আমাদের ভেতরে অনেক মুসলমান আছেন যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকলেও বাড়িতে নামাজ আদায় করে থাকেন এবং মসজিদের জামাতে গিয়ে নামাজ আদায় করেন না। এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করার সময় যদি আপনি বুঝতে পারেন আসলে এটা ঠিক হচ্ছে না এবং এক্ষেত্রে জামাতে গিয়ে নামাজ পড়তে হবে তাহলে অবশ্যই সেটার বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। সেই সাথে জামাতে সুযোগ থাকার পরেও যদি নামাজ না পড়েন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার কি ধরনের শাস্তি হতে পারে অথবা আপনি গুনাহগারে হবেন কিনা সে বিষয়ে এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
নারীদের বাড়িতেই নামাজ আদায় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং পুরুষরা অবশ্যই মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। তবে কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে যেগুলো কারণে আপনারা বাড়িতে নামাজ আদায় করতে পারেন এবং যদি সে সকল কারণ ছাড়াই নামাজ বাড়িতে আদায় করেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনাকে গুনাহগার হতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক অসুস্থ থাকার পরও সাহাবীদের কাঁধে ভর দিয়ে জামাতে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন।
সুতরাং জামাতে নামাজ আদায় করার গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি। মসজিদের আজান শোনার সাথে সাথে আমরা যদি জামায়াতের জন্য অগ্রসর হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়। এই জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বলা হয়েছে সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহর অভিশাপ যে আযান জামাতে উপস্থিত হয় না। একজন নারী হিসেবে আপনারা বাড়িতে নামাজ আদায় করার নির্দেশনা পেয়ে থাকলে পুরুষ হিসেবে বাড়িতে নামাজ বিশেষ উদ্দেশ্য ছাড়া আদায় করা উচিত নয়।
তাছাড়া এ বিষয়ে জানতে পেরেছি যে আপনি যদি কোন একটা স্থানে সর্বোচ্চ তিনজন ব্যক্তি থেকে থাকেন অথবা এর চাইতে বেশি ব্যস্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই জামায়াতের মাধ্যমে ওয়াক্ত এর ভিত্তি করে নামাজ আদায় করতে হবে। আর যদি এমনটা না ঘটে তাহলে অবশ্যই আপনারা একাকী নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে জামায়াতে নামাজ আদায় করলে অনেক সুযোগ-সুবিধা হয়েছে এবং এটার মাধ্যমে আপনি অনেক গুণ বেশি সওয়াব পাবেন। তাছাড়া এটা যেহেতু আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নত তাহলে অবশ্যই আমরা এই সুন্নত পালন করার চেষ্টা করব।
জামাতে নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে
আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে জামাতে নামাজ আদায় না করে থাকেন তাহলে অবশ্যই গুনাগার হতে হবে। একজন মুসলিম পুরুষ হিসেবে এবং সুস্থ ব্যক্তি হিসেবে আপনারা যখন জামাতে নামাজ আদায় করবেন অথবা বিশেষ কারণ ব্যতীত জামাত ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে একাকী নামাজ আদায় করবেন অথবা নামাজ পড়ার বিষয়ে যাদের সময় জ্ঞান খুবই কম তারা অবশ্যই গুনাগার হবেন। তাই এ সকল বিষয় মাথায় রেখে আমাদেরকে অবশ্যই প্রত্যেকটি কাজে মনোযোগ দিতে হবে এবং জামাতে নামাজ আদায় না করলে গুনাহগার হতে হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
জামায়াতে নামাজ পড়ার হাদিস
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক অসুস্থ থাকার পরেও জামাতে গিয়ে নামাজ আদায় করতেন। তাছাড়া তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে তিনি হাতে অঙ্গার নিয়ে বের হবেন এবং যে বাড়িতে কোন মানুষ কোন কারণ ছাড়াই মসজিদে উপস্থিত হবে না তাদের ঘরে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তাই জামাতে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এবং এই ইবাদত আপনারা কখনো ছেড়ে দেবেন না। তাছাড়া নিচের দিকে জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস সম্পর্কে তুলে ধরলাম বলে এটা অনুযায়ী আপনারা হয়তো একটু হলেও লাভের আশায় জামাতে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন।
জামায়াতে নামাজ পড়ার ফজিলত
আপনি যদি বাড়িতে একাকী নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে যতটুকু সওয়াব পাবেন তার চাইতে ২৭ গুন সওয়াব জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য পাবেন। তাই সওয়াবের দিক থেকে যেমন অনেকটাই বেশি লাভ করতে পারবেন তেমনি ভাবে এটা সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। জামায়াতে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে একজন মুসলমানের সঙ্গে আরেকজন মুসলমানের ভ্রাতৃত্ব যুক্ত হয়। একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি এখানে মতবিনিময় হয় এবং মানুষের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।