কৃতজ্ঞতা গূণটি সকলের মাঝে থাকা খুবই জরুরী। সবার মাঝে যদি এই কৃতজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু সমাজে মানুষের ভেদাভেদ থাকবে না। তাই মানুষের কৃতজ্ঞতা পথকে জাগ্রত করার জন্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু কৃতজ্ঞতা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং বাণী শেয়ার করতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া হল এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের মানসিক ধ্যান-ধারণাগুলো সেখানে শেয়ার করতে পারি।
আমাদের শেয়ারকৃত কথাগুলো দ্বারা কিন্তু অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়। তাই আজকে আমরা কৃতজ্ঞতা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো আমাদের এই আর্টিকেলটি।আজকের এই পোষ্ট কৃতজ্ঞতা সম্পর্কিত আমরা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরেছি কৃতজ্ঞতা সম্পর্কিত উক্তি, স্ট্যাটাস, কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা, কৃতজ্ঞতা নিয়ে কিছু কথা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও কৃতজ্ঞতা নিয়ে কবিতা। কৃতজ্ঞতা নিয়ে উক্তিগুলো পেয়ে যাচ্ছেন আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে।
মানুষ কখনোই একা একাই সফলতা অর্জন করেনা। একটি মানুষের সফলতার পেছনে রয়েছে হাজারো মানুষের অবদান। পিছে ফেলে আসা হাজারো মানুষের সাহায্য নিয়েই কিন্তু একটি মানুষ সফল হতে পারে। তাই সফলতা অর্জন করার পর পেছনে ফেলে আসা সেই সাহায্যের হাতগুলোকে যদি আমরা ভুলে যাই তাহলে সেই সফলতার কোন দাম নেই। তাহলে সেই মানুষটি সফল হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আমাদের সব সময় একে অপরের প্রতি ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আচরণ করতে হবে।
আমাদের যারা সাহায্য করেছে বদলে আমরাও তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ভুলবো না।
মানুষের যেমন কর্ম ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। তেমনি অনেক মানুষের সাহায্য প্রয়োজন হয়। মানুষ অনেক কিছু মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করে থাকে। কিন্তু এর জন্য অন্যের সাহায্য নিতে হয় অন্যের সাহায্য ছাড়া সাফল্য অর্জন করা যায় না। জ্ঞানীরা অবশ্যই তা মেনে নেয় এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে। কৃতজ্ঞতা একটি গুণ, এই গুণ সকলে মধ্যে থাকে না।
কৃতজ্ঞতা নিয়ে উক্তি
১// কেউ যদি আমাদের উপকার করে তাহলে আমরা সেটা যদি ভুলে যাই তাহলে কিন্তু কেউ কারো উপকার করে উৎসাহী হবে না। মানুষে মানুষের কোন মিল থাকবে না যদি কৃতজ্ঞতা বোধ না থাকে। কৃতজ্ঞতা বোধ আজও জীবিত আছে বললেই আমরা মানুষ জাতি একই সমাজে একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।
২// আপনার যদি কেউ একটি উপকার করে থাকে তাহলে তার বদলে আপনি যদি তার দশটি উপকার করার মনোভাব রাখেন তাহলেই আপনি প্রকৃত মানুষ। যার মাঝে কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে সে ব্যাক্তি মহৎ।
৩// মানুষের কয়েকটি বিশেষ গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো একটি কৃতজ্ঞতা। যারা মানুষের কাছ থেকে উপকার পেয়েও উপকারীকে ধন্যবাদ জানানোর মতো প্রয়োজন মনে করে না। তারা আসলে মানুষ রুপি পশু। কৃতজ্ঞতা বউ যদি না থাকে তাহলে কেউ কাউকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না।
৪// একটি মানুষ একা একাই কিন্তু জীবনে বড় হতে পারে না। যেমন উদাহরণস্বরূপ একটি মানব শিশু কি একাই বড় হতে পারে? একটি মানব শিশু থেকে পরিপূর্ণ মানবে বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে কতই অবদান তার পরিবারের। তেমনি একটি মানুষের সফলতার পেছনে রয়েছে অনেক মানুষের অবদান। তাই জীবনে আমরা আমাদের সব উপকারীদের মঙ্গল কামনা করব এবং তাদের বিপদে সর্বদা নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
সবার মাঝে যদি এই কৃতজ্ঞতা গুনটি থাকে তাহলে কিন্তু সবার মাঝে সহযোগিতা পূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে। মানুষের মানুষের ভেদাভেদ থাকবে না যদি সবার মাঝে কৃতজ্ঞতা বোধটা থেকে থাকে। যার মধ্যে ভালো মন-মানসিকতা আছে সেই ব্যক্তি মাঝে কৃতজ্ঞতা আছে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সময় নিজের মধ্যে লজ্জা বোধ করা যাবে না। যেটা ভালো কাজ সে কাজে লজ্জা বোধ করা যাবে না। আপনি আপনার সৎ কাজের ক্ষেত্রে যদি লজ্জা বোধ করেন। তাহলে আপনি সেখানে সফল হতে পারবেন না। তাই আপনি অন্যের দ্বারা যদি উপকৃত হন, সাহায্য পান, অন্যের দ্বারা সফল হন। তাহলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা অবশ্যই থাকা জরুরি। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কৃতজ্ঞতা গুণটির তুলনা হয় না।