মজলিস থেকে উঠার দোয়া

ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। আর এই শান্তির ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ামত দান করেছেন বা বিভিন্ন নিয়ম কানুনের ব্যবস্থা করেছেন। মুসলমানেরা প্রত্যেকটি কাজ কিভাবে পালন করবে, কিভাবে পালন করলে তা ভালো হবে বা মঙ্গলজনক হবে, কিভাবে পালন করলে সেই কাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারও ইবাদত করা হবে, সেই ব্যবস্থা গুলো মুসলমান ধর্মের ধর্মগ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির সেই বিষয়গুলো পালন করা উচিত। আসলে এমন ছোটখাটো বিষয় নেই যা মুসলমান ধর্মে বা ইসলাম ধর্মে নির্দেশিত নয়। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত ইসলাম ধর্মের ছোট ছোট নিয়ম গুলো মেনে চলা এবং এই নিয়মগুলো মেনে চলার মাধ্যমে নিজেকে যেমন ভালো রাখা যায় বা নিজের যেমন মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায়, তেমনিভাবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা যায়।

এরকম ইসলাম ধর্মে বিভিন্ন ছোট ছোট কাজের জন্য বিভিন্ন রকমের দুয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বা বিভিন্ন দোয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তাই প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে যদি এই দোয়াগুলো করা হয় বা আদায় করা হয়, তাহলে আল্লাহ সে কাজের বরকত দান করেন এবং আল্লাহ সেই বান্দার উপর অনেক বেশি খুশি হয়। এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত ছোট ছোট আমলগুলো করা এবং এই ছোট আমলগুলো পালন করার মাধ্যমে নিজের মানসিক শান্তি যেমন লাভ করা যায়, তেমনি ভাবে আল্লাহতালার প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিচিত লাভ করা সম্ভব হবে। এরকম একটি দোয়া হচ্ছে মজলিস থেকে উঠার দোয়া। একজন মানুষ যখন বিভিন্ন কারণে মজলিসের ব্যবস্থা করেন বা মজলিসে অংশগ্রহণ করেন, তখন সেই মজলিসে অংশগ্রহণ করে নানা বিষয়ে তারা আলাপ আলোচনা করতে পারেন বা বিভিন্ন বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

এ ধরনের মজলিস থেকে উঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া রয়েছে। তবে মুসলমান ব্যক্তিরা এই দোয়াগুলো করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা খুশি বা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে।। এজন্য মজলিস থেকে ওঠার সময় অবশ্যই সে দোয়াটির পড়তে হবে বা পড়া উচিত। একজন ব্যক্তি যদি কোন মজলিস থেকে উঠে এই দোয়াটি পড়ে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা হয় এবং আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হয়। এরকম ছোট ছোট বিভিন্ন কাজ রয়েছে, আর এসব কাজের জন্য ছোট ছোট বিভিন্ন দোয়া রয়েছে। আপনি যদি এই দোয়াগুলো পালন করেন বা একজন মুসলিম ব্যক্তি হিসেবে সেই দোয়াগুলো মেনে চলেন, তাহলে আল্লাহ আপনার উপর অনেক বেশি খুশি হবে এবং রহমত বর্ষণ করবে।

যেমন বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একটি দোয়া রয়েছে। আপনি যখন আপনার বাড়ি থেকে বাইরের উদ্দেশ্যে বের হবেন, তখন সে দোয়াটি পড়তে হবে। আবার বাসায় প্রবেশ করার সময় একটি দোয়া রয়েছে। সেই দোয়াটি বাসায় প্রবেশ করার সময় পড়তে হবে। এরকম ঘুমানোর সময় দোয়া রয়েছে, খাবার সময় দোয়া রয়েছে, পানি পান করার দোয়া রয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে ছোট ছোট দোয়া রয়েছে। এই দোয়া গুলো করার মাধ্যমে আমলনামা নেকির পাল্লা ভারী করার জন্য যেমন ব্যবস্থা করা হয়, তেমনি ভাবে আল্লাহতালার শুকরিয়াও আদায় করা সম্ভব হয়। আশা করি এই দোয়াগুলো প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি পালন করার চেষ্টা করবে এবং আল্লাহতালা শুকরিয়া আদায় করার চেষ্টা করবে।

তবে অনেকে দেখা যায় যে মজলিস থেকে ওঠার জন্য কি দোয়া করতে হয়, সেই বিষয়টি জানার চেষ্টা করে। তাই আমাদের এই আর্টিকেলটিতে মজলিস থেকে উঠার জন্য যে দোয়াটি পড়তে হবে সেই দোয়াটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আরো অনেক ছোট ছোট দোয়া রয়েছে যে দোয়াগুলো মুসলমান ব্যক্তিদের পালন করা উচিত। মজলিস থেকে উঠার সময় যে দোয়াটি করতে হবে তার উচ্চারণ নিম্নে দেওয়া হলো:
সুবহা-নাকাল্লা-হুমা অবিহামদিহিকা আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আসতাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক্।

Leave a Comment