প্রত্যেকদিন মানুষের কোথাও না কোথাও যাওয়ার অবশ্যই গন্তব্য থাকে। এছাড়াও মানব জীবনের একটি অবশ্যই লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকে এই সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য কেউ আমরা গন্তব্য বলে বুঝে থাকি। তাই এই গন্তব্য নিয়ে অনেকজন অর্থাৎ পন্ডিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য অথবা উক্তি করে গেছেন। আজকে আমরা সেই উক্তিগুলোই বিচার বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করব যে, গন্তব্য নিয়ে যে উক্তি তারা করেছেন সেই উক্তি গুলি সম্পর্কে।
গন্তব্য মানুষের থাকবেই জন্মের পর থেকেই মানুষের একটা গন্তব্য ঠিক হয়ে যায়। অর্থাৎ বড় হয়ে কোথায় যাবে কি করবে সে সকল বিষয়ে গন্তব্য ঠিক হয়ে যায় প্রথম থেকেই। আর সেই গন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উক্তি করেছেন মহামনিশিগণ। আমরাও আপনাদেরকে আজকে সেই মহমানুষিকনের গন্তব্য নিয়ে যে উক্তি সেই উক্তিগুলি দেখাবো বা দেখানোর চেষ্টা করব।
গন্তব্য কি
গন্তব্য হলো আসলে কোথাও যাওয়ার জন্য নির্ধারিত জায়গা। তাই আমাদের জীবনের গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের অবশ্যই গন্তব্য স্থান ঠিক করতে হয়। গন্তব্যস্থান অর্থাৎ জীবনের লক্ষ্য জীবনের লক্ষ্য যদি স্থির না করি তাহলে জীবনকে কোথায় নিয়ে দাঁড়াল করানো যায় বা কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকবে না। জীবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্যই আমাদেরকে গন্তব্য সম্পর্কে বুঝতে হবে। তাই গন্তব্য বলতে যাবার স্থানকে বুঝালেও
আসলে বৃহৎ অর্থে এটি জীবনের গন্তব্য অর্থাৎ জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কে বুঝিয়ে থাকে। আর জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য না থাকলে জীবনকে ঠিকমতো তৈরি করা সম্ভব হয় না। তাই আমাদের সব সময় উচিত যে জীবনকে একটি জায়গা নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই লক্ষ্য উদ্দেশ্য স্থির করে সেই অনুযায়ী আমাদের গন্তব্য চলতে হবে। আসলে গন্তব্য শব্দটিকে যদি আমরা বিস্তার বিশ্লেষণ করি তাহলে যেটি পাওয়া যায় তা হলো –
গন্তব্য [ gantabya ] বিণ. 1 গমনীয়, গম্য, যেখানে যেতে হবে (গন্তব্য স্হান); 2 জ্ঞাতব্য, অধিগম্য। [সং. √গম্ + তব্য]।
গন্তব্য নিয়ে উক্তি
আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত সকল কিছু নিয়েই উক্তি রয়েছে। অর্থাৎ মানুষের জীবনে চলার পথে যে সত্য গুলি সব সময় অনুভূত হয়েছে সেই সত্য গুলি লিখে গেছেন বিভিন্ন মহা মনিষীগণ। তেমনি ভাবে গন্তব্য নিও বিভিন্ন ধরনের উক্তি তারা করে গেছেন। আর আজকে আমরা এখন এই গন্তব্য নিয়ে উক্তিগুলোই দেখব এবং এই গন্তব্য নিয়ে উক্তিগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করব যে সেগুলো আমাদের জীবনের জন্য কতটুকু প্রযোজ্য রয়েছে।
কারণ আমাদের সব সময় একটি গন্তব্য থাকে। যদি মাঝির বা কান্ডারীর গন্তব্য না থাকলে লক্ষ্যহীনভাবে নৌকা চালাতে পারবেনা। তেমনি একটি গাড়ি ক্ষেত্রেও সেই একই রকম দৃশ্য দেখা যায়। তাই আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও প্রথমে একটি গন্তব্য বা লক্ষ্য উদ্দেশ্য স্থির করতে হবে। তারপর সেদিকে ধাবিত হতে হবে আমাদের। তাহলে চলুন এই নিয়ে আমরা উক্তিগুলো এখন কেমন হতে পারে সেই বিষয়টি দেখার চেষ্টা করি। এবং উক্তিগুলো বিচার বিশ্লেষণ করি।
মন্তব্য নিয়ে উক্তিগুলো হল-
“কিছু কিছু সময় গন্তব্যে পৌঁছানোর তুলনায় যাত্রা পথেই বেশি আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়”।
মানুষের প্রত্যেক দিনের গন্তব্য আলাদা আলাদা হতে পারে তবে জীবনের গন্তব্য একটাই। এজন্য গন্তব্য পথে যাওয়ার চাইতে অবশ্যই গন্তব্য পথে যেতে পথের বিভিন্ন ধরনের বিষয় সম্পর্কে আমরা অবগত হই। সেটা বাস্তব জীবনে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনি আপনার বাড়ি থেকে কোন এক জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন পথের দৃশ্য বা পথের যে যাত্রা বিরতি বা অন্যান্য পথের মানুষ সকল কিছু অবশ্যই আমাদেরকে আনন্দ দেয়।
“গন্তব্যে পৌঁছতে হলে প্রথমে চলা শুরু করতে হবে, বসে থেকে তো আর পৌঁছে যাওয়া যায় না”।
দুর্গম পথ দেখে ভয় না পেয়ে আমাদের গন্তব্য পৌঁছাতে হলে অবশ্যই প্রথমে চলা শুরু করতেই হবে। আর চলা শুরু করলে এক সময় না এক সময় আপনি অবশ্যই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবেন এটি সত্য কথা। তাই পথের কথা না ভেবে দূরত্বের কথা না ভেবে আপনি চলা শুরু করুন তাহলে অবশ্যই একদিন সেখানে গিয়ে আপনি হাজির হতে পারবেন। তাহলে এ ধরনের গন্তব্য নিয়ে আরো উক্তিগুলো যেগুলো রয়েছে সেই উক্তিগুলো এখন আমরা এখান থেকে দেখতে থাকি।