সাধারণত যাদের ক্যান্সার হয়ে থাকে সেই ক্যান্সারের অপারেশন করার মাধ্যমে অথবা থেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা অনুভব করতে পারলেও অনেক সময় সেটা চিরতরে দূর হয় না। তাই যে সকল ব্যক্তি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং মুসলমান ধর্মের অনুসারী হিসেবে আপনি যখন ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া পেতে চাইছেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করব। যেকোনো ধরনের রোগ একজন মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ পর্যায়ে নিয়ে চলে এবং শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করার কারণে জীবন থেকে প্রশান্তি ও শান্তি চলে যাই।
যেহেতু মহান আল্লাহ পাক এই পৃথিবীর বুকে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন সেহেতু আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন। অর্থাৎ একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে অথবা সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে আপনি আল্লাহপাকের প্রতি কতটা ধৈর্য এবং আনুগত্য স্বীকার করতে পারছেন সেগুলোও আল্লাহ পাকের পরীক্ষার বিষয়। সাধারণত আমরা যখন দুনিয়ার জীবনে অধিক পরিমাণ গা ভাসিয়ে চলি তখন দেখা যায় যে সেখানে আমাদের আল্লাহপাক পরীক্ষার জায়গা থেকে দেখতে থাকেন যে আমরা আসলে কতটা অবাধ্য হতে পারি।
আবার যে সকল ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং অন্যান্য বিধি-নিষেধ মেনে চলছেন তাদেরকেও আল্লাহ পাক বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা প্রদান করার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করেন আসলে সেই ব্যক্তি কতটা আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা করতে পারছেন। তাই আল্লাহ পাক কখন কাকে কি ধরনের রোগ দিয়ে যাচাই করবেন তা আমরা কখনোই বলতে পারি না। তাই আল্লাহপাকের ভরসা করে এবং সকল ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা কামনা করে আমরা নিয়মিত ইবাদত করতে পারলে অবশ্যই আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি রাজি খুশি হবেন। তবে আল্লাহ পাকের ইবাদত করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য ব্যবস্থা আমাদের সঠিক পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিত।
সাধারণত কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও আমাদের বিশেষ দিকনির্দেশনা প্রদান করা আছে। যেহেতু ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা সেহেতু এখানে প্রত্যেক বেলায় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের কথা বলা হয়েছে।আপনি যে খাদ্যই খেয়ে থাকুন না কেন অবশ্যই আপনাকে হালাল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং ভর পেট বা উদরপূর্তি করে খাওয়া যাবেনা। এছাড়াও আমাদের শরীর স্বাস্থ্য যেন ভালো থাকে তার জন্য যে সকল হালাল খাদ্য গ্রহণ করলে ভালো হয় এবং খাদ্য গ্রহণ করার সাথে সাথে শারীরিক ব্যায়ামের যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে সেগুলো অবশ্যই আমরা অনুসরণ করব।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা অলস হয়ে গিয়েছি। সাধারণত আমরা মনে করে থাকি যারা ব্যায়াম করে তারাই হয়তো সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করে এবং এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে বলবো যে আমরা যে সকল মুহাদ্দিস কে অনুসরণ করি অথবা যে সকল নবী রাসূলের কথা পড়ে থাকে তাঁরাও কিন্তু তাঁদের সময়কালে ব্যায়াম অথবা শারীরিক চর্চা করেছেন। সুতরাং আমাদের ভেতরে এ সকল অলসতা বাদ দিয়ে সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলতে হবে।
কঠিন ও জটিল রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
সঠিকভাবে জীবনকে পরিচালনা করতে গিয়ে যদি কোন কারণে আপনার শরীরে কঠিন জটিল রোগের বাসা বাঁধে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পরেও যদি আপনার সেই রোগ থেকে নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে আল্লাহ পাকের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে হবে। তবে যদি আপনি প্রাণ-পণে এই পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আল্লাহপাকের কাছে হাত তুলে মোনাজাতে আপনার জীবনের ভিক্ষা চাইতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের জীবনের জন্য অনেক কিছু নির্ধারণ করে রাখলেও দোয়ার মাধ্যমে আমরা অবশ্যই আমাদের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারি।
তাই জীবনে চলতে ফিরতে অথবা উড়তে বসতে যদি আমরা আল্লাহ পাকের জিকির করতে থাকি এবং দোয়া করতে থাকি তাহলে আল্লাহ পাক সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তার মনের দোয়াগুলো পূরণ করেও দিতে পারেন। তাই প্রতিটা ক্ষেত্রে আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা রাখতে হবে এবং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আল্লাহ পাকের প্রদান করা জীবন ব্যবস্থার প্রতি আলহামদুলিল্লাহ জ্ঞাপন করতে হবে। আর যারা ক্যান্সার রোগের মুক্তির দোয়া পেতে চাইছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে এই দোয়া দিয়ে দেওয়া হল।