প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির উপর নামাজ ফরজ করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র শিশু এবং পাগলের ওপর নামাজ ফরজ করা হয়নি। সুস্থ স্বাভাবিক প্রত্যেকটা মুসলমানের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে যেমন শান্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, ইসলাম ধর্মে মর্যাদা দান করা হয়েছে, তেমনি ভাবে কেউ যদি সালাত আদায় না করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে তার জন্য অনেক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
আজকে আমরা সালাত আদায় না করার জন্য যে সকল শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বা যে সকল শাস্তি ভোগ করতে হবে সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। অনেকে দেখা যায় যে নামাজ না পড়ার জন্য কি শাস্তি রয়েছে বা কি ধরনের শাস্তি পেতে হবে এ বিষয়গুলো জানার জন্য সার্চ করে। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে নামাজ না পড়ার জন্য কি শাস্তি রয়েছে এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আপনিও কি নামাজ না পড়ার জন্য কি শাস্তি রয়েছে, তা জানতে চাচ্ছেন? আপনি নামাজ না পড়ার শাস্তিগুলো জেনে নিয়ে আপনি আর নামাজ আদায়ের অনীহা প্রকাশ করবেন না আশা করি। আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত নামাজ আদায় না করলে কি শাস্তি পাওয়া যাবে, সেগুলো জেনে রাখা এবং এ শাস্তির ভয়ে অন্ততপক্ষে নামাজ আদায় করা। আল্লাহ পাক যেই ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার উপর রহমত বর্ষণ করেন। তাই প্রত্যেকটা মুসলমানের উচিত আল্লাহর উপর তাকওয়া অর্জন করা এবং ঈমানের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা।
নামাজ না পড়াকে বা ঠিকমতো নামাজ না আদায় করাকে অনেকে ছোটখাটো বিষয় মনে করেন বা অগ্রাহ্য করেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি – আসুন জেনে নেওয়া যাক নামাজ না পড়ার ভয়াবহতা কতটুকু এবং নামাজ না পড়লে কি ভয়ংকার শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বারবার জোর দিয়ে বলেছেন ঐ দিন নিশ্চিত আসবে, যারা নামাজ পড়বে না, তাদেরকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া হবে।
আপনি যদি কোনো কারণে নামাজ আদায় করতে অনীহা প্রকাশ করেন বা নামাজ আদায় করতে ভালো না লাগে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহর কথা একবার স্মরণ করা উচিত। আশা করি আল্লাহর কথা স্মরণ করলে এবং নিজের ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করলে নামাজ আদায় করতে আর কখন অনিহা প্রকাশ করবেন না এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারবেন। যে সকল ব্যক্তি আল্লাহ পাকের উপর আমল করতে পেরেছে, তারা কখনো নামাজ আদায় করতে অবহেলা করে না। তারা সবসময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের চেষ্টা করে। আর কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি যদি নামাজ আদায় করতে না পারে বা নামাজ আদায় করা না হয়, তাহলে কাজা নামাজও পরবর্তীতে আদায় করা যায়।
বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে ‘আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি। অথচ তারা ঈমানদার নয়। ” (বাক্কারাহ: ৮). এই আয়াতে যাদের কথা বলা হয়েছে, তারা আসলে মুনাফিক। মুনাফিকরা মুখে স্বীকার করে, কিন্তু অন্তরে বিশ্বাস করে না। এ ধরনের ব্যক্তি কখনো মুসলিম হতে পারে না এবং তাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হয় না।
ফরজ নামাজ না পড়ার শাস্তির প্রসঙ্গে ও বিভিন্ন হাদিসে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই হাদিসগুলো পড়লে বা সে হাদিসগুলো দেখলে আসলে শাস্তির সম্পর্কে অনুধাবন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই প্রসঙ্গে অনেক কিছু বলে গেছেন, যে বিষয়গুলো আমাদের জানা দরকার। তবে কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এই নামাজ আদায় না করে, তাহলে তার জন্য বিভিন্নভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং তাকে চির শাস্তির স্থান জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।