মেয়েদের কসর নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে সবার প্রথমে আপনাদের জানতে হবে কসর এর নামাজ কি। প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের আগে জানতে হবে জানার পরে আমাদের সে বিষয়ে আমল করতে হবে। আজকে আমরা আপনাদের কসরের নামাজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই ধারণার আলোকে আপনারা যদি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারেন এই নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং এই নামাজ পড়লে কি উপকার হয় অবশ্যই আমাদের চেষ্টা সফল হবে। আপনারা যারা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত থাকেন তারা অবশ্যই অবগত আছেন যে আমরা ধর্ম বিষয়ক যেই পোস্টগুলো করে থাকি সেই পোস্টগুলো অবশ্যই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করে থাকি তার কারণ হচ্ছে এখানে যদি কোন ধরনের ভুল হয়ে যায় সেটার জন্য আমাদের দায়ী থাকতে হবে।
আমরা আপনাদের কিছু বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার জানানোর চেষ্টা করব এবং আমাদের কাছে যদি কোন দলিল থাকে সেটাও আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব আপনারা নিজে যাচাই-বাছাই করে সেগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আশা করছি আজকে আপনারা কসর নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং এই নামাজ মেয়েরা পড়তে পারবে কিনা এবং মেয়েরা পড়লে সেটা কিভাবে পড়বে এই বিষয়ে অবশ্যই পরিষ্কারভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
কসর নামাজ পড়ার নিয়ম
এখানে কসর শব্দের অর্থ যেটা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে চার রাকাত নামাজ কমিয়ে দুই রাকাত পড়া। যদি বিস্তারিতভাবে বলি তাহলে কোন ব্যক্তি যদি সফর অবস্থায় থাকে তাহলে সে এই নামাজটি পড়তে পারে। তবে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা আপনাদের জানতে হবে সেটা হচ্ছে এটা শুধুমাত্র ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অন্যান্য যে নামাজ আছে যেমন সুন্নত অথবা নফল এই নামাজের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। অন্যান্য নামাজগুলো পুরোপুরি আদায় করতে হবে এবং এক্ষেত্রে যেই ফরজ নামাজগুলো সফররত অবস্থায় চার রাকাত আছে সেখানে যদি সময় কম পাওয়া যায় তাহলে চাইলেই সেখানে দুই রাকাত আদায় করা যাবে।
যেই ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আছে সেই ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করতে হবে এখানে এক রাকাত আদায় করার কোন সুযোগ নেই। আশা করছি এই নামাজ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আপনাদের হয়েছে এখন আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব মেয়েরা এই নামাজ পড়তে পারবে কিনা।
মেয়েদের বাবার বাড়িতে নামাজ পড়ার নিয়ম
এখানে আমরা বিভিন্ন তথ্য থেকে এতোটুকু জানতে পারি মেয়েদের যদি বাবার বাড়ি শশুর বাড়ি থেকে ৪৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে দূরে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে নামাজ পড়ার দুই ধরনের নিয়ম আছে।এখানে আমরা যতটুকু জানতে পারি এই দুই ধরনের নিয়মের মধ্যে একটা হচ্ছে 15 দিনের কম থাকলে এবং দ্বিতীয় টা হচ্ছে 15 দিনের বেশি থাকলে। আমরা আজকে আপনাদের দুই ধরনের নামাজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকলে অবশ্যই এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করবেন।
প্রথমেই 15 দিনের কম থাকলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কসরের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে। যদি সম্ভব হয় তাহলে এই নামাজ আদায় করা যাবে যেমন যে ফরজ নামাজগুলো চার রাকাত সেই ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত করে আদায় করা যাবে। তবে যদি এখানে ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে থাকা হয় সেই ক্ষেত্রে কসর নামাজ আদায় করা যাবে না এখানে পুরো নামাজ আদায় করতে হবে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিধি-বিধান আছে এবং বুখারী শরীফ থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য হাদিস আপনারা একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এই নামাজ সম্পর্কে নির্দেশনা। আমরা একটি হাদিস পেয়েছি যেখানে ( মুসলিম ৬৮৫ এবং বুখারী ১০৪০) এই সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া হয়েছে আপনারা অবশ্যই সেগুলো একবার হলেও চেক