সম্মানিত পাঠক মন্ডলী, আপনারা কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আপনাদের অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে পড়াশোনা ভালো করার জন্য কোন দোয়া ও আছে কি? আপনাদের এ সকল প্রশ্নের জবাবে আজকে আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ লিখছি। যেখানে পড়াশোনা ভালো করার জন্য বেশ কিছু দোয়া আপনাদের সামনে আজকে আমরা উপস্থাপন করব। আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আজকে আপনারা পড়াশোনা ভালো করার জন্য বেশ কিছু দোয়া দেখতে পাবেন। যে সকল দোয়া গুলো আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি কাজে আসবে এবং আপনারা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ইসলাম একটি সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এবং ইসলাম আমাদেরকে অনেকগুলো দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যে সকল দিক নির্দেশনাগুলো মেনে চললে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকভাবে লাভবান হতে পারব। ইসলাম আমাদেরকে জানিয়েছে পড়াশোনা ভালো করার জন্য আমরা বেশ কিছু আমল করতে পারি বেশ কিছু দোয়া পাঠ করতে পারি যেগুলো আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেগুলো আপনারা প্রতিনিয়ত পাঠ করতে পারেন এবং এগুলো পাঠ করলে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন অনেক কিছু জানতে পারবেন।
নিচে একটি দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে দোয়াটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দোয়াটি হলো (আরবি) :
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
বাংলা উচ্চারণ : সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আলিমুল হাকিম।
অর্থ : (হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (২/৩২)
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য অনেকগুলো দোয়া রয়েছে যেগুলো আপনাদেরকে প্রতিনিয়ত পাঠ করা উচিত। আপনারা যদি প্রতিনিয়ত এ সকল দোয়াগুলো পাঠ করেন তাহলে আপনারা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন। যেমন: সূরা ইখলাস আপনারা যদি সূরা ইখলাস প্রতিনিয়ত পাঠ করেন তাহলে এখান থেকে আপনি অনেক ধরনের ফজিলত পাবেন। যেকোনো সময় সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। আর ইতিহাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়ত বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে ওস্তাদ খোররা বলেছেন,
উদ্দেশ্য বা নিয়ত হলো আমাদের আত্মার মতো অথবা নিজের ভিতর থাকা প্রাণশক্তির মত বেশিরভাগ বিজি দেখতে মোটামুটি একই রকম। কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারা গাছ হয়ে বেড়ে ওঠে আর ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আমাদের কাছে একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজ ও ফল তত ভালো হবে।তার এ কথা দ্বারা আমরা বলতে পারি যে, আমাদেরকে সব সময় নিয়ত ভালো করতে হবে। আমরা যদি নিয়ত ভালো করতে পারি তাহলে আমরা ভবিষ্যতে উন্নতি করতে পারব এবং আমাদের প্রতিনিয়ত কর্মকান্ডে নিয়ত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নিচে আরেকটি দোয়া উল্লেখ করা হচ্ছে এই দোয়াটি ও মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
বাংলা উচ্চারণ : রাব্বি যিদনি ইলমা
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সুরা ত্বাহা, আয়াত : ১১৪)
তাছাড়া জিকির বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন…। (সুরা কাহাফ, আয়াত : ২৪)
তাই আমাদের উচিত জিকির, তাসবিহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবির (আল্লাহু আকবার)- এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করা।
সম্মানিত পাঠকমণ্ডলী, উপরে যে সকল দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো আপনাদের পড়াশোনা ভালো করার জন্য পড়াশোনায় উন্নতি করার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে এই সকল দোয়া গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা যদি প্রতিনিয়ত এ সকল দোয়াগুলো পাঠ করেন এবং এ সকল আমলগুলো পাঠ করেন তাহলে এখান থেকে আপনারা আপনাদের সময় ভালো করতে পারবেন এবং আপনাদের পরবর্তী জীবন অনেক বেশি সুন্দর এবং স্বাভাবিক হবে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেককে এ সকল দোয়া গুলো পাঠ করা উচিত।