দোষ নিয়ে উক্তি

দোষ হলো একটি বিশেষণ। অর্থাৎ দোষ বলতে সাধারণত কোন ত্রুটি বিচ্যুতিকে বুঝিয়ে থাকে। সেটি কোন মানুষের হতে পারে অথবা কোন যন্ত্রের হতে পারে। তবে এখানে বিশেষ করে দেশের কথা বলা হচ্ছে সেই দোষটি আসলে মানুষের বলেই মনে করা হয়। তাই দোষ হল আসলে কোন মানুষের গুণের বিপরীত। ভালো কিছু করতে পারা সেটি হল মানুষের গুণ কিন্তু সেই মানুষ থেকে যদি কখনো খারাপ কিছু অনুভূত হয় বা খারাপ কিছুকে বুঝে থাকে তখন সেটিকে বলা হয় দোষ। যে কাজগুলো করলে মানুষের অপকার হয় সেই কাজগুলিকে ই

আমরা সাধারণত দোষের বলে থাকি। তাই বলা যায় যে দোষ হল কোন মানুষের খারাপ গুণকেই বোঝানো হয়। খারাপ গান বলতে যে কোন মানুষের থাকলে অন্য মানুষের কোন কাজে আসে না বরঞ্চ ক্ষতি হয় সেই গুণগুলোকেই খারাপ গুণ বা দোষ বলে চিহ্নিত করা হয়। তাই আমরা আসলে দোষ বলতে যে বিষয়টি বুঝাচ্ছি তা হল মানুষের খারাপ কিছু করার প্রবণতা কে অথবা সে জেনে হোক অথবা না জেনে হোক যে কাজগুলো করলে অন্য মানুষের ক্ষতি সাধন হয় অন্য মানুষের উপকার হয় না সেই বিষয়টিকে সাধারণত দোষ বলা হয়ে থাকে।

উক্তি কি বা কাকে বলে?

মানুষ জীবন চলার পথে যে বিষয়গুলি উপলব্ধি করে মানুষের জন্য বলে দেয় অর্থাৎ সমাজের অন্য কারো এই একই বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় তাই হল উক্তি। তাই উক্তি বলতে এমন কোন জিনিস বোঝাচ্ছে যেটি মানুষের সমাজে প্রচলিত এবং বিভিন্ন জনার জন্য ওই একই কথা প্রযোজ্য হয় তাকেই উক্তি বলে। উক্তি আসলে সকল মানুষের জন্য ওই এক কথায়ই প্রযোজ্য হয়। তবে সকলের কথায় উক্তি বলে বিবেচিত হয় না যে কথাগুলো আমাদের সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ বিভিন্ন সময়ে তাদের উপলব্ধি দ্বারা করে থাকে তাদের এই সাধারণত উক্তি বলে।

অর্থাৎ যে বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ যদি জীবন চলার পথে কোন জিনিস উপলব্ধি করল এবং দেখা গেল যে সেই উপলব্ধি করাটা আসলে সকলের জন্যই প্রযোজ্য তখন সেই কথাগুলোকে উক্তি বলা হয়। আবার ব্যাকরণের ভাষায় যদি উক্তি বলি সেই উক্তি সম্পর্কে বলা যায় যে,যে বাক্যে বক্তার কথা অবিকল উদ্ধৃত হয়, তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলে। প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার কথা উদ্ধরণ চিহ্ন (‘ ‘/“ ”)-এর মধ্যে থাকে এবং বক্তার কথা ‍উদ্ধৃত করার আগে কমা (,) ব্যবহার করা হয়। এগুলো দেখে সহজেই প্রত্যক্ষ উক্তি চেনা যায়। তাহলে আপনারা দেখে নিতে পারলেন যে, ব্যাকরণের ভাষায় উক্তি কাকে বলে।

দোষ নিয়ে উক্তি

আমাদের সমাজের বিভিন্ন প্রসারী ব্যক্তি অর্থাৎ যে ব্যক্তি গুলো সমাজকে পরিচালনা করেছে সেই সকল ব্যক্তিগণের যে উপলব্ধিগুলো আমরা দেখতে পাই সেই উপলব্ধিগুলো কে সাধারণত উক্তি হিসেবে পরিচিত রয়েছে। এই উক্তিগুলো সম্পর্কে এখন আমরা দেখব। চলো তাহলে দোষ নিয়ে উক্তিগুলো সম্পর্কে দেখি।
“তোমার সমস্যাটির জন্য, অন্য লোকের উপর দোষ দিয়ে তুমি কখনই এগুতে পারবে না!”

নিজের দোষ এর জন্য নিজেকেই এর কর্মফল ভোগ করতে হয় নিজের দোষ কখনো অন্যর উপর চাপিয়ে দিয়ে খুব বেশিক্ষণ আরামে থাকা যায় না। তাই আমাদের উচিত হবে যে আমরা যেন ১০ না করি এবং যদি অজান্তে কখনো দোষ করেই থাকি তাহলে এই সেই দোষটি যেন অন্যের ঘাড়ে না চাপায়। বা অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো কখনোই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। পরের উক্তিটিতে কি রয়েছে দেখি। “তুমি যখন অন্যকে দোষারোপ এবং সমালোচনা করো, তখন জানবে যে তুমি নিজের সম্পর্কে কিছু সত্য এড়িয়ে চলেছো।”

১. “তোমার সমস্যাটির জন্য, অন্য লোকের উপর দোষ দিয়ে তুমি কখনই এগুতে পারবে না!”

২. “তুমি যখন অন্যকে দোষারোপ এবং সমালোচনা করো, তখন জানবে যে তুমি নিজের সম্পর্কে কিছু সত্য এড়িয়ে  চলেছো।”

৩. “খারাপ সিদ্ধান্ত নেওয়া জীবনের একটি অঙ্গ কিন্তু তোমার খারাপ সিদ্ধান্তের জন্য অন্যকে দোষ দেওয়া অপরিণত।

৪. “তোমার পরিস্থিতির জন্য অন্যকে দোষ দেওয়া সহজ কিন্তু তোমার নিজের অতীত অনুসন্ধান করা এবং তোমার ক্রটিগুলি, কী কারণে ঘটেছে তা খুঁজে বার করা আরও অনেক ফলদায়ক।”

৫. “উচ্চতর মানুষ নিজেকে দোষ দেয় কিন্তু নিকৃষ্ট মানুষ অন্যকে দোষ দেয়!”

৬. “অন্যকে দোষ দেওয়া নিজেকে দায়িত্ব হইতে মুক্তি দেত্তয়া ছাড়া আর কিছুই নয়!”

৭. “তোমার সমস্যার জন্য অন্য লোকেদের দোষ দেওয়া আগে থামো! এবং একটু ভেবে দেখো যে তাদের কে তৈরি করেছে!”

৮. “মহান নেতারা দোষ দিতে ছুটে যান না। তারা সহজাতভাবে সমাধানগুলি সন্ধান করেন।”

৯. “অন্যকে দোষ দেওয়া সর্বদা সহজ। তুমি বিশ্বকে দোষ দিয়ে তোমার পুরো জীবন ব্যয় করতে পারো, তবে তোমার সাফল্য এবং ব্যর্থতাগুলি সম্পূর্ণ তোমার দায়িত্ব।”

১০. “অন্যদের দোষ দেবে কেনো? তোমার জীবনের দায়িত্ব তোমার, তাইনা?”

১১. “জোরে প্রশংসা করো, আস্তে দোষ দাও!”

১২. “যদি তুমি বাতাসের কাছে তোমার গোপনীয়তা প্রকাশ করো আর সেটা যদি বাতাস গাছকে বলে, তখন বাতাসকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।”

১৩. “আমি কারুর প্রশংসা বা দোষের দিকে মনোযোগ দি না। আমি কেবল নিজের অনুভূতির অনুসরণ করি।”

১৪. “তোমার জীবন তোমার নিজের কাজের ফল এবং তার জন্য তুমি নিজে ছাড়া আর কাউকে দোষ দিতে পারবেনা।”

১৫. “দোষ দেওয়ার চেয়ে যথাযথ প্রশংসা করা আরও কঠিন।”

এ কথা সত্য যে, আমরা যদি মানুষের দোষ নিয়ে কথা বলি তখন অবশ্যই সেই বিষয়গুলো আমাদের নিজের ক্ষেত্রেও দেখে নিতে হবে আমাদের কোন কোন দোষ রয়েছে। কারণ হলো আমরাও ধোয়া তুলসী পাতা ব্যক্তি নয়। আমাদের দেশগুলো ঢাকার জন্যই হয়তো তাদের দেশকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এরকমভাবে পড়েন উক্তিগুলো দেখার জন্য আপনারা অবশ্যই শেষ পর্যন্ত থাকবেন আমাদের এই পোষ্টের আশা করি।“খারাপ সিদ্ধান্ত নেওয়া জীবনের একটি অঙ্গ কিন্তু তোমার খারাপ সিদ্ধান্তের জন্য অন্যকে দোষ দেওয়া অপরিণত।”

Leave a Comment