ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে মানুষের হেদায়েতের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সমস্ত কিছুর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। একজন মুসলমান যদি ইসলাম ধর্ম অনুসারে জীবন পরিচালনা করে, তাহলে যে দুনিয়ার জীবনে যেমন সফলতা লাভ করবে, পরকালের জীবনেও শান্তির স্থান লাভ করতে পারবে। এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত দুনিয়া এবং আখিরাতের মুক্তির জন্য ইসলামের পথ এবং আল্লাহর দেখানো ধর্ম ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করা। ইসলাম ধর্মে মুসলমানদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দোয়ার সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে ছোট ছোট বিভিন্ন দোয়া উপস্থাপন করা হয় এবং সেই দোয়াগুলো বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি। আপনি যদি এরকম সুন্দর সুন্দর দুয়ার সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।
তবে আজকের আর্টিকেলটিতে যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার সময় কোন দোয়া করতে হবে, কোন দোয়া পড়লে বিপদ থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে, আল্লাহ আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি কি বিপদ থেকে বাঁচার জন্য দোয়া সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? বিপদ থেকে কিভাবে বাঁচবেন তা জানতে চাচ্ছেন? ইসলামে কি দোয়া রয়েছে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য তা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে এবং এখান থেকে আপনি উপকৃত হতে যাচ্ছেন। আর্টিকেলটিকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
ইসলামের প্রত্যেকটি কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া রয়েছে। সেই দোয়া পড়লে আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুঁশি হয় এবং বান্দার উপর রহমত বর্ষণ করেন। কোন বান্দা যদি বিপদের সময় বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া পড়ে এবং আল্লাহর কাছ থেকে বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আশ্রয় চায়, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয়ই ওই বান্দার জন্য বিপদ দূর করে দিবেন এবং ঐ বান্দাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাবেন।
হযরত উম্মে সালমার রাঃ বলেছেন, ” আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি মানুষের উপর কোন বিপদে এলে যেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা দোয়া পাঠ করে, তখন আল্লাহ তাকে তার বিপদ দূর করে দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন”
তাই কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি কোন বিপদে পড়ে, তাহলে এই দোয়াটি পাঠ করতে পারেন, তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেই ব্যক্তির বিপদ থেকে তাকে উদ্ধার করবেন। বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন। সেই সাথে সাথে তার জন্য যা কিছু উত্তম তাকে প্রদান করবেন।
এছাড়াও রাসূলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় পাঠ করতেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু হাজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি-ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।” এর অর্থ হচ্ছে ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি আকাশমণ্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু।’ (সহিহ্ বুখারী ও মুসলিম)
এছাড়াও বিপদের সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে দোয়াটি পড়তে বলেছেন তা হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ (দোয়া ইউনুস) এর অর্থ হচ্ছে ‘একমাত্র তুমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০০)
তাই কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি বিপদের সময় এই দোয়াগুলো পড়ে, তাহলে আল্লাহ সে মুসলমান ব্যক্তিকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবেন। এজন্য প্রত্যেকটি ব্যক্তির বিপদের হাত থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য এই দোয়াগুলো শিখে রাখা প্রয়োজন।