জাহান্নাম থেকে যারা মুক্তি পেতে চান তারা বিভিন্ন ধরনের দোয়া এবং আমল করতে পারেন। জীবনে বিভিন্ন কাজের কৃতকর্মের ফল হিসেবে আমাদের যখন জাহান্নামে প্রদান করা হবে তখন হয়তো আমরা আবার বলব যে আমাদের যেন আরো একবার দুনিয়াতে ফেরত দেওয়া হয়। তাই সেই সময়ে দুনিয়ার জীবনে ফিরে আসার চাইতে এখন থেকে আমরা যদি দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে সচেতন হয় এবং আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিতে হলে আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি খুশি হবেন।
মানুষ এবং জ্বীন জাতিকে মহান আল্লাহ পাক তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ইবাদত রয়েছে এবং ফরজ ইবাদত থেকে শুরু করে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ পাকের প্রতি খুশি হয়ে চলতে পারব। তবে ইবাদত করার পাশাপাশি নিজেদের মন এবং মানসিকতা ভালো মতো রাখতে হবে এবং আপনি ইবাদত করছেন ও অন্যদিকে অপরাধ করছেন তাহলে সেটা ইবাদত বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ সকল দিক থেকে একজন মুসলিমের যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত সেগুলো থাকতে হবে।
আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি সঠিক ভাবে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করার জন্য এবং আল্লাহ পাক আমাদের যে সকল পথে নির্দেশিত হতে বলেছেন সে সকল পথে নির্দেশিত হওয়ার জন্য। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এবং দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে আমরা আমাদের পৃথিবীর জীবনকে নষ্ট করে দিই এবং যে সময় ইবাদত করার প্রয়োজন সে সময় ইবাদত করি না। এ পৃথিবীতে এসে মহান আল্লাহ পাক আমাদের যে সকল নিয়ামত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন সেগুলোর যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি তাহলে আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে ঠিক থাকতে পারবো।
তাই আপনি যদি কোন কারণে খারাপ পথে পরিচালিত হন অথবা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আখিরাতের জন্য কোন কাজ না করেন অথবা আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করেন তাহলে আল্লাহ পাক রুষ্ট হবেন। তাই সকল দিক থেকে আমরা সকল ধরনের নিয়মকানুন মেনে চলবো এবং আমরা যদি ইসলামের জীবন ব্যবস্থা মেনে চলতে পারি তাহলে দেখব যে এখানে প্রশান্তি এবং অনেক ধরনের বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের জীবনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
জাহান্নাম থেকে মুক্তির আমল
তাই দুনিয়ার জীবনে এমন ভাবে আমাদের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে যাতে করে আমরা নিজেদের আখিরাতের জীবন সম্পর্কে সব সময় ধারণা রাখি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারি। নিজের ক্ষমতা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ের উপরে প্রাধান্য দিয়ে যখন আমরা নিজেকে উপরে তোলার চেষ্টা করবো তখন কিন্তু আপনারা ঠিকই জাহান্নামে পতিত হবেন। আর জাহান্নামে যদি যান তাহলে সেখানে প্রচুর কষ্ট এবং সেই কষ্ট আপনারা কখনোই সহ্য করতে পারবেন না। জাহান্নাম থেকে মুক্তির আমল করার পাশাপাশি ইবাদত করতে হবে এবং প্রত্যেকটি ফরজ কাজ পালন করতে হবে।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দোয়া
দুনিয়ার জীবনে আপনি যদি সামান্য আগুনে একটু পড়ে থাকেন তাহলে মনে হয় সেটা কতটা কষ্টসাধ্য বিষয়। কিন্তু আপনি যদি জাহান্নামের আগুনে একবার পড়েন তাহলে দেখা যাবে যে সেই পোড়া অবস্থা থেকে আবার আপনাকে পড়ানো হবে এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। তাই জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দোয়ার ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই সকল নিয়মকানুন মেনে চলবেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। আল্লাহপাকের সন্তুষ্ট প্রকাশ করলে তিনি আপনার উপর রহমত এতটাই ঢেলে দিবেন যে আপনি এই দুনিয়ার বুকে প্রশান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তির দোয়া
জাহান্নামের আজব থেকে যারা মুক্তির দোয়া পেতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে সেই দোয়া প্রদান করছি। “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।” এই দোয়া যদি আপনারা আমল করতে পারেন তাহলে জাহান্নামের আগুন থেকে যেমন নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারবেন তেমনি ভাবে জান্নাতে যাওয়ার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে ফরিয়াদ জানাতে পারবেন। তাছাড়া দুনিয়ার জীবনের যে সকল পাপ করেছেন সকল ভুল ভ্রান্তি হয়েছে তার জন্য প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। তাহলে আমাদের পাপের বোঝা কমে যাবে এবং আমরা যেন নতুনভাবে কোনভাবে নাজরায় সে বিষয় মাথায় রেখে আল্লাহপাকের ইবাদত করতে হবে।