একটা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি সেখানকার ব্যক্তিদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না হয় এবং আপনারা যদি সেই অনুযায়ী সেখানে মসজিদ স্থাপন করতে চান তাহলে কাতারের এই অনুদান সংস্থা থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন পত্র পূরণ করতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রত্যেকটি উপজেলায় মডেল মসজিদ স্থাপন করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে করে সকল জায়গায় কমবেশি মডেল মসজিদ রয়েছে।
তারপরেও একটা নির্দিষ্ট এলাকার ভেতরে যখন মসজিদের প্রয়োজন হবে তখন সেখানকার ব্যক্তিরা আর্থিক সাহায্য সকলের থেকে তুলে অথবা সকলের কাছে নির্ধারিত চাঁদা ধরার মাধ্যমে অথবা নিজ উদ্যোগে সকলেই যদি সাহায্য করে তাহলে একটি মসজিদ গড়ে তোলা সম্ভব। মসজিদ গড়ে তোলার মাধ্যমে সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাই একটি এলাকায় যদি মসজিদে স্থাপন করা হয় তাহলে সেখানে সত্যিই সকল মুসলমানের জন্য অনেক ভালো হয়।
তবে এটা সত্যি যে বর্তমান সময়ে কম বেশি প্রত্যেকটি জায়গায় মসজিদ রয়েছে এবং একটি এলাকার ভেতরে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর অথবা আশেপাশের লোকজনদের আর্থিক সহায়তা অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যে অর্থ ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে অথবা মানুষজনের জীবন-যন্ত্রের মানের যে উন্নতি হয়েছে তাতে করে সকলে যদি চাঁদা তুলে মসজিদের স্থাপন করতে পারে তাহলে সেটা খুবই ভালো হয়। তারপরও আপনারা যেহেতু এই পোষ্টের মাধ্যমে কাতার অনুদান সংস্থার তথ্য জানতে চেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এই অনুদান সংস্থার নাম হলো কাতার চ্যারিটি।
বিদেশি এই অনুদান সংস্থা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মসজিদ নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশী কাতার সংস্থার অথবা কাতার চারিটির যে অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিলে তারা বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন এবং মাঠ পর্যায়ে এসে তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে যদি সঠিকতা অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে হয়তো অনুদান প্রদান করা হতে পারে। তবে কাতার অনুদান সংস্থার বাংলাদেশের যে অফিস রয়েছে তাদের কাছে যদি বাজেট দেয়া হয়ে থাকে অথবা তারা যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাজেট পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়ে মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন।
এই মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে আপনারা স্থানীয় যে সকল চেয়ারম্যান রয়েছে অথবা স্থানীয় যে সকল বাজেট আসে সেই বাজেট এর মধ্য থেকে এটা তৈরি করার জন্য সাহায্যের জন্য আবেদন লিখে আবেদনপত্র প্রদান করতে পারেন। কর্তৃপক্ষ আপনাদের এই বিষয়টা খুব ভালোমতো দেখবেন এবং দেখার পরে যখন বুঝতে পারবেন যে আসলেই মসজিদ নির্মাণের জন্য আশেপাশের ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা সম্ভব নয় অথবা এখানে অনেক অর্থের প্রয়োজন তখন কর্তৃপক্ষ তাদের বাজেট অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে।
কাতার চ্যারিটি অফিসের বাংলাদেশ ঠিকানা
কাতার চ্যারিটি অফিসের বাংলাদেশ ঠিকানা যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী সেখানে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে অনেকের পক্ষে সুবিধা হবে। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যখন এই অফিসের ঠিকানা জানতে পারবেন তখন সেখানে গিয়ে আবেদন পত্র জমা দিতে সুবিধা হবে বলে ঠিকানাটা জানিয়ে দেওয়া হলো। কাতার চ্যারিটি অফিসের বাংলাদেশের ঠিকানা হল ঢাকা ১২১৩, রোড নাম্বার ৫, বনানী, বাড়ি নভেম্বর ৯৮।
কাতার দাতা সংস্থা
তাহলে আপনারা উপরের উল্লেখিত বাংলাদেশের যে অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা সাহায্যের জন্য তাদেরকে যদি আবেদন পত্র জমা দেন তাহলে বাজেট থাকা সাপেক্ষে তারা আপনাদেরকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারে। কাতার দাতা সংস্থা বর্তমান সময়ের যে সাহায্য করছে তাতে করে অনেকের জন্যই উপকার হচ্ছে এবং এদের মাধ্যমে পৃথিবী ব্যাপী মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতার দাতা সংস্থা সম্পর্কে যেমন জানিয়ে দেওয়া হলো তেমনি ভাবে আপনারা বিভিন্ন দেশের অফিসের ঠিকানা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।