দান করা একটি মহৎ গুণ। যারা দান করতে জানেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানব। যাদের মানবিক শক্তি জাগ্রত তারাই শুধু দান করতে জানে। দান করতে ধনী বা বড়লোক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না দান করতে প্রয়োজন পরে একটা ধনী মনের। যারা দান করেন তারাই বোঝেন যে দান করার মধ্যে কতটা আনন্দ রয়েছে।
দান করতে সবাই পারেনা। অনেকের অনেক ধনসম্পদ থেকেও তিনি দান করতে পারেন না আবার মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যেও এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা দান করে থাকেন। দান করার মধ্যে জীবনের প্রকৃত সুখ। তাই যারা দান করে তারাই প্রকৃত মানুষ।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে করো, তবে তা উত্তম; আর যদি তা গোপনে করো এবং অভাবীদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য শ্রেয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের মন্দগুলো মোচন করে দেবেন। তাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চাইলে গরিব-দুঃখীদের মাঝে দান করতে শিখুন। দান করলে ধন-সম্পদ কমে যায় না। দান করলে বরং ধন-সম্পদ বাড়ে।
দান করা নিয়ে ফেসবুক এবং instagram এর জন্য কিছু স্ট্যাটাসের উদাহরণ দেখে নিন:-
যারা দান করে তারাই তো শ্রেষ্ঠ মানব। গরিব-দুঃখীদের পাশে যদি দাঁড়াতেই না পারেন তাহলে আপনার এত অর্থ সম্পদ থেকে কি লাভ। যারা দান করতে জানেন না তারা বোঝেনা দান করার পিছনে কত শান্তি রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের বানিয়েছেন কাউকে ধনী এবং কাউকে গরিব করে। দরিদ্ররা ধনীদের থেকে সাহায্য পাওয়ার জন্য অধিকার রাখে। যে জিনিস আপনার অনেক আছে কিন্তু অন্যদের কাছে নেই, সেই জিনিস দান করে দিতে শিখুন।
দান করতে প্রয়োজন একটি সুন্দর মনের। যাদের মন বড় তারাই দান করতে পারে। তাই নিজের মন-মানসিকতাকে জাগ্রত করুন এবং মানবিক চেতনাকে জাগিয়ে তুলুন। গরিব দুঃখী অসহায়দের সামান্য কিছু দান করলে আপনার হয়তো কিছু ক্ষতি হবে না ,কিন্তু আপনার থেকে প্রাপ্ত সেই দান পেয়ে তারা অনেক লাভবান হবে।
যারা দান করে আসলেই তাদের মন মানসিকতা ভালো কারণ । আপনি যদি গরিব-দুঃখীদের কষ্টটাকে অনুভব করতে পারতেন তাহলে অবশ্যই গরিব-দুঃখীদের দান করতে জানতেন।দান করতে শুধুমাত্র প্রচুর অর্থ সম্পদের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন বেদনা এবং সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা।
হাজার পাপ কাজ করেও যদি গরিব দুঃখীদের দান করতে পারেন ।তাহলে তাদের দোয়ায় আপনার অনেক পাপ মাফ হয়ে যায়। আল্লাহর দরবারে আপনার পাপ কাজ মোকুব হয়ে যায়।দান করাই প্রায় একমাত্র পুণ্য যেটির মানবজাতির যথেষ্ট প্রশংসা করে। বরং এটি অনেক চাপযুক্ত এবং এটি আমাদের স্বার্থপরতাকে ছাপিয়ে যায়।
অনেকের দান করার মন-মানসিকতা থাকলেও দান করার সামর্থ্য থাকে না। অল্পদ্রব্য দান করতে লজ্জিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, কেননা কিছু দান না করা অপেক্ষা অল্প কিছু দান করা ভালো। আপনার যতটুকু সামর্থ্য আপনি ততটাই দান করতে পারেন।
যে ব্যক্তি কৃপণতা করে এবং দান করতে যার হাত ছোট এরকম ব্যক্তির থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ধন দান করতে যে ব্যক্তি যত বেশি কৃপণ হয়, সে মান সম্মান দানেও তত বেশি অকৃপণ হয়। কারণ কৃপণ মানসিকতার ব্যক্তি আর যাই হোক ,কখনোই একজন ভালো মানুষ হতে পারে না।
এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার জন্য মানুষকে দেখানোর জন্য দান করে থাকে।সকল মানুষেরই উচিৎ কিছু না কিছু দান করার চেষ্টা করা। দান করা সংহতির চূড়ান্ত লক্ষণ, তাই আমাদের সকলেরই এটির অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ।
আমি মনে করি লোকেরা ভুলে যায় যে কাউকে সাহায্য করার জন্য একটি বড় অনুদান লাগে না, শুধুমাত্র অনেক ছোট একটা দানই অনেকের জীবন বাঁচাতে যথেষ্ট।
লোককে দেখানোর জন্য দান করা চেয়ে দান না করাই ভালো। কারণ লোক দেখিয়ে দান করলে সেই দানের মূল্য থাকে না। যদি দান করতে চান তাহলে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মন থেকে দান করুন।
অসহায় গরিব দুঃখীদের কষ্ট দেখে যারা দান করতে চায় না আসলে তারা মানুষরূপী অমানুষ। মানুষ মানুষকে সাহায্য করবে তাহলেই তো পৃথিবীতে ভারসাম্য বজায় থাকবে।