একটি কথা মনে রাখবেন সুস্থতা হলো আল্লাহর নিয়ামত তাই সুস্থ থাকতে হলে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার পাশাপাশি আমাদের শরীরচর্চা ও খাবার দাবার ঠিকমতো খেতে হবে। তাহলে আমরা সুস্থ থাকতে পারবো আল্লাহ তালা আমাদের বিভিন্ন সময়ে রোগ দিয়ে আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নাই যে অসুস্থ হয় না। ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী বলতে গেলে পৃথিবীতে যতগুলো রোগ রয়েছে সব রোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য দোয়া রয়েছে। আমাদের নবী রাসূলগণ আগের যুগে কেউ অসুস্থ হলে আল্লাহতালার কাছে নামাজ পড়ে দোয়া চাইতেন। আমরা আমাদের আর্টিকেলে আজ আপনাদের সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তি পেতে যে দুয়াগুলো পড়তে হয় সে দোয়াগুলো সম্পর্কে আপনাদের আর জানাবো।
অসুস্থ হলে অবশ্যই আমাদের আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করতে হবে, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার মাধ্যমে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহতালা মুক্তির জন্য বেশ কিছু দোয়া কুরআনে দিয়েছেন। সেই দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই মুহূর্তে সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তি পেতে বেশ কিছু দোয়া আপনাদের সামনে তুলে ধরবো এখন আপনারা এই দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে, আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যমে যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
উচ্চারণ : ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন।
অর্থ : আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও। (সুরা : আত তাওবা : ১৪)
وَ شِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَ هُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
উচ্চারণ : ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর। ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মু’মিনিন।
অর্থ : (কোরআন হচ্ছে) মুমিনদের জন্য অন্তরের রোগগুলোর প্রতিষেধক। (সুরা ইউনুস : ৫৭)
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
উচ্চারণ : ওয়া নুনাঝ্ঝিলু মিনাল কুরআন মা হুওয়া শিফা উওওয়া রহমাতুললিল মুউমিনিন।
অর্থ : কোরআনে আমি এমন বিষয় নাজিল করেছি, যা ইমানদারদের জন্য রোগমুক্তি ও রহমত। (সুরা বনী ইসরাঈল : ৮২)
وَاِذَا مَرِضۡتُ فَہُوَ یَشۡفِیۡنِ
উচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফিন।
অর্থ : যখন আমি অসুস্থ হই, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন। (সুরা শুআরা : ৮০)
অসুস্থতাকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘আমি পীড়িত হই।’ কিন্তু আরোগ্য দানকে আল্লাহতায়ালার কাজরূপে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।’
এর দ্বারা এদিকেও ইশারা হতে পারে, রোগ-ব্যাধি মানুষের কোনো ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। আর শেফা সরাসরি আল্লাহর দান।
দোয়া ও কবুলের বেশ কিছু শর্ত রয়েছে আপনাকে অবশ্যই হালাল ও বৈধ পথে আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। আপনি কখনো ওজনে কম দেবেন না, কখনো কাউকে কোন কাজে ফাঁকি দিবেন না, ভেজাল খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। ও হারাম খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সব সময় আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। সেই সাথে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে সুখে-দুখে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহর নাম নিয়ে সৎ কাজগুলো করার চেষ্টা করতে হবে যে কাজ আপনি করবেন মনোযোগ সহকারে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করলে অবশ্যই আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
সব সময় চেষ্টা করবেন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার আল্লাহতালার এবাদত করার পাশাপাশি আপনার আশেপাশে মানুষের বিপদ আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। যেকোন বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে আল্লাহ তাআলাকে রাখতে হবে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে আপনি আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, দেখবেন আল্লাহ তা’আলা আপনার দোয়া প্রার্থনা করার পর তিনি অবশ্যই আপনার এই দোয়া কবুল করে নিবেন ইনশাআল্লাহ।