আপনারা অনেকে আছেন মেয়েদের সম্পত্তি অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। আমরা সেই বিষয়ে আজকে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত। মুসলিম আইনে নারীদের সম্পত্তির ওপর যে অধিকার দেয়া হয়েছে।
সে অধিকার বাস্তবে বাস্তবায়ন হয় না। এর কারণে নারীদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। কারো বাবা মারা গেলে ভাইরা সেগুলো দখল করে নেয়।কোন মেয়ের স্বামী মারা গেলে তখন তাকে কষ্টে, দিন পার করতে হয় ইসলামিক আইন বাংলাদেশ মানা হয় না। এর কারণে মেয়েরা তার সম্পদ, টাকা পয়সা থেকে বঞ্চিত হয়।
বাংলাদেশের একটি আইন প্রচলিত আছে। সম্পদের পরিমাণ মেয়েরা অর্ধেক পাবে, আর ছেলেরা পুরোপুরি পাবে। এই আইনটি পুরোটাই ভুল। এর কারণে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের মতো বিষয় ও আমাদের সামনে এসেছে নারীদের সমান অধিকার দেয়ার জন্য। কিন্তু এটা এখনো বাস্তবে পরিণত হয়নি। কি দাবি বাস্তবে পূরণ করতে হলে অবশ্যই পারিবারিক, অর্থনৈতিক, ধর্মভিত্তিক, রাজনীতিক সকল সংগঠনকে একত্র হয়ে এ আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনেকে আছে যারা সম্পদের নারীদের সমান অধিকার দাবি করে। কিন্তু তাদের ইসলামিক আইন সম্পর্কে ধারণা নেই। একজন বাবা যদি মৃত্যুবরণ করেন তার যেই সম্পত্তি রয়েছে সে সম্পত্তির অংশীদার সবাই হবে। সেই ব্যক্তির স্ত্রী, কন্যা, মা, বোন, দাদি নানি আরো অনেকে এ সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকেন।
আপনারা হয়তো জানেন নারী শুধু বাবা,মা এর থেকে সম্পদ পেয়ে থাকে,এটা ঠিক আছে তবে আরো কিছু ম্যাধম রয়েছে, যে গুলো থেকে নারীরা সম্পদ পেয়ে থাকে। সেই গুলো হলো মা, দাদী,স্বামী, ভাই এর সম্পত্তির ভাগ ও মেয়ে পেয়ে থাকে। অনেকেই আছে যারা দাদার ভাগ থেকে ও জমি পেয়ে থাকে।যে মেয়ে দের বাবা মারা যায়, তারা দাদার জমির ভাগ পেয়ে থাকে।
কোন মেয়ের বাবা যদি তার দাদা মারা যাওয়ার এখানে দিবা না ঠিক আছে আগেই মারা যাই। তাহলে সে তার বাবার ভাগটি তার দাদার অংশ থেকে পক্ষ থেকে পাবে।এই ক্ষেত্রে মেয়ে যতটুকু অংশ সে অংশই তাদের সম্পদের।
মেয়েকে আগেই সম্পত্তি দান করা যাবে
কোন বাবার যদি ছেলে সন্তান না থাকে তাহলে সে চাইলে। তার মেয়েদেরকে তার সম্পত্তি দিয়ে যেতে পারবে জীবিত থাকাকালীন।সে চাইলে হ্যাঁ বা বা দান করতে পারবেন।তবে এ দান করতে হলে এই দানের সকল নিয়মকানুন মেনে দান করতে হবে। কোন পিতা যদি তার মেয়েকে জমি দান করে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা ঘোষণা দিয়ে দান করতে হবে সবার সামনে। জমি দান করে দেবার পর অবশ্যই সে জমি মেয়ের নামে রেজিস্টার করে দিতে হবে।
আপনারা চাইলে অপপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকেও আপনার জমি বা সম্পত্তি দান করতে পারবেন। তবে আপনার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পরে সে জমি দখল করতে বা ভোগ করতে পারবে। মেয়ের নামে জমি দেওয়ার পর মেয়ে যদি অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। তবুও পিতা মাতা চাইলে সে জমিতে বসবাস করতে পারবে।আপনারা চাইলেও কখনো মেয়েকে জমি উইল করে দিয়ে যেতে পারবেন না। আপনার পুরো সম্পর্কে যদি আপনার মেয়েকে উইল করে দিতে চান তাহলে অন্য যারা ভাগিনা রয়েছে তাদের সম্মতি প্রয়োজন হবে।
ইসলামে একমাত্র কন্যা সন্তানের অংশ কত
আপনারা অনেকেই জানতে চান ইসলাম আইন অনুযায়ী কন্যা সন্তানের অংশ কতটুকু। ইসলাম অনুযায়ী কন্যা সন্তানের অংশ হবে। কন্যা সন্তান সম্পত্তির দুই ভাগের এক ভাগ উত্তরাধিকারী হবে। তবে শুধুমাত্র কন্যা থাকে দুই বা তার বেশি তাহলে সে জমির অংশ উদ্ধার উত্তরাধিকারের দুই-তৃতীয়াংশ পেয়ে যাবে।