আল্লাহর দেখানো পথে যদি আমরা চলি তাহলে এইসব ঋণ এর দায়ভার কোনদিনই বহন করতে হবে না। আল্লাহ সব সময় বলেছেন অতি লোভ না করতে। সহজভাবে সঠিক জীবন যাপন করলে কোনদিনই ঋণ নিতে হয় না। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে যদি মন শান্ত করে সঠিকভাবে নিজের কর্ম করা হয় তাহলে কখনোই ঋণের প্রয়োজন পড়বে না। ইসলাম হিসেবে যদি আল্লাহর দেখানো পথে আমরা চলি তাহলে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারব।
আজকের এই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনটি আমাদের যেকোনো কারো জীবন বদলে দিতে পারে। ধর্মীয় পথে কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সব সময় সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং সৎ পথে নিজের কর্ম করে যেতে হবে।। যারা ঋণগ্রস্ত হয়েছে তারা চাইলে কিন্তু এইরিন থেকে মুক্তি পেতে পারে। আমি হতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। আজকে আমাদের এই আলোচনা আপনাদের সকলের ই ফলো করা উচিত। তাহলে চলুন আজকে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
আজকে আমরা ঋণ শোধ করার ইসলামী উপায় গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
ঋণ পরিশোধ সম্পর্কে কত সুন্দর উপদেশ! নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম; যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ কেউ যেন ঋণ পরিশোধে গড়িমসি না করে সে জন্য নবিজী বলেছেন, ‘ঋণ পরিশোধ না করা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু একান্তই যদি কেউ ঋণ পরিশোধে অপরাগ হয় তবে তার করণীয় কী? ঋণমুক্তিতে তিনি কখন কীভাবে আল্লাহর সাহায্য চাইবেন?
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘একজন চুক্তিবদ্ধ গোলাম (ক্রীতদাস) তাঁর কাছে এসে বলে, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দেব না; যা আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর সীর (সাবীর) পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে তবে আল্লাহ তাআলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন।
ঋণ মুক্ত হওয়ার জন্য এবং জীবনে সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলায় আমরা আল্লাহর কাছে এই সকল দোয়া মোনাজাত করতে পারি।‘হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকেও আমাকে আত্মনির্ভরশীল (ঋণমুক্ত) করো।
বাংলা অর্থ ই আল্লাহর কাছে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা এই দোয়া পড়তে পারি।
ঋণমুক্তির নিয়তে সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। ঋণমুক্ত হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। তবেই মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে ঋণ থেকে মুক্ত করবেন ইনশআল্লাহ। শুধু তা-ই নয়, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভয়-চিন্তা-পেরেশানির পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তি চাইতেন। তাই যারা ঋণগ্রস্ত; তাদের জন্য ঋণমুক্তিতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া জরুরি। হাদিসে এসেছে-
আল্লাহর কাছে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমরা প্রতিটি নামাজ পড়ে বাংলায় আল্লাহর কাছে এই মোনাজাত করতে পারি। ঋণ মুক্ত, আর্থিক সমস্যার সমাধান ইত্যাদি জীবনের সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিদিন আল্লাহর কাছে মোনাজাত করুন আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার ডাক শুনবেন।হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে আশ্রয় চাই; অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চাই; কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই; ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে মুক্তি চাই।
আপনি প্রতিদিন এইভাবেই আল্লাহর কাছে মোনাজাত করুন। আল্লাহ যেগুলো কাজকর্ম নিষিদ্ধ করে গেছেন সেগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে দ্বিতীয় দোয়াটি ঋণ পরিশোধের নিয়ত ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি নামাজের দুই সেজদার মাঝে বসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করা। বিশুদ্ধ নিয়তে আল্লাহর কাছে ঋণমুক্তির আশ্রয় কামনা করলে মহান আল্লাহ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের তা থেকে মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।
আমরা মুসলমান। আমাদের সব দুঃখ কষ্ট আমরা আল্লাহর কাছে জানাই। মন থেকে দোয়া করলে আল্লাহ নিশ্চয়ই কবুল করেন। আল্লাহর সর্বশক্তিমান। তাই সব সময় আল্লাহর দেখানো পথে চলতে হবে তাহলে কোন ধরনের সমস্যা আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না।