ধোকা দেওয়া মানুষকে প্রতারণা করা একই বিষয়। অর্থাৎ মানুষ মানুষকে বা মানুষের সাথে যদি প্রতারণা করে থাকে অর্থাৎ কোন কাজ করে দিব বলে করে না দিয়ে তাকে অন্য কথা বলে তাহলে অবশ্যই সেটি ধোঁকা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই ধোকা দেওয়া হয় সেটি হল আমাদের সমাজে সব সময় দেখি একশ্রেণীর ব্যক্তি রয়েছে যে শ্রেণীর ব্যক্তিরা কটু কথা বলে এবং সুন্দর সুন্দর কথা বলে মানুষকে বা মানুষের কাছ থেকে অর্থ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ অর্থাৎ চাকুরী বা এ ধরনের আরো অনেক কিছু করে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে
নেয় কিন্তু তারা সেই ধরনের কাজগুলো করে না বা চাকরি নিয়ে দেয় না বা আরো অন্যান্য কোন কথা বলেও টাকা পয়সা নেয়। সে কাজগুলো তারা করে না। তাই ধোকা দেওয়া সম্পর্কে আমাদের সমাজে সকলেই কমবেশি জানে বা বোঝে তাই এ নিয়ে বিস্তারিত কথা না বললেও সবাই জানে ধোকা দেওয়া বিষয়টি কি। কারন আমরা অহরহ এই বিষয়টি দেখে থাকি যে ধোকা দেওয়া মানুষ মানুষকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিচ্ছে আমরা উপরে ভালো ভালো কথা বলি কিন্তু কাজের বেলায় ফাঁকি দেই। তাই মানুষের যে ধরনের খারাপ অভ্যাসগুলি রয়েছে সবচাইতে বড় খারাপ অভ্যাস এটা হতে পারে মানুষকে ধোকা দেওয়া বা মানুষের সাথে প্রতারণা করা।
ধোকা নিয়ে উক্তি
সমাজে মহা মনীষীরা জীবনকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তারা তাদের জ্ঞান দিয়ে গরিমা দিয়ে এই দুনিয়াটাকে বা এই সমাজ থেকে বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং সেই বোঝা থেকেই তারা বিভিন্ন ধরনের সমাজকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাই তাদের জীবনে দিয়ে উপলব্ধি করেছেন ধোকা দেওয়া মানুষগুলো সম্পর্কে এবং ধোকা খাওয়া মানুষগুলো সম্পর্কেও তার বুঝেছেন এবং তারপরেই তারাই তাদের সেই উপলব্ধি উক্তি হিসেবে এসেছে। আমরা এখন সেই উক্তিগুলো সম্পর্কেই দেখব। তাহলে চলুন দেখি ওই উক্তিগুলি সম্পর্কে কি রয়েছে সে বিষয়গুলোই
আমরা দেখার চেষ্টা করব। কারণ সমাজের বহু সময় বহুবার বহু মানুষকে ধোকা দেওয়া হয়েছে সেটি বিভিন্ন কথা বলে কখনো ধর্মের কথা বলে কখনো চাকুরীর কথা বলে কখনো কোন লোভ দেখিয়ে অর্থাৎ নানা বিষয় নিয়েই মানুষকে নানা সময় নানা ভাবে ধোকা দেওয়া হয়েছে। সেই ধোঁকা গুলি সম্পর্কে আমরা এখন দেখব এবং দেখার চেষ্টা করব। কারণ ধোঁকা কিভাবে দেওয়া যায় এবং ধোকা কিভাবে একজন ব্যক্তি খায় এই উভয় বিষয় সম্পর্কেই আমরা এখন আলোকপাত করবো এবং দেখার চেষ্টা করব বা দেখে নেব। চলুন তাহলে ধোকা নিয়ে উক্তি দেখি।
“মানুষের অনেকগুলো পশুবৃত্তি আচরণের মধ্যে সর্বনিকৃষ্টতম আচরণ হচ্ছে ধোঁকা। কত টা পাশবিক হলে, একজন মানুষ একজন মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে”।
মানুষ এবং পশু যে বিষয়গুলোর দ্বারা আলাদা সেটি হচ্ছে তাদের প্রবৃত্তি। আচার আচরণগত এবং মেধা বুদ্ধি এগুলোর সাথে মানুষ ও পশু পাখির বা অন্যান্য জীবজন্তুর সাথে আলাদা রয়েছে। মানুষ এবং পশুর মধ্যে আচরণগত অনেক তফাৎ রয়েছে তবে পশুর যে ধর্ম অবশ্যই পশু সেটি পালন করে তারা ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করেনা তারা সহজ সরল পথে চলে এবং মানুষ অবশ্যই বুঝে এ পশুর কি আচরণ হবে সেই আচরণ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে চায় বা পারে।
“একজন ধোকাবাজ মানুষ বরাবরই অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন কাটায়। কারণ সে ধোঁকা দিয়েছে, তাই সে জানে এর পরিণতি কি হতে পারে”।
ধোকাবাজ মানুষ যে অনেক শান্তিতে বসবাস করে সেটিও বলা যায় না কারণ তারা একজনকে ধোঁকা দিয়ে এসে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করবে তা বিধাতা কখনো মেনে নেবে না। তাই আপনারা অবশ্যই বিধাতার উপর ভরসা রেখে ধোকাবাজদের মোকাবেলা করতে পারবেন। আর ধোকাবাজদেরও অবশ্যই একটি কথা স্মরণ রাখতে হবে যে কাউকে কষ্ট দিয়ে জীবনে কখনো সুখী হওয়া যায় না। এরকম ধরনের ধোকা নিয়ে আরও উক্তি যদি আপনারা দেখতে চান তাহলে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা থাকবেন বলে আশা করি। তাহলে উক্তিগুলো দেখি।