আল্লাহতালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তাই মানব জাতির উচিত আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার ইবাদত করা এবং ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করা। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করে, তাহলে আল্লাহতালা তার উপর অনেক বেশি খুশি হয় এবং রহমত বর্ষণ করেন। সেই ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে যেমন সফলতা লাভ করতে পারে, তেমনি ভাবে পরকালীন জীবনেও তার জন্য চির শান্তির স্থান জান্নাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুনিয়ার জীবনে সফলতা লাভ করার পাশাপাশি পরকালের জীবনে চির শান্তির স্থান লাভ করার জন্য হলেও আল্লাহতালার ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন পরিচালিত করতে হবে। বিভিন্নভাবে আল্লাহ তালার ইবাদত করা যায় এবং আল্লাহ তাআলাকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন ছোট ছোট ইবাদত রয়েছে। সেই ছোট ছোট ইবাদত বা কাজগুলো করার মাধ্যমে আল্লাহতালা অনেক বেশী খুশী হয়। তাই আমাদের উচিত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট কাজগুলো মাথায় রাখা এবং ছোট ছোট ইবাদত গুলো পালন করা।
কথা বলার সময় সত্য কথা বলতে হবে। সত্যবাদী কে আল্লাহ অনেক বেশি পছন্দ করে। শুধু আল্লাহ না সত্যবাদীকে দুনিয়ার জীবনের প্রত্যেকটি মানুষও পছন্দ করে। মানুষের প্রিয় পাত্র হওয়ার জন্য যেমন সত্য কথা বলার প্রয়োজন আছে, তেমনি ভাবে আল্লাহতালার প্রিয় বান্দা হিসাবে পরিচিতি লাভ করার জন্য সত্য কথা বলতে হবে। মিথ্যা কথা বলা যাবে না। মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করেনা। মিথ্যাবাদী কে আল্লাহ পছন্দ করেননা। মিথ্যাবাদী কে আল্লাহ ভালোবাসে না। মিথ্যাবাদীর উপর রহমত বর্ষণ করে না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কোন অবস্থাতেই মিথ্যা কথা বলা যাবে না। সত্য কথা বলতে হবে।
এভাবে বিভিন্ন ছোট ছোট কাজের রয়েছে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে কৌশলে আল্লাহ তালাকে খুশি করা যায় এবং আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে পারে এবং আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে আল্লাহ তাআলা তার উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তিনি আল্লাহতালার রহমতের মধ্যে থাকে। তাই তার দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালের জীবনের সফলতা লাভ করার সহজ হয়।
তবে বিভিন্ন ইবাদতের মধ্যো অন্যতম প্রধান ইবাদত হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। যে মুসলমান ব্যক্তি সালাত আদায় করার চেষ্টা করে আল্লাহ তার উপর অনেক বেশি খুশি হন এবং রহমত বর্ষণ করেন। এজন্য আমাদের উচিত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। তবে প্রতিদিন সালাত আদায় করলে আল্লাহ যেমন অনেক বেশি খুশি এবং বান্দার উপর রহমত বর্ষণ করেন, তেমনি ভাবে কোন ব্যক্তি যদি বিনা কারণে নামাজ আদায় না করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করেন। কোন বেনামাজি ব্যাক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অর্থাৎ বেনামাজী ব্যক্তির জন্য আল্লাহর রহমত বর্ষণ করেন না এবং পরকালীন জীবনে তার জন্য রয়েছে চির শাস্তির স্থান জাহান্নাম।
এজন্য অবশ্যই আমাদের বেনামাজি ব্যক্তিদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে হবে এবং নিজেরাও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। আল্লাহতালা নামাজের জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন। যে অবস্থায় মানুষ থাকুক না কেন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা না যায়, তাহলে বসে নামাজ আদায় করতে হবে। বসে যদি না আদায় করা যায়, তাহলে শুয়ে নামাজ আদায় করার বিধান রয়েছে। আবার কোন ব্যাক্তি যদি কোন কারণে শুয়ে ও নামাজ আদায় করতে না পারে, তাহলে ইশারায় নামাজ আদায় করারও বিধান রয়েছে। তারপরেও আমার আদায় করতে হবে। এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির জন্য নামাজ আদায় করা ফরজ। কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি নামাজ আদায় করতে অবহেলা করে, তাহলে তার জন্য পরকালের জীবনে ছিল শাস্তির স্থান জাহান্নামের ব্যবস্থা করা রয়েছে।