নামাজের যেকোন দোয়া শুদ্ধভাবে শিখতে হবে এবং শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে হবে।