আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য মুসলমান ব্যক্তিগণ ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ মুসলমান ব্যক্তিগণ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যমে তার রহমত লাভ করতে চায়। কোনো মুসলমান ব্যক্তি যদি আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে তার জীবন পরিচালনা করে এবং অর্জন করতে পারে তাহলে সফলতা অর্জন করতে পারবে। সবার কাছে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচয় লাভ করতে পারবে, তেমনিভাবে পরকালের জীবনেও সফলতা অর্জন করতে পারবে। অর্থাৎ পরকালের জীবনে চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করতে পারবে। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান উচিত দুনিয়ার জীবনে ও পরকালীন জীবনে শান্তির জন্য আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা।
বিভিন্ন ইবাদত রয়েছে যে সকল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। এ সকল ইবাদত গুলোর মধ্যে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এছাড়া আরো অনেক ইবাদত রয়েছে যে ইবাদতগুলো পালন করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হন। যেমন প্রতিদিন কালেমা পড়া, যাকাত দান করা, রোজা রাখা ইত্যাদি এই ইবাদত গুলো পালন করলে আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হয়। তাই প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি এই ইবাদত গুলোর মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা।
এছাড়াও অনেক ইবাদত রয়েছে। যেমন সদা সত্য কথা বলা, কারো ক্ষতি না করা, অন্যের বিপদে-আপদে সহযোগিতা করা, কারো প্রতি হিংসা না করা, আত্মীয়দের হক আদায় করা ইত্যাদি এই কাজগুলো করলেও আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা হয়। তাই আপনি যদি এই ছোট ছোট কাজগুলো করেন তাহলে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হবে এবং আপনার উপর রহমত বর্ষণ করবে।
তাই আমাদের উচিত শুধুমাত্র নামাজ কালাম নিয়ে ব্যস্ত না থেকে ছোট ছোট ইবাদত গুলোর কথাও মাথায় রাখা এবং প্রত্যেকটি ইবাদত পালন করার চেষ্টা করা। তাহলে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হবে। ছোট ছোট কাজগুলোর মাধ্যমেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে প্রত্যেকটি কাজের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করার চেষ্টা করা। তাহলে ছোট ছোট কাজগুলো করা হবে আবার আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাও সম্ভব হবে এবং তার ইবাদত করাও সম্ভব হবে।
বেশিরভাগ মুসলমানই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে সালাত আদায় করার সঠিক নিয়ম অনেকেই জানে না। আপনি যদি সালাত আদায় করার সঠিক নিয়ম না জানেন এবং অশুদ্ধভাবে সালাত আদায় করেন তাহলে সেই সালাত আদায় করে প্রকৃতপক্ষে কোন লাভ হবেনা বা সালাত আদায় করে আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন না। তাই সালাত আদায় করতে হলে অবশ্যই সালাত আদায়ের সঠিক নিয়ম গুলো জানতে হবে এবং শুদ্ধভাবে সালাত আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। কোন কারনে যদি সালাত আদায় করতে না পারেন বা সালাত আদায় করা না যায় তাহলে পরবর্তীতে কাজা নামাজ আদায় করে নিতে হবে।
আবার সালাত আদায়ের অনেক দোয়া পড়ার প্রয়োজন হয়। সে দোয়াগুলো সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। অনেকে দেখা যায় যে বেশি দোয়া, সূরা ঠিক মতো জানেনা। তাই শুদ্ধভাবে যদি দোয়া বা সূরা না পড়া যায় তাহলে সালাত কখনো কবুল হয় না। তাই সালাত কবুল হওয়ার জন্য এবং আল্লাহ তাআলাকে খুশি করার জন্য সঠিক উচ্চারণে শুদ্ধভাবে সূরা ও দোয়া গুলো আমাদের শেখার প্রয়োজন। এই আর্টিকেলটিতে নামাজের অনেক সুন্দর দোয়া এবং সূরা দেয়া হলো। আপনি এগুলো দেখে নিতে পারেন। তাছাড়া এই সূরা গুলো শুদ্ধভাবে অবশ্যই আমাদের শেখা উচিত। আবার নামাজের শুদ্ধ নিয়ত শেখা উচিত। সে নিয়ম ও দোয়া গুলো শেখার জন্য আমাদের অবশ্য সময় নিয়ে এই নিয়ম ও দোয়া গুলো পড়ে রাখা উচিত। আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি নামাজ পড়ার বিষয়ে আগ্রহী হবেন এবং নামাজের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করবেন না।