শিরক থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে যেই কাজগুলো করলে আল্লাহর সাথে শেয়ার করা হয় সে কাজগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে তাহলে আপনি এই শিরক থেকে বাঁচতে পারবেন। আমরা বুঝে না বুঝে বিভিন্ন সময় শিরক করে থাকি এই শিরক করার কারণে আমরা আল্লাহতালার সাথে অন্যান্য মানুষদের বা অন্যান্য জিনিসদের অনেক সময় তুলনা করে থাকি। এইটা কখনোই করা যাবে না কারণ এটা করা মানে শিরক।
শিরক থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের শিরকী কাজগুলো করা থেকে দূরে থাকতে হবে, এই শিরক থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্যান্য জিনিসের তুলনা বাদ দিতে হবে। পৃথিবীর সবচাইতে বড় যত অপরাধ, বা পাপ রয়েছে তার মধ্যে,সবচেয়ে সবচেয়ে বড় পাপ হলো এই শিরক করা।
আমাদের পবিত্র কুরআন গ্রন্থে বেশ কিছু জায়গায় শিরক না করার বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহর সাথে জেনে না জেনে বুঝে না বুঝে কোন বিষয়ে সঙ্গে শিরক করা যাবে না এটা একদম কোরআন হাদিসে এসেছে একদম নিষেধ। অনেকে আছে বিভিন্ন কথাবার্তার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হোক শিরক করে থাকে। এই শিরক করা থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বা শিরক কথা মুখ থেকে বের করে তাহলে তার ঈমানের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় তবে ঈমান ও কুফরের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা আমাদের উচিত যেন কোন কুফরিবাসীর কোন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে না বের হয়ে যায়। শিরক থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদের সবার জন্য দোয়া করতে বলেছেন আল্লাহ রাসূলগণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন।
মা’কাল ইবনু ইয়াসার (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু বকর (রা.)-কে বলেছেন, ‘হে আবু বকর! নিশ্চয় তোমাদের মাঝে শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়ে সূক্ষ্ম। সেই সত্তার শপথ— যার হাতে আমার প্রাণ, শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়ে সূক্ষ্ম। আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেব না, যা বললে শিরকের অল্প ও বেশি সবই দূর হয়ে যাবে? আপনি বলুন,
ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أشْرِكَ بِكَ وَاَنَا أَعْلَمُ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন-আশরিকা বিকা, ওয়া আনা আ’লামু; ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই। (সহিহ আলআদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৫১)
শিরক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জঘন্যতম অপরাধ গুলোর মধ্যে অন্যতম তাই এই শিরক করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। শিরক থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের নিয়মিত আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে হবে আল্লাহ তাআলার এবাদত করা মাধ্যমে আমরা আল্লাহর পথে ফিরে আসতে পারি। আমাদের -রাসূলগণ যেভাবে আমাদের জীবন বিধান এর নির্দেশ দিয়ে গেছেন সেভাবে আমাদের জীবন যাপন করতে হবে।
সৃষ্টিকর্তার এবাদতের মাধ্যমে এবং আল্লাহ তাআলার রাসূলগণদের দেখানো পথগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আমরা ভাল পথে ফিরে আসতে পারি সেই সাথে আমরা এই শিরক থেকে রক্ষা পেতে পারি। শিরক থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই আমাদের কুরআন শরীফের যেই বিধি-বিধান রয়েছে সে বিধি বিধানগুলো মেনে চলতে হবে। খারাপ মানুষের পাল্টে পড়ে বা খারাপ মানুষের প্রচারণায় পড়ে কখনোই আমরা শিরকই যে কাজ রয়েছে সেগুলো বলবো না।
আপনি যদি শিরক থেকে বাঁচতে চান তাহলে আপনাকে খাল দিলে নেক আমল করতে হবে তাই প্রত্যেকটি মুসলমানকে টানিস কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করতে হবে কুপরি ও শিরক থেকে বাঁচার জন্য আমাদের ভালোভাবে আমল করতে হবে। ভালোভাবে আমল করার পাশাপাশি আমাদের নিকৃষ্ট আত্মীয়-স্বজনের সাথে আমাদের ভালো ব্যবহার সেই সাথে আমাদের চলাফেরা ও সুন্দর করতে হবে।