মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ হলো সুস্থতা। সুস্থ থাকলে সবকিছুই ভালো। আপনি যদি কোটিপতি হয়ে যান কিন্তু আপনি অসুস্থ তাহলে তার কোন দাম নেই সেই সুখ আপনি অনুভব করতে পারবেন না। এজন্য সুস্থতায় সবার আগে।অসুস্থ থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা। আমাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন যদি কেউ অসুস্থ হয় আমরা তাহলে তার সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করি।প্রতিটি মানুষই চায় সুস্থ থাকতে। কিন্তু মানুষের জীবন সুস্থতা-অসুস্থতা মিলিয়ে। ফলে অসুস্থতা পেয়ে বসে নানা সময়ে। আর অসুস্থতা জীবনযাত্রা অস্থিতিশীল ও অসহনীয় করে তোলে। কেউ অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায় না। তাই সুস্থ হতে কারো চেষ্টায় কমতি থাকে না।
আপনি কি আপনার আপনজনদের জন্য সুস্থতার প্রার্থনা করছেন। যদি আপনার কোন পরিচিত অথবা আপনার কোন বন্ধু-বান্ধব অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে আপনার প্রথম করণীয় তার জন্য দোয়া করা। এবং আল্লাহর কাছে তার জন্য সুস্থতা কামনা করা। ইসলাম ধর্মে এবং সকল ধর্মেই সুস্থ তার একটি দোয়া রয়েছে। সবাই বিশ্বাস করে যে এটা উচ্চারণ করলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়। তাই আপনিও আপনার প্রিয় মানুষের জন্য সেই দোয়া পড়তে পারেন তার সুস্থতার যে কামনা করে। আমরা চাইলে নিজেরাই নিজেদের শরীরের যত্ন নিতে পারি যার ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়বো না।
একজন সুস্থ দেহের অধিকারী দিনমজুর একজন অসুস্থ ধনশালী ব্যক্তি অপেক্ষা অধিকতর সুখী । সুস্থ ব্যক্তি পর্ণ কুটিরেও শান্তিতে দিন যাপন করতে পারে । পক্ষান্তরে , অসুস্থ ব্যক্তির কাছে রাজপ্রাসাদ ও বিষময় বােধ হয় , কোন ভােগ – বিলাস তাকে শান্তি দিতে পারে না । মানুষ যেমন তার সমস্ত শক্তি দিয়ে ধন – সম্পদ রক্ষা করে , তেমনি স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যও মানুষকে সচেষ্ট ও যত্নবান হতে হয় , অন্যথায় স্বাস্থ্যরূপ সম্পদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে ।রােগমুক্ত হয়ে মানুষ সুস্থ থাকলে তাকেই স্বাস্থ্যবান মানুষ বলা যায় । কেবল শরীর মােটা হলেই সেই স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি- এরূপ ধারণা পােষণ করা ভুল । ক্ষীণ ব্যক্তিও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে যদি সে রােগমুক্ত থাকে , তাকে অসুখ বিসুখের কোন দুর্ভোগ বা যন্ত্রণা ভােগ করতে না হয় ।
মােটকথা , সুস্থ থাকাকেই স্বাস্থ্যবান বলা যেতে পারে । সুস্থ ব্যক্তি নির্ধন হলেও সুখী , সে পর্ণকুটিরেও শান্তিতে দিন অতিবাহিত করতে পারে । অপরপক্ষে , স্বাস্থ্যহীন ব্যক্তি অট্টালিকায় বাস করেও শান্তি পায় না , ধন – দৌলত সব কিছুই তার কাছে মূল্যহীন মনে হয় । জীবন তার কাছে বিড়ম্বনাময় হয়ে পড়ে । জীবিত থাকা সত্ত্বেও জগৎ তার নিকট নিরানন্দময় ।স্বাস্থ্যরক্ষা করতে হলে কতকগুলাে নিয়মের মধ্যে জীবন যাপন করতে হয় । পরিমিত আহার , পরিমিত পরিশ্রম ও বিশ্রাম , পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ , পরিমিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম ইত্যাদি যথাযথভাবে পালন করতে হবে । আলাে ও বাতাস মুক্তভাবে চলাচল করে এমন ঘরে বাস করতে হবে । এ ছাড়াও শরীরের সাথে মনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে । এ জন্য বলা হয় “ সুস্থ দেহে , সুস্থ মন বাস করে ” ।
মনের প্রফুল্লতা বজায় রাখাও স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম উপায় । তাই সুস্থ বিনােদন চিত্তের জন্য অত্যাবশ্যক । সুঅভ্যাস , সুচিন্তা , সুপরিকল্পনা , সুবিবেচনা ইত্যাদি সুস্থ মনেই বহাল থাকে , এর ব্যতিক্রম হলে মানসিক বিকলঙ্গতা বা মানসিক ব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত হয় , যা শরীরে প্রভাব বিস্তার করে , মানুষকে অসৎ মানুষে রূপান্তরিত করে । সুতরাং স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হলে দেহ ও মন উভয়কে সুস্থ রাখা আবশ্যক
স্বাস্থ্য মানুষের পরম সম্পদ । ইংরেজীতে এ জন্য বলা হয় , ” Health is wealth ” । শারীরিক সুস্থতা অপেক্ষা সুখকর আর কিছুই হতে পারে না । যার শরীর ও মন সুস্থ এবং সবল সেই জীবনের সকল আনন্দ ও সুখভােগ করতে পারে । মােটকথা , কেবলমাত্র সুস্থ দেহ – মনের অধিকারী ব্যক্তিই জীবনকে পুরােপুরি ভােগ করতে পারে । তাই আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ স্বাস্থ্যরক্ষার সকল নিয়ম কঠোরভাবে পালন করা উচিত । তবেই আমরা জগতে আনন্দ লাভ করতে পারব এবং আমাদের কাছে জীবন সুখময় ও আনন্দদায়ক মনে হবে ।মোট কথা আমাদের নিজেদের শরীরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সব সময় যাতে সুস্থ থাকি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অসুস্থ হলে বোঝা যায় সুস্থতা কতখানি প্রয়োজন।