অন্যের জিনিস জোরপূর্বক অথবা ভুলভাল বুঝিয়ে নিজের করে নেওয়াটাই হচ্ছে ঠকানো। তাই অন্যের জিনিস আপনি যখন অন্যায় ভাবে নিয়ে নিচ্ছেন অথবা ভালো বর্ণনা দেওয়ার পরে খারাপ জিনিস প্রদান করছেন সে ক্ষেত্রে এটা আপনার ঠকানো পর্যায়ের কাজ হয়ে গেল। তাই আমাদের এমনভাবে মানসিকতা তৈরি করতে হবে যাতে করে আমরা কাউকে না ঠকায় অথবা আমরা যদি কারো থেকে ঠকেও যাই তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে না পারলেও ধৈর্য ধারণ করে সেটার বিচার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রদান করতে হবে।
তাছাড়া আমাদের সমাজে যে সকল ব্যক্তির ঠক বা প্রতারক হিসেবে পরিচিত তাদের উদ্দেশ্যে আপনারা যদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন উক্তি নিয়ে পোস্ট করেন তাহলে হয়তো তারা এগুলো দেখার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে সংশোধন করার সুযোগ পাবে। আর আপনারা ঠকানো নিয়ে যখন বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করবেন তখন অনেকেই এগুলো পড়লেও দেখা যাবে যে তাদের ভেতরে আত্মশুদ্ধির বিষয়গুলো আস্তে আস্তে চলে আসবে। অর্থাৎ আপনি কাউকে ঠকিয়ে পার পেয়ে গেল প্রকৃতির বিচার বলে একটা কথা আছে এবং সেই বিচারের মধ্য দিয়ে আপনাকে একটা সময় যেতে হবে।
তাই আমাদের সমাজে যে সকল ব্যক্তি এ সকল কাজের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আমরা এ বিষয়ে যদি ধারণা প্রদান করতে পারি তাহলে সেই ব্যক্তি হয়তো নিজেকে সংশোধন করতে পারবে এবং ভালো পথে আসতে পারবে। তাছাড়া একজন ব্যক্তিকে ঠকিয়ে আপনি কখনোই লাভবান হতে পারবেন না এবং কোনো না কোনোভাবে আপনার এই জিনিসটি ঠিকই চলে যাবে। তাই ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে কাউকে ঠকিয়ে কোন লাভ নেই এবং সব সময় সৎ পথে চলতে পারলে নিজের জীবনকে যেমন এই দুনিয়ার জীবনে উপভোগ করা যাবে তেমনিভাবে আখিরাতের পরেও সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে।
ঠকানো নিয়ে কবিতা
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্যকে ঠকিয়ে শান্তি পায় এবং অন্যদের সম্পদ আত্মসাৎ করে ও নিজেদেরকে অনেক বড় বলে ভাবে। কিন্তু তিনি যে সৃষ্টিকর্তার কাছে একেবারে নিম্ন পর্যায়ের একজন মানুষ হয়ে গেলেন সেটা কখনোই ভাবেনা। সবাই বর্তমানকে ভাবতে গিয়ে ভবিষ্যতকে নষ্ট করে ফেলে এবং এর ফলাফল কিন্তু ভবিষ্যতে ঠিকই ভোগ করতে হয়। তাই আপনারা যারা এখানে ঠকানো নিয়ে কবিতা পড়তে এসেছিলেন তাদের জন্য আমরা সুন্দর সুন্দর কবিতা প্রদান করলাম যেগুলো পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।
ঠকানো নিয়ে হাদিস
কাউকে ঠকানো নিয়ে যদি হাদিস পড়তে চান তাহলে এক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মে অনেক শাস্তির বিধান রয়েছে। এই শাস্তি হয়তো আপনি দুনিয়ার জীবনেই পেয়ে যাবেন এবং কোন না কোন ভাবে সেটা আপনি নিজেই একটা সময় উপলব্ধি করতে পারবেন। তাছাড়া মানুষ ঠকিয়ে অথবা কারো সম্পদ আত্মসাৎ করে আপনি যে ইবাদত করবেন সেটা কখনোই কবুল হবে না এবং সকল ক্ষেত্রে আপনি এই সমাজের মানুষের কাছে বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত হতে পারেন।
মানুষকে ঠকানো নিয়ে স্ট্যাটাস
যারা মানুষকে ঠকিয়ে শান্তি পায় তারা হয়তো নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে পারেনা। তাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরেও তারা যখন বুঝতে পারে না তখন অবশ্যই আমাদের বারবার তাদেরকে ভুল ধরিয়ে দেওয়া উচিত। তাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি যদি মানুষকে ঠকানো নিয়ে স্ট্যাটাস প্রদান করতে পারেন তাহলে এটা হয়তো অনেকের চোখে পড়বে। আর এই বিষয়টা যখন অন্য কোন মানুষের চোখের সামনে আসবে। তখন তার মনের ভেতরে যে সকল কুপ্রবৃত্তি রয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে এবং নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করবে।
কাউকে ঠকানো নিয়ে উক্তি
১. কাউকে ঠকিয়ে মনে করো না যে তুমি সফল এবং ভেবো না যে সে বোকা। সে হয়তো তোমাকে বিশ্বাস করে তোমার ওপর ভরসা রেখেছিল।
২. যদি কাউকে কখনো ঠকিয়ে নিজেকে বড় মনে করো, তাহলে সেটা তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
৩. যে একবার ঠকানোর চেষ্টা করে, ভেবে নিও সে বারবার ঠকাতে পারে।
৪. কাউকে ঠকাতে যেও না, হয়তো সেই ফাঁদে তুমিও পড়ে যেতে পারো।
৫. যে ব্যক্তিগুলো সব সময় ঠকানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলাফেরা করে, তারা কখনো জয়ী হতে পারে না।
১. মানুষকে ঠকানো কিছু মানুষের স্বভাব, এটা তাদের ভুল নয়।
২. ঠকিয়ে কিছু অর্জন করলেও, সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
৩. যে একবার একজন মানুষকে ঠকায়, সে আর বাকি জীবনেও তাকে বিশ্বাস করে না।
৪. অনেকে আছে যে কাউকে ঠকাতে গিয়ে সে নিজেই ঠকে যায়।
৫. মানুষ সুযোগ পেয়ে একজন মানুষকে ঠকায়, কিন্তু সে আসলে প্রকৃত জয়ী নয়।
৬. যোর করে কাউকে কখনো ঠকানো যায় না, একজন মানুষ একজন এর সুযোগ ছাড়া সে কখনো তাকে ঠকাতে পারবেনা।
তাই কাউকে ঠকানো যাবে না এবং সেই ঠকানোর মধ্য দিয়ে আপনি একসময় নিজেই ঠকে যাবেন। তাই বর্তমান সময়ে বাস করতে হলে এবং ভবিষ্যতের কথা ভাবতে চাইলে সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে সরে আসার পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করুন। আর আপনারা যারা এখানে কাউকে ঠকানো নিয়ে অথবা ঠকানো সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের উক্তি পড়তে এসেছিলেন তারা এই উক্তিগুলো পড়ে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সকল ধরনের কাজ করতে পারছেন এবং এগুলোর মধ্য দিয়ে আপনার মানবিক শিক্ষার বিষয়গুলো আরো উন্নত হচ্ছে।