যে সকল মা গর্ভবতী হয়েছেন অথবা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো বুঝে নিয়ে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন তাদের এখন শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে গর্ভবতী হওয়ার পর খাবারের প্রতি অরুচি অথবা বিভিন্ন আঁশটে জাতীয় খাবারে গন্ধ লাগার কারণ গুলো উঠে আসলেও আপনাদেরকে অবশ্যই ভালো ভালো খাবার খেয়ে শরীরের ওজন ঠিকঠাক মতো রাখতে হবে। তাই এই ক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা কি হতে পারে অথবা কোন কোন খাবারগুলো গ্রহণ করলে তার ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের জন্য ভালো হবে তা ছবি আকারে প্রদান করা হলো।
গর্ভবতী মায়ের গর্ভে যখন সন্তান আসে তখন সেই সন্তান সহকারে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন অতিক্রম করতে হয়। মা যদি ঠিকঠাক মত খেতে না পারে তাহলে গর্ভের সন্তান ঠিকমতো পুষ্ট হবে না অথবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক বৃদ্ধি পাবে না। তাই একজন মা হিসেবে নিজের জন্য হোক অথবা সন্তানের জন্য হোক অবশ্যই ঠিকঠাক মত। তবে পারিবারিকভাবে যদি আর্থিক সমস্যা থাকে এবং পুষ্টিকর খাবার কিন্তু সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে মাতৃত্বকালীন ভাতা গ্রহণ করার পাশাপাশি কম খরচের মধ্যেও অনেক পুষ্টিকর খাবার কিনে খাওয়ানো যেতে পারে।
গর্ভবতী মায়েদের খাবারের ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই এবং এক্ষেত্রে একজন গর্ভবতী মা নিজেদের রুচি অনুযায়ী যে সকল প্রাকৃতিক খাবার খেতে চাইবে সবগুলো খেতে পারবেন। অর্থাৎ গর্ভবতী মা সকল ধরনের শাকসবজি খাবার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মাছ মাংস অথবা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারবে। এলার্জিজনিত অথবা নির্দিষ্ট খাবারের ক্ষেত্রে যদি কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে সেগুলো এড়িয়ে চললে কোন সমস্যা নেই।
অর্থাৎ একটা খাবারের বদলে অন্যান্য আরো অপশন রয়েছে এবং সেগুলো গ্রহণ করতে পারলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের ওজন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের খাবারের মাধ্যমে বাচ্চা বড় হতে থাকবে এবং শরীরে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ার পাশাপাশি এবং বাচ্চার ওজন দিয়ে সেই মায়ের ওজন বেশি দেখাবে। সন্তানের ভালোর জন্য অবশ্যই একজন গর্ভবতী মাকে খেতে হবে এবং এক্ষেত্রে যদি খেতে ইচ্ছা না করে তাহলে রুটির ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসা সেবা নেওয়া যেতে পারে।
গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা
ফল খাবার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই এবং এক্ষেত্রে একজন গর্ভবতীমা যেকোনো ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারে। তবে আমাদের দেশে কম দামে ভালো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে রয়েছে কলা আঙ্গুর বেদানা ইত্যাদি। এছাড়াও যে সকল সিজনাল ফল পাওয়া যায় সেগুলো যদি খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয় এবং এগুলোর মাধ্যমে একটা মায়ের শরীরের রক্তের চলাচল এবং রক্ত তৈরীর বিষয়গুলো অব্যাহত থাকবে। তাই ফল খাওয়ার ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই এবং যেগুলো খেতে মন চাইবে সেগুলো আপনারা বেশি করে খেতে পারেন।
গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা
উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে একজন গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন খাবারের ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন করার কথা বলা হলেও কোন ধরনের খাবার কতটুকু গ্রহণ করলে আদর্শ মান রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে জানতে হবে। তাই একজন মা হিসেবে গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং যদি একটু বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন কোন সমস্যা নেই। তাই গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা সম্পর্কে এখানে জানিয়ে দেওয়া হল অথবা ছবির মাধ্যমে প্রদান করা হলো বলে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য দিনের মতোই খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা
গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবারের তালিকার ভেতরে যে সকল খাবার তার শরীরের শুট করে না অথবা যে সকল খাবার তার শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা অবশ্যই জানিয়ে দেবেন তিনি গর্ভবতী একজন রোগী এবং এক্ষেত্রে ডাক্তার সেই ওষুধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিকতা অবলম্বন করতে পারবেন। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা কাঙ্খিত তথ্য পেয়ে গিয়েছেন এবং এ প্রসঙ্গে যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।